ফিচার

মেহেদী হাসান মিরাজ: আমাদের তারকা

নরসুন্দা ডটকম   অক্টোবর ৩১, ২০১৬

নরসুন্দা ডটকম ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রোদ্দুর জ্বালিয়ে আসা এক ক্রিকেটারের নাম মিরাজ।

020

তাঁর স্বপ্নভেজা আবির্ভাবে চমকে গেছে ইংল্যান্ড। বিহ্বলতায় হতভম্ব! তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সদর-অন্দরে তিনি অচেনা কেউ নন। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রতিযোগিতায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারলেও নিজে হন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। যার আশ্চর্য ধারাবাহিকতা অব্যাহত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর দাগচিত্রেও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তো মিরাজ-ই! আর দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নেওয়ায় ম্যান অব দ্য সিরিজেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

এই আশ্চর্য আগমনের চেয়ে তাঁর ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতার গল্পও কম অবাক করা নয়!

রূপসাপাড়ের ছেলে মিরাজের পরিবারে ক্রিকেটপ্রেমের জায়গা ছিল না। সংসারে যে লেগে থাকে নিত্য অনটন! বাবা গাড়ি চালিয়ে সংসার টানতেন। ক্রিকেট সেখানে বিলাসিতার নামান্তর। বাবাকে লুকিয়ে তাই ব্যাট-বলের সঙ্গে বন্ধুতা গড়ে তুলতে হয়। তবু কী আর সব সময় লুকোনো যায়! টের পেলেই বেদম পিটুনির শিকার। কিন্তু ক্রিকেটদেবতার আশীর্বাদ ছিল ছেলেটির উপর। এলাকার ‘মুসলিম অ্যাকাডেমি’র কোচের নজরে পড়ে যান। কোচ আল মাহমুদকে বাবার রূদ্রমূর্তির কথা বলতেই তিনি নিজে ব্যাট-বল-কেডস কিনে দেন মিরাজকে। ব্যস, শুরু হয়ে যায় ক্রিকেট নিয়ে তাঁর ঋষির সাধনা। অবশ্যই তখনও বাবাকে লুকিয়ে।

সেই বাবার অনুমোদন মেলে কী ভাবে?

সে-ও আর এক গল্প। জেলা পর্যায়ে টুকটাক সাফল্য পান মিরাজ। সংবাদপত্রের এক কোণে আলগোছে পড়ে থাকে তাঁর নাম। আড়চোখে তা দেখে মন কিছুটা নরম হয় বাবার। আর ২০১০ সালে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের সময় ছেলেকে স্বপ্নের পিছনে ছোটার অনুমোদন দিয়ে দেন পুরোপুরি। সে বার অনূর্ধ্ব-১৪ লিগ পর্যায়ের সেরা ব্যাটসম্যান হন।

ছয় বছর আগে এই শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে শুরুর আগে দেওয়া হয়েছিল যার পুরস্কার। বাংলাদেশের এই ক্রিকেটতীর্থে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন মিরাজ। সেখানে ক্রিকেটারদের কদর দেখে মনের বাঁকবদল বাবার। ছেলেকে আর আটকে রাখেননি। বলেছিলেন, ‘এখন থেকে তুই শুধু ক্রিকেট খেলবি

নোট: আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে।

 

About the author

নরসুন্দা ডটকম

Leave a Comment