বৃহত্তর ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চলীয় জনপদ কিশোরগঞ্জ। এই জনপদটি সাবেক ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্গঠন কার্যক্রমের আওতায় কিশোরগঞ্জ একটি স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদা লাভ করে। ১৩টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত এ জেলাটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ড. দীনেশ চন্দ্র সেন সঙ্কলিত ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’য় পূর্ব ময়মনসিংহের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা মূলত এই কিশোরগঞ্জকে ঘিরেই আবর্তিত। লোকজ সাহিত্য-সংস্কৃতির উর্বর জনপদ কিশোরগঞ্জ জেলায় পত্র-পত্রিকার প্রচলন খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। গত শতকের শূন্য দশকে (১৯০৪-০৫) হোসেনপুর থানাধীন গাঙ্গাটিয়ার বিশিষ্ট জমিদার গিরীশ চন্দ্র চক্রবর্তী চৌধুরীর হাত ধরেই সর্বপ্রথম এ জেলায় পত্রিকা প্রকাশনার শুভ কাজটি সূচিত হয়। এই সংস্কৃতিবান ব্যক্তির সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক আর্যগৌরব’ পত্রিকাটিই ছিল এ জনপদের প্রথম পত্রিকা। গত শতকের পঞ্চাশ দশকে তাড়াইল থানাধীন বান্দুলিয়া গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিক ও এমএলএ শাহ্ মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করতেন ‘কৃষক বিলাপ’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। এছাড়া বৌলাই সাহেববাড়ি থেকে মাহবুবুর রব ওরফে খালেদ বাঙ্গালি নিয়মিত নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করতেন ঊর্দু মাসিক ‘আখ্তার’। এরপর সময়ের ধারাবাহিকতায় এখান থেকে অনেক সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিকসহ হালে দৈনিক পত্রিকা পর্যন্ত প্রকাশ পাচ্ছে। এ রচনার বিষয়বস্তু যেহেতু কিশোরগঞ্জের ছোটকাগজ তাই বক্ষ্যমান লেখায় কিশোরগঞ্জ মহকুমা ও হালে কিশোরগঞ্জ জেলার ছোটকাগজগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ জেলা থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ছোটকাগজ ও সাহিত্য সঙ্কলনের একটি ধারাবাহিক বিবরণ আলোচ্য লেখায় তুলে ধরে হ’ল:
মাসিক প্রতিভা: গুরুদয়াল কলেজের তৎকালীন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ১৯৫২ সালে তার সম্পাদনায় এই সাহিত্যপত্রের প্রকাশনা শুরু করেন। ১/৮ সাইজের ৮৮ পৃষ্ঠায় এই সাহিত্যপত্রে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন রচনা প্রকাশ পেতো।
উত্তরণ: ১৯৭৬ সালে সৈয়দ আজিজুল বারী ও সুবীর বসাকের যৌথ সম্পাদনায় ট্যাবলয়েড সাইজে পত্রিকাটি প্রকাশ পায়। পরের সংখ্যাগুলো সৈয়দ আজিজুল বারী এককভাবে সম্পাদনা করেন। উত্তরণ সাহিত্য পরিষদ নামক সংগঠন হতে এটি প্রকাশ পেতো। প্রকাশক ছিলেন আহমেদ ইকবাল সিদ্দিকী। এতে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা, গল্প ইত্যাদি প্রকাশ পেতো। ৩/৪ টি সংখ্যা প্রকাশের পর এই সাহিত্যপত্রটি বন্ধ হয়ে যায়।
বাতায়ন: স্বাধীনতা উত্তর ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে ট্যাবলেয়ড সাইজে পত্রিকাটির কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ পায়। চাঁদের হাট, রামপুর শাখার পক্ষে সাহিত্যপত্রটি সম্পাদনা করতেন মো. মিজানুর রহমান। কিশোরগঞ্জ শহরের রহিম প্রিন্টিং প্রেস থেকে এটি মুদ্রিত হতো।
বজ্রকণ্ঠ: ছড়াকার ও লেখক জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সম্পাদনায় এই মাসিক পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে। এটি ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মুখপত্র। পত্রিকাটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাইজে বেরিয়েছে। কখনো ডিমাই ১/৮ সাইজে, কখনো ১/৪ সাইজে, আবার কখনো ট্যাবলয়েড সাইজে। এতে সাংগঠনিক খবরাখরব ছাড়াও রাজনৈতিক ফিচার, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গল্প, কবিতা, বিশেষ ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার এবং জিঙ্কের ব্লকে বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রকাশ পেতো। ১৯৮২ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ নেতা-কর্মী বাকশাল সমর্থিত জাতীয় ছাত্রলীগে যোগ দিলে এটি জাতীয় ছাত্রলীগের মুখপত্র হিসাবে পুনরায় প্রকাশিত হতে থাকে। তখন এর সম্পাদক মনোনীত হন সৈয়দ এনামউল্লাহ আজিম। জাহাঙ্গীর আলম জাহান হন সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি। সবশেষে চন্দ্রিকা লেখক গোষ্ঠীর ব্যানারে ১৯৮৪ সালে মিনি ট্যাবলয়েড সাইজে এ পত্রিকার সর্বশেষ সংখ্যাটি প্রকাশ পেয়েছিল। ‘বজ্রকণ্ঠ’র প্রায় ৩০টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
ছাড়পত্র: ১৯৭৯ সালে শফিকুল মবিনের সম্পাদনায় এই মাসিক সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশনা শুরু হয়। নিউজপ্রিণ্ট কাগজে ১/৮ সাইজে ম্যাগাজিন আকারে পত্রিকাটি প্রকাশ পেতো। এতে প্রবন্ধ, গল্প, ছড়া ইত্যাদির সন্নিবেশ ছিল। ৮/১০ টি সংখ্যা প্রকাশের পর পত্রিকাটি আর টিকে থাকেনি।
শিস্ দিয়ে যায় অহর্নিশ: ১৯৮০ সালে অ্যাড. মো. নবী হোসেনের সম্পাদনায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে এই মাসিক ছড়াপত্রটি প্রকাশিত হয়। ডিমাই ১/৮ সাইজে বই আকারে প্রকাশিত ছড়াপত্রে স্থানীয় প্রতিশ্র“তিশীল ছড়াকারদের ছড়া এবং ছড়া বিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ নিয়মিত প্রকাশ পেতো। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত প্রকাশের পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়ে ১৯৯২-৯৩ সালের দিকে আরো কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বন্ধ আছে।
সাহিত্য সাময়িকী সৃষ্টি: জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা পাবলিক লাইব্রেরি থেকে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে এই দ্বিমাসিক সাহিত্য পত্রিকাটির প্রকাশনা শুরু হয়। এর সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমদ। তৎকালীন শিল্পানুরাগী জেলা প্রশাসক ম. শফিউল আলম ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী খান-এর একান্ত আগ্রহে এ সাহিত্যপত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, স্মৃতিচারণ, রম্যরচনা, ধারাবাহিক উপন্যাস, গ্রন্থালোচনা, জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক নিবন্ধ এবং নবীন লিখিয়েদের জন্য ‘ফুলঝুরি’ নামক আলাদা বিভাগ নিয়ে ডিমাই কাগজে ১/৮ সাইজে ৮০ থেকে ১০০ পৃষ্ঠায় বই আকারে পত্রিকাটির প্রায় ২০টি সংখ্যা প্রকাশ পায়। প্রথমে দ্বিমাসিক হলেও পরে এটি ত্রৈমাসিকে রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০০২ সালে জেলা প্রশাসক মো. মাহফুজুর রহমান নবপর্যায়ে ‘সৃষ্টি’ প্রকাশনার জন্য একটি নতুন সম্পাদনা কমিটি গঠন করেন। নতুন কমিটিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পান সাংবাদিক মু. আ. লতিফ। এ পর্যন্ত সর্বসাকূল্যে প্রায় ২৪টি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। বিশিষ্ট শিল্পী এম.এ. কাইয়ুম প্রথম থেকেই ‘সৃষ্টি’র জন্য দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ এঁকে দিতেন। ২০০৩ সালের পর থেকে সৃষ্টির প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে।
ছড়াপত্র দৃষ্টি: বিজন কান্তি বণিকের সম্পাদনায় ছড়াপত্র ‘দৃষ্টি’ ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত নিয়মিত প্রকাশিত হয়। এতে দুই বাংলার ছড়া ছাড়াও ছড়া বিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হতো। নিউজপ্রিণ্ট কাগজে ডিমাই সাইজে নিয়মিত ৩২ পৃষ্ঠায় পত্রিকাটি প্রকাশ পেতো।
বর্ণালী: সরকার রিয়াজুল ইসলাম পিন্টুর সম্পাদনায় ১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে এ পত্রিকার ৭/৮ টি সংখ্যা প্রকাশ পায়। মূলত সাহিত্যপত্রিকা হলেও এতে বিভিন্ন খবরাখবরও মুদ্রিত হতো। নিউজপ্রিন্ট কাগজে ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশিত এ সঙ্কলনটি বোদ্ধা মহলে প্রশংসিত হয়েছিল।
অক্ষরের ছবি: মো. হাবিবুর রশীদ রুনু’র সম্পাদনায় হোয়াইটপ্রিণ্ট কাগজে এই ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রের মোট ৫টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। প্রকাশকাল ২০০৩ খ্রি.। বই সাইজের এ পত্রিকায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনালেখ্য এবং সাহিত্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যনির্ভর রচনা প্রকাশ পায়। বর্তমানে পত্রিকাটি বন্ধ আছে।
দৃশ্যপট: ২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সম্পাদনায় সাহিত্যের এই ছোটকাগজটি জেলা শহর থেকে প্রকাশ হতে শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা ও সাহিত্য কেন্দ্র ‘দৃশ্যপট-৭১’ নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে অন্যুন ৮০ পৃষ্ঠায় (কখনো দু’শতাধিক পৃষ্ঠায়) ৭০ গ্রাম বসুন্ধরা হোয়াইটপ্রিন্ট কাগজে ১/৮ সাইজে এটি প্রকাশ পায়। বছরে ৫/৬টি সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তাশীল প্রবন্ধ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্যবহুল রচনা, স্মৃতিকথা, গল্প, বই আলোচনা, ছড়া, কবিতা ইত্যাদি প্রকাশ পেয়ে থাকে। সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক এই সাময়িকীটি ইতোমধ্যে বোদ্ধামহলের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। এ পর্যন্ত পত্রিকাটির ১৮টি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। বিশিষ্ট শিল্পী এম.এ. কাইয়ুম নিয়মিত এ পত্রিকার প্রচ্ছদ এঁকে দেন। পত্রিকাটির মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা।
ধমনি: আব্দুল মান্নান স্বপনের সম্পাদনায় বাজিতপুর থেকে ২০০৫ সাল থেকে এ সাহিত্যপত্রটি ডিমাই ১/৮ সাইজে প্রকাশ পাচ্ছে। পত্রিকাটি সরকারি অনুমোদন লাভ করেছে। এতে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া ইত্যাদি প্রকাশ পেয়ে থাকে। ইতোমধ্যে ২০টি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। এখনও প্রকাশনা অব্যাহত।
আড়াঙ্গি: ছড়াকার জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সম্পাদনায় কিশোরগঞ্জ শহর থেকে নিরঙ্কুশ ছড়ার কাগজ হিসাবে আড়াঙ্গি নামক ছড়াপত্রের প্রকাশনা শুরু হয়। ৮০ গ্রাম বসুন্ধরা অফসেট পেপারে ১/৮ সাইজে বই আকারে নিয়মিত ৬৪ পৃষ্ঠায় পত্রিকাটি প্রকাশিত হচ্ছে। এতে দেশের বরেণ্য ছড়াকার ও গদ্য লিখিয়েরা নিয়মিত ছড়া এবং ছড়া বিষয়ক মননশীল গদ্য লিখে আসছেন। কাগজটি নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাঘর: জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সম্পাদনায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৮০ গ্রাম অফসেট পেপারে নিয়মিত ৮০ পৃষ্ঠায় এই সাহিত্য পত্রিকাটি ষান্মাসিক হিসাবে প্রকাশ পাচ্ছে। এতে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, বই আলোচনা ইত্যাদি প্রকাশ পেয়ে থাকে। পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত আছে।
মেঠোপথ: তাড়াইল সাহিত্য সংসদ-এর পক্ষ থেকে তরুণ সাহিত্যকর্মী ছাদেকুর রহমান রতন-এর সম্পাদনায় ২০১১ সাল থেকে প্রকাশ পাচ্ছে সাহিত্যের ছোটকাগজ মেঠোপথ। ডিমাই ১/৮ সাইজে সম্পূর্ণ অফসেট পেপারে এটি প্রকাশ পাচ্ছে। এতে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ছাড়াও ইতিহাস-ঐতিহ্যধর্মী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকার নামে তাড়াইল সাহিত্য সংসদের পক্ষ থেকে কীর্তিমান ব্যক্তিদের প্রদান করা হচ্ছে ‘মেঠোপথ সাহিত্য পদক’।
কিশোরগঞ্জ প্রদর্শনী স্মরণিকা ’৭৭, একটি মাইলফলক: কিশোরগঞ্জ জেলায় রুচিঋদ্ধ ও তথ্যবহুল স্মরণিকা প্রকাশের ইতিহাসে প্রথম মাইলফলক স্থাপিত হয় ১৯৭৭ সালে ‘কিশোরগঞ্জ প্রদর্শনী স্মরণিকা-৭৭’ প্রকাশনার মধ্য দিয়ে। মহকুমা প্রশাসনের তৎকালীন সাহিত্যামোদী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মুহাম্মাদ নাজমুল আলম স্মরণিকাটি সম্পাদনা করেছিলেন। হোয়াইট প্রিন্ট কাগজে ১/৪ সাইজের অ্যালবাম আকৃতির প্রায় ১০০ পৃষ্ঠার স্মরণিকাটিতে জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নির্ভর বিভিন্ন তথ্যবহুল রচনা ছাড়াও ঐতিহাসিক আলোকচিত্র এবং কবিতা ছাপা হয়েছিল। এ স্মরণিকাটি বোদ্ধা মহলে শুধু প্রশংসিতই হয়নি, সংরক্ষণযোগ্য একটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবেও স্বীকৃত হয়েছিল।
স্মরণিকা ‘বিজয়’, ‘স্বাধীনতা’, ‘এ মোর অহঙ্কার’: ১৯৯৬-২০০০ সময়কালে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তৎকালীন শিল্পানুরাগী এ.ডি.এম. (পরে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) সুভাষ চন্দ্র সরকার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি রুচিঋদ্ধ ও তথ্যবহুল স্মরণিকা সম্পাদনা করেন। ‘বিজয়-৯৬’, স্বাধীনতা-৯৭’, ‘বিজয়-৯৭’, স্বাধীনতা-৯৮’ এবং ২০০০ সালের মহান একুশে উপলক্ষে ‘এ মোর অহঙ্কার’ শিরোনামে প্রকাশিত স্মরণিকাগুলো মুদ্রণশৈলী ও তথ্যপূর্ণ রচনার মাধুর্যে সকল মহলের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এ-সকল স্মরণিকায় গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধের পাশাপাশি কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক তথ্যনির্ভর অনেক গুরুত্বপূর্ণ রচনা, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অজানা তথ্য ও ’৭১-এর অজ্ঞাত-অবহেলিত শহীদদের সম্পর্কে সচিত্র বিবরণ এবং বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্র প্রকাশ পায়। এ স্মরণিকার সবগুলোই একেকটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবে স্বীকৃত হয়। স্মরণিকাগুলোর মুখ্য সম্পাদক হিসাবে সুভাষ চন্দ্র সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেও সম্পাদনা পরিষদের অন্যতম সদস্য হিসাবে জাহাঙ্গীর আলম জাহানের নিরলস শ্রমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অন্যান্য ছোটকাগজ: মানের বিচার এবং সংখ্যার আধিক্যে আরো যে সকল সাহিত্যপত্র ও সাহিত্যসঙ্কলন পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছিল তেমন কিছু স্মরণিকার কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে হাবিবুর রহমান (কবি আবিদ আজাদ) সম্পাদিত ‘সংবর্ত’ (১৯৬৭), আজিজুল হক এরশাদ সম্পাদিত ‘ইদানিং’ (১৯৬৮), বিমলাংশু রায় বাবলু সম্পাদিত ‘রক্তজ্বালা’ (১৯৬৯), এখলাসউদ্দিন আহম্মদ সম্পাদিত ‘রক্তজ’ (১৯৭২), রেজাউর রহমান সম্পাদিত ‘রক্তের স্বরলিপি’ (১৯৭২), সাইফুল হক সেলিম সম্পাদিত ‘কাণ্ডারী’ (১৯৭২), শফিকুল মবিন সম্পাদিত ‘লাল ফাল্গুন’ (১৯৭২), আজহারুল ইসলাম আজাদ সম্পাদিত ‘ফাগুনের আগুন মেলায়’ (১৯৭২), জাকিরুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত ‘ফাগুনস্মৃতি’ (১৯৭৩), শফিকুল মবিন সম্পাদিত ‘পলাশের পলাশী’ (১৯৭৩), আশুতোষ ভৌমিক সম্পাদিত ‘বিস্ফোরণ’ (১৯৭৪), ‘বিন্যাস’ (১৯৭৫), ‘বিন্যাস’ এখনও মাঝে-মধ্যে সীমিত পরিসরে প্রকাশ পেয়ে থাকে। আবু বকর সিদ্দিক হিরো সম্পাদিত ‘সরণি’ (১৯৭৫), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ‘ফিনকি’ (১৯৭৬), কে এম শহীদুল হক সম্পাদিত ‘জাগৃতি’ (১৯৭৬), শাহ্ আজিজুল হক সম্পাদিত ‘নিনাদ’, ‘ঝড়ের খেয়া’ (১৯৭৬), শ্রীকৃষ্ণ চক্রবর্তী সম্পাদিত ছড়াকার্ড ‘টুংটাং’ (১৯৭৭-৭৮), এবিএম হাসান রতন সম্পাদিত ‘জাগরণী’ (১৯৭৮), আ স ম মকবুল কাঞ্চন সম্পাদিত ‘বৈশাখী’ (১৯৭৮), মো. গোলাম হোসেন সম্পাদিত ‘বাঁকা চাঁদ’ (১৯৭৮), এবিএম হাসান রতন সম্পাদিত ‘রাঙা ফাল্গুন’ (১৯৭৮), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ‘উন্মীলন’ (১৯৭৯), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত গুরুদয়াল কলেজ বার্ষিকী ‘স্মরণ’ (১৯৭৯), কুমকুম সরকার সম্পাদিত ‘গোলাপে ফাগুনের উজান’ (১৯৭৯), কাজল শাহ্নেওয়াজ সম্পাদিত ‘মনুমেন্ট’ (১৯৭৯) মো. গোলাম হোসেন সম্পাদিত ‘একমিনিট নীরবতা’ (১৯৭৯), মু. আ. লতিফ সম্পাদিত ‘শতদল’ (১৯৭৯), বাজিতপুর থেকে তাজুল্লাহ ফারুক সম্পাদিত ‘অনিক’ (১৯৮০), শুদ্ধপাপী গোষ্ঠীর সঙ্কলন ‘না’ (১৯৭৯-৮১), একেএম মাহফুজুল হক সম্পাদিত ‘প্রতিধ্বনি’ (১৯৮০), এবিএম হাসান রতন ও মোহাম্মদ মানিক সম্পাদিত ‘কলি’ (১৯৮০), সাজ্জাদুল মোনায়েম সাজু সম্পাদিত ‘দৃষ্টিপ্রদীপ’ (১৯৮০), করিমগঞ্জ থেকে মো. লোকমান সম্পাদিত ‘সূচনা’ (১৯৮০), শফি মাহবুব সম্পাদিত ‘সূর্যমুখী’ (১৯৮০), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ‘উত্তাপ’ (১৯৮০), এরশাদউদ্দিন মল্লিক সম্পাদিত ‘ভাটির দেশ’ (১৯৮০), সৃজনশীল সাহিত্য সংসদ থেকে প্রকাশিত ‘রক্তসূর্য’ (১৯৮০), রঞ্জিত বর্মণ সম্পাদিত ‘সন্দর্শন’ (১৯৮১), করিমগঞ্জ থেকে কফিল আহমেদ সম্পাদিত ‘শব্দমিছিল’ (১৯৮১), আ স ম মকবুল কাঞ্চন সম্পাদিত ‘নিনীষা’ (১৯৮১-৮২), দিলীপ রায় ও রাফিউল আলম চৌধুরী মিলাদ সম্পাদিত ‘চকসা’ (১৯৮২), এ টি এম নিজাম সম্পাদিত ‘শব্দমিছিল’ (১৯৮৩), কিশোরগঞ্জ আজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ স্মরণিকা (১৯৮৩), অনামিকা রেজা রোজী সম্পাদিত ‘নদী’ (১৯৮৩-৮৪), জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সামরিক শাসন বিরোধী একক ছড়া নিয়ে শরীফ সাদী সম্পাদিত ছড়ার ভাঁজপত্র ‘অগ্ন্যুৎপাত’ (১৯৮৩), জাকিরুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত ‘উত্তরসূরি’ (১৯৮৩), রুহুল আমিন খান সম্পাদিত ‘যখন বাতাসে ঘূর্ণি’ (১৯৮৪), রেজাউল করিম ভূইয়া ও শামীমুল হক শামীম সম্পাদিত ‘খৈ’ (১৯৮৪), আবু বকর সিদ্দিক হিরো সম্পাদিত ‘পোস্টার’ (১৯৮৪), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ছড়াকার্ড ‘সংকেত’ (১৯৮৪), বাবুল রেজা সম্পাদিত ‘ঈক্ষণ’ (১৯৮৪), দিলীপ রায় সম্পাদিত ‘প্রগতি’ (১৯৮৪), শেখ মাসুদ ইকবাল সম্পাদিত ‘মালঞ্চ’ (১৯৮৪), কটিয়াদী থেকে নূরুল ইসলাম মেরাজ (মেরাজ রাহীম) সম্পাদিত ‘ঝরণা’ (১৯৮৪), জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সামরিক শাসন বিরোধী একক ছড়া নিয়ে শরীফ সাদীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ভাঁজপত্র ‘যা ফিরে তুই ব্যারাকে’ (১৯৮৪), সাব্বির মাহমুদ সম্পাদিত ‘মহুয়া’ (১৯৮৪-৮৫), ইশারফ হোসেন সম্পাদিত ‘সকাল’ (১৯৮৫), মাহমুদা আখতার পারভীন সম্পাদিত ‘দিকচক্রবাল’ (১৯৮৫), হালিম আক্কাছ সম্পাদিত ছড়া সঙ্কলন ‘সাহস’ (১৯৮৫), দেবতোষ রায় সম্পাদিত ‘বিপাশা’ (১৯৮৫-৮৬), নারায়ণ সরকার সম্পাদিত ‘মানচিত্র’ (১৯৮৫), রিফাত চৌধুরী সম্পাদিত ‘ছাঁট কাগজের মলাট’ (১৯৮৫), ২০০৯ সালে রিফাত চৌধুরীর সম্পাদনায় ঢাকা থেকে ‘ছাঁটকাগজের মলাট’-এর আরও একটি সংখ্যা প্রকাশ পায়। জাকিরুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত ‘ম্যারাথন’ (১৯৮৫), রফিকুল ইসলাম খোকন সম্পাদিত ‘প্রতীক’ (১৯৮৫), মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল সম্পাদিত ‘কম্পাস’ (১৯৮৫), কটিয়াদী থেকে মেরাজ রাহীম সম্পাদিত ‘পরিচয়’ (১৯৮৫), করিমগঞ্জ থেকে মাহবুবুর রহমান বুলবুল সম্পাদিত ‘কিংশুক কোরক’ (১৯৮৫), বাজিতপুর থেকে মোহাম্মদ আশরাফ সম্পাদিত ‘চেতনায় স্বদেশ’ (১৯৮৫), সোহেল আহমেদ সম্পাদিত ‘ফুলকুঁড়ি’ (১৯৮৬), মো. কামরুল আমিন টিপু সম্পাদিত ‘উদয়’ (১৯৮৬), কটিয়াদী থেকে মেরাজ রাহীম সম্পাদিত ‘দীপন’ (১৯৮৬), বাজিতপুর থেকে মানিকুজ্জামান মনির সম্পাদিত ‘অবেলা’ (১৯৮৬), ফারুক আহম্মদ সম্পাদিত ‘বাজিতপুর স্মরণিকা’ (১৯৮৬), আহমেদ উল্লাহ সম্পাদিত ‘জনক’ (১৯৮৬-৮৮), নূর আজিজ খান বাবু সম্পাদিত ‘ক্ষুদ্র’ (১৯৮৭), ফখরুল ইসলাম রতন সম্পাদিত ‘বর্ণালী’ (১৯৮৭), বাবুল রেজা সম্পাদিত ‘কেউ জানে না’ (১৯৮৭), কটিয়াদী থেকে মেরাজ রাহীম সম্পাদিত ‘দূরন্ত’ (১৯৮৭), সৈয়দ এনাম-উল-আজিম সম্পাদিত ‘জাগরণ’ (১৯৮৭), শেখ মাসুদ ইকবাল সম্পাদিত ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৮৭), শরফুদ্দীন আহমেদ জুয়েল ও শাহ্পার শারমীন সুমি’র যৌথ সম্পাদনায় এক মলাটবন্দি দুইটি ছোটকাগজ যথাক্রমে ‘নিনাদ’ এবং ‘সমর’ (১৯৮৭), আনিস-উজ-জামান সম্পাদিত ‘স্ফূরণ’ (১৯৮৭), দেবরাজ রায় সম্পাদিত ‘চন্দ্রাবতী’ (১৯৮৭), মো. বদরুল আনাম সম্পাদিত ‘ঈষাণ কোণে মেঘ’ (১৯৮৭), বাজিতপুর থেকে নাসরুল আনোয়ার সম্পাদিত ‘নির্ঝর’ (১৯৮৭), আমিনুর রহমান মকুল সম্পাদিত ‘নবতরঙ্গ’ (১৯৮৭), সুবর্ণ খেলাঘর আসরের স্মরণিকা বাঁধন রায় সম্পাদিত ‘সুবর্ণরেখা’ (১৯৮৭), এ কে এম শামীম সম্পাদিত ‘ইস্ক্রা’ (১৯৮৭), কটিয়াদী থেকে প্রকাশিত নিতাইপদ বণিক সম্পাদিত ‘বিচিত্রিতা’ (১৯৮৭-৯১), নাফিসা শীলা সম্পাদিত ‘স্রোত’ (১৯৮৮), উপল হাসান সম্পাদিত ‘কারুকণ্ঠ’ (১৯৮৮-৮৯), ২০০৯ সালে কারুকণ্ঠের আরও ২/৩টি সংখ্যা প্রকাশ পায়। বিজন কান্তি বণিক সম্পাদিত ‘নতুন দিনের ডাক’ (১৯৮৮), মো. সাইফুল ইসলাম শাহীন সম্পাদিত ‘বহ্নিশিখা’ (১৯৮৮), বিজন কান্তি বণিক সম্পাদিত ‘সূর্যজ্বালা’ (১৯৮৮), করিমগঞ্জ থেকে এটিএম নিজাম, শফিক আদনান, নূর মোহাম্মদ সম্পাদিত ‘চালচিত্র’ (১৯৮৮), কিশোরগঞ্জের কয়েকজন সম্পাদিত সামরিক শাসন বিরোধী ছোটকাগজ ‘নেমে যা’ (১৯৮৮), তাড়াইল থেকে মো. জামালউদ্দিন খন্দকার সম্পাদিত ‘রেনেসাঁ’ (১৯৮৮), ‘উচ্চারণ’ (১৯৮৮), করিমগঞ্জ থেকে মো. ওসমান গণি সম্পাদিত ‘লড়াই’ (১৯৮৮), ইটনা থেকে জহিরুল আলম জাহাঙ্গীর সম্পাদিত ‘প্রতিশ্র“তি’ (১৯৮৮), কটিয়াদী থেকে অনিন্দ্য বণিক সম্পাদিত ‘ফাগুনের সংলাপ’ (১৯৮৮), জনৈক মঞ্জু সম্পাদিত ছড়াপত্র ‘ঈদের ছড়া’ (১৯৮৮), মো. আশরাফুল ইসলাম ও মো. আইয়ুব আলী খান সম্পাদিত ‘দিশারী’ (১৯৮৯), মো. ফারুক লস্কর সম্পাদিত ‘পথ’ (১৯৮৯), বিজন কান্তি বণিক সম্পাদিত ‘গোধূলি’ (১৯৮৯), রায়হান আহমেদ রাজু সম্পাদিত ‘নবস্রোত’ (১৯৮৯), সৈকত আলম বাবু সম্পাদিত ‘সূচক’ (১৯৮৯), তাড়াইল থেকে মো. জামালউদ্দিন খন্দকার সম্পাদিত ‘উচ্ছ্বাস’ (১৯৮৯), করিমগঞ্জ থেকে আলী আকবর সম্পাদিত ‘এইদিন সেইদিন’ (১৯৮৯), এটিএম নিজাম সম্পাদিত ‘ঈশা খাঁ’ (১৯৮৯-৯১), করিমগঞ্জ থেকে কয়েকজনের যৌথ সম্পাদিত ‘খোলাপাতা’ (১৯৯০), রিয়াজ আহমেদ জুয়েল সম্পাদিত ‘নিনাদ’ (১৯৯০), বিজন কান্তি বণিক সম্পাদিত স্বরবর্ণ নাট্য মঞ্চের সাহিত্যপত্র ‘বিস্ময়’ (১৯৯০), মো. রফিকুল ইসলাম মিল্টন সম্পাদিত ‘অধিতি’ (১৯৯০), নিকলী থেকে মহিবুর রহিম সম্পাদিত ‘সৌরভ’ (১৯৯০), করিমগঞ্জ থেকে বিল্লাল হোসেন সম্পাদিত ‘মুখ’ (১৯৯০), অশোক কুমার উকিল সম্পাদিত ‘কলকণ্ঠ’ (১৯৯০-৯১), নিকলী থেকে ম. হ. শোকরানা সম্পাদিত ‘নদীয়া’ (১৯৯১-৯৩), রতন কুমার দাস সম্পাদিত ‘প্রভাতি’ (১৯৯১), তাড়াইল থেকে মামুনুর রশিদ সম্পাদিত ‘দিশারী’ (১৯৯১), তাড়াইল থেকে পঙ্কজ কান্তি দাস সম্পাদিত ‘স্বাক্ষর’ (১৯৯১), তাড়াইল থেকে জামালউদ্দিন খন্দকার সম্পাদিত ‘অঙ্গীকার’ (১৯৯১), দিলিপ রায় সম্পাদিত ‘দ্রাবিড়’ (১৯৯১), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ভাঁজপত্র ‘থাপ্পর’ (১৯৯১), মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সম্পাদিত ‘কিশোরগঞ্জ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ পত্রিকা’ (১৯৯১-৯৫), করিমগঞ্জ থেকে আলী আকবর, নজির আহমেদ ও শাহজাহান সাজু সম্পাদিত ‘লোকালোক’ (১৯৯২), করিমগঞ্জ থেকে কামরুল আহছান হুমায়ুন সম্পাদিত ‘সাহসের পদাবলী’ (১৯৯২-৯৩), ইটনা থেকে ইয়াকুব খান মিল্কী সম্পাদিত ‘ধনু নদীর বাঁকে’ (১৯৯২), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ‘অতিক্রম’ (১৯৯২), রেজাউল হাবিব রেজা সম্পাদিত ‘নীলকণ্ঠ’ ‘প্রতিধ্বনি’ এবং ‘নবতরঙ্গ’ (১৯৯২), ইটনা থেকে আফরোজা পারভীন সম্পাদিত ‘রক্তবীজ’ (১৯৯২), শওকত কবীর কাজল সম্পাদিত ‘জলটুঙ্গি’ (১৯৯৩), ‘জলটুঙি’ নামে দ্বিতীয় সঙ্কলনটি ২০০৮ সালে পুনরায় সম্পাদনা করেন শওকত কবীর কাজল, নিকলী থেকে মহিবুর রহিম সম্পাদিত ‘ঘোড়াউত্রা’ (১৯৯৪), শরীফ সাদী সম্পাদিত ‘জয়বাংলা’ (১৯৯৪), কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে শেখ মাসুদ ইকবাল সম্পাদিত শিশু-কিশোর উপযোগী মাসিক পত্রিকা ‘প্রতিভা’ (১৯৯৫), কটিয়াদী থেকে নূরে মালেক সম্পাদিত ‘কল্পচিত্র’ (১৯৯৫), ভৈরব থেকে এম. পায়েল আহমেদ সম্পাদিত ‘দূরন্ত’ (১৯৯৬), শহিদুল ইসলাম ফারুক সম্পাদিত ‘পথিক’ (১৯৯৬), ইটনা থেকে প্রকাশিত মো. রওশন আলী রুশো সম্পাদিত ‘ঠিকানা ভাটি’ (১৯৯৬), ভৈরব থেকে সুরজন সংঘের অনিয়মিত ছোটকাগজ ফাহিম আহমেদ রুবেল সম্পাদিত ‘সাতমুখী’ (১৯৯৬), বাজিতপুর থেকে মোকাম্মেল হক সম্পাদিত ‘দলকলস’ (১৯৯৮), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ‘যাপিত কালের যাত্রা’ (১৯৯৯), ফয়সাল আহমেদ সম্পাদিত ‘কচিপাতা’ (১৯৯৯-২০০৬), মুজাহিদুল ইসলাম তমাল সম্পাদিত ‘কৃষ্টি’ (১৯৯৯), বাসিরুল আমিন সম্পাদিত ‘চন্দ্রাবতী’ (১৯৯৯), ২০০৬ সালে ‘চন্দ্রাবতী’র আরও একটি সংখ্যা বাসিরুল আমিনের সম্পাদনায় প্রকাশ পায়; বাজিতপুর থেকে সারোয়ার হোসেন শাহীন সম্পাদিত ‘মুক্তির সংগ্রাম’ (২০০০), ওয়ালীউল্লাহ খোকন ও ফুয়াদ বিন ইব্রাহিম বুলবুল-এর যৌথ সম্পাদনায় ‘রংধনু’ (২০০১), মো. হামিদ উদ্দীন ভূঁইয়া সম্পাদিত ‘দীপিকা’ (২০০১), সামিউল হক মোল্লা সম্পাদিত প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্কলন ‘দ্যোতনা’ (২০০১), ‘দ্যোতনা’ নামে প্রথম আলো বন্ধুসভার দ্বিতীয় সঙ্কলনটি ২০০২ সালে সম্পাদনা করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম, অষ্টগ্রাম থেকে নজরুল ইসলাম সাগর সম্পাদিত ‘শুভেচ্ছা’ (২০০১-০৩), নিকলী থানার মো. আবুল কাসেম সম্পাদিত ‘চেতনা’ (২০০২), বাজিতপুর থেকে রাতুল হরিৎ সম্পাদিত ‘দ্বিতীয়বার’ (২০০২), ২০০৮ সালে ‘দ্বিতীয়বার’-এর আরও একটি সংখ্যা বাজিতপুর থেকে প্রকাশ পায়, বাজিতপুর থেকে মো. ওয়াহিদুজ্জামান সম্পাদিত ‘দূত’ (২০০২-০৬), বাসিরুল আমিন সম্পাদিত ‘উত্থান’ (২০০৩), আর এম মিজানুল হক মলাই সম্পাদিত ‘শব্দশ্রম’ (২০০৩), বাজিতপুর থেকে সারোয়ার হোসেন শাহীন সম্পাদিত ‘প্রতিবাদ’ (২০০৩), শফিকুল ইসলাম দুলাল সম্পাদিত ‘নবঅঙ্কুর’ (২০০৩), হারুন আল-রশীদ সম্পাদিত ‘অভিযাত্রা’ (২০০৩), রায়হান মাহমুদ সম্পাদিত ‘চিৎকার’ (২০০৪), মহান একুশে ফেব্র“য়ারি উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বিশেষ স্মরণিকা শেখ মাসুদ ইকবাল সম্পাদিত ‘একুশে’ (২০০৪), আফরোজা সুলতানা সোমা ও মাহবুবা খান দীপান্বিতা সম্পাদিত ‘চন্দ্রদীপ’ (২০০৪), অধুনালুপ্ত কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক এসোসিয়েশনের পক্ষে আহমেদ উল্লাহ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুল হক, অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম ও বাসিরুল আমিন-এর যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘পিদিম’ (২০০৪), অনুশীলন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন-এর সঙ্কলন আসলামুল হক আসলাম সম্পাদিত ‘অনুশীলন’ (২০০৪), মাজহার মান্নার সম্পাদনায় ‘অনুশীলন’ ২০০৮ সালে পুনরায় প্রকাশ পায়, সাহিত্য সংগঠন জেগে ওঠো নরসুন্দার বিশেষ সাহিত্য সঙ্কলন আব্দুল হান্নান, আহমেদ উল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম জাহান, বাসিরুল আমিন প্রমুখের যৌথ সম্পাদিত ‘হৃদতরঙ্গে নরসুন্দা’ (২০০৫), বাজিতপুর থেকে সারোয়ার হোসেন শাহীন সম্পাদিত ‘চেতনা’ (২০০৫), কটিয়াদী থেকে আলী আক্কাস রেনু সম্পাদিত ‘উত্তোলন’ (২০০৫), করিমগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘মঙ্গলবার’ (২০০৫), পাকুন্দিয়া থেকে সোলায়মান কবির সম্পাদিত ‘প্রতিভা’ (২০০৫-০৬), কটিয়াদী থেকে মেরাজ রাহীম ও হারুন-অর-রশিদ সম্পাদিত ‘প্রত্যয়’ (২০০৫-০৬), শেখ অলিনেওয়াজ অলিউল্লাহ ও মো. রওশন আলী রুশো সম্পাদিত ‘উন্মোচন’ (২০০৫), কটিয়াদীর মসূয়া গ্রাম থেকে গোলাপ আমিন সম্পাদিত ‘সোনালি নীহারিকা’ (২০০৫), কিশোরগঞ্জ থেকে রাজ্জাক-সখিনা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত সাহিত্য সঙ্কলন ‘আলোকিত কিশোরগঞ্জ’ (২০০৬-০৭), পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ স্মরণিকা একেএম হুমায়ুন কবীর সম্পাদিত ‘স্বাধীন’ (২০০৬), ফয়সাল আখতার হিমেল সম্পাদিত ‘দিবস’ (২০০৬), বিপ্লব কুমার সাহা সম্পাদিত ‘প্রচিত’ (২০০৬), পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে প্রবীর কুমার সাহা (পথিক চাঁদ)-এর সম্পাদনায় প্রচিত-এর আরও একটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়, হারুন আল-রশীদ ও সামিউল হক মোল্লার যৌথ সম্পাদিত ছড়াপত্র ‘খামচা’ (২০০৭), ২০০৮-০৯ সালে হারুন আল-রশীদের একক সম্পাদনায় ‘খামচা’র আরও দু’টি সংখ্যা প্রকাশ পায়, শফিকুল ইসলাম উচ্ছ্বাস সম্পাদিত ‘কাব্যকথা’ (২০০৭-১০), তাড়াইল উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম হায়াতুল্লাহ’র সম্পাদনায় ‘তাড়াইল উপজেলা স্মারক’ (২০০৭), বাবুল রেজা সম্পাদিত ভাঁজপত্র ‘জানালা’ (২০০৮), আব্দুল্লাহ আল-মামুন পলাশ সম্পাদিত ‘ফড়িং’ (২০০৮), মাহবুব হাসান নাসিম সম্পাদিত ‘টর্নেডো’ (২০০৮), বাবুল রেজা সম্পাদিত ‘শব্দস্রোত’ (২০০৮-), সেলিম পারভেজ সম্পাদিত ‘উষসী’ (২০০৮), স্বপন কুমার শ্যামল সম্পাদিত ‘পদচিহ্ন’ (২০০৮), ফয়সাল আহমেদ সম্পাদিত ‘উত্থান’ (২০০৯), তাড়াইল থেকে হুমায়ুন রশীদ জুয়েল সম্পদিত ‘ধাপ’ (২০০৯), বাজিতপুর থেকে শাপলা কমল সাহিত্য সংসদ-এর শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক কাগজ নজরুল ইসলাম সৃজন সম্পাদিত ‘অন্যকাগজ’ (২০০৯-), তাড়াইল থেকে ছাদেকুর রহমান রতন-এর সম্পাদনায় সাদা অফসেট পেপারে ট্যাবলয়েড সাইজে প্রকাশিত তাড়াইল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের মাসিক মুখপত্র ‘তাড়াইল বিচিত্রা’ (২০০৯), ফয়সাল আহমেদ সম্পাদিত ‘কিশলয়’ (২০০৯), অষ্টগ্রাম থেকে নজরুল ইসলাম সাগর সম্পাদিত ‘বিজয় দর্পণ’ (২০০৯), মোস্তফা জামাল জানি সম্পাদিত ৪ পৃষ্ঠার ট্যাবলয়েড ‘মুক্তকথা’ (২০০৯), বাজিতপুর থেকে মানিকুজ্জামান মনির সম্পাদিত ‘বুনন’ (২০০৯), করিমগঞ্জ থেকে আলী আকবর সম্পাদিত ‘উঠোন’ (২০১০), করিমগঞ্জ থেকে মামুন উজ্জ্বল সম্পাদিত ‘আগুয়ান’ (২০১০), অষ্টগ্রাম থেকে নজরুল ইসলাম সাগর সম্পাদিত ‘রক্তিম সূর্য’ (২০১০), তাড়াইল থেকে ছাদেকুর রহমান রতন-এর সম্পাদনায় ‘মুক্তি’ (২০১১), ‘হাছামুছি’ (২০১১), মীর হেলাল-এর সম্পাদনায় ‘সেঁজুতি’ (২০১১) কটিয়াদী থেকে বদরুল আলম নাঈম-এর সম্পাদনায় ‘মুক্তি’ (২০১১), ‘গর্ব’ (২০১২), ‘একুশে’ (২০১২), ‘অগ্নিরথ’ (২০১২), ‘আনন্দ’ (২০১২), কিশোরগঞ্জ থেকে শিবনারায়ণ রায় সম্পাদিত রাজেন্দ্র-আশালতা ট্রাস্টের ছোটকাগজ ‘আশালতা’ (২০১২), কিশোরগঞ্জ থেকে মীর হেলাল-এর সম্পাদনায় ‘কাশফুল’ (২০১২), জাহাঙ্গীর আলম জাহান-এর সম্পাদনায় ‘বিকিরণ’ (২০১২),আমিন আশরাফ-এর সম্পাদনায় ‘ঘাসফড়িং’ (২০১২), হোসেনপুর সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে শাহ আলম বিল্লাল-এর সম্পাদনায় ‘অর্জন’ (২০১৩) এবং ‘রক্তজ’ (২০১৩), কটিয়াদী থেকে বদরুল আলম নাঈম-এর সম্পাদনায় ‘রক্তিম মার্চ’ (২০১৩), শফিক রৌদ্র সম্পাদিত ‘চৌমাথা’ (২০১৪), জাহাঙ্গীর আলম জাহান সম্পাদিত ছড়া বিষয়ক ছোটকাগজ ‘ছড়াসংক্রান্তি’ (২০১৫)।
এছাড়াও এ জেলা থেকে বিভিন্ন সময় আরও কিছু সঙ্কলন ও ছোটকাগজ প্রকাশ পেয়েছে। কাগজগুলো হাতের কাছে না থাকায় সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ-রকম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছোটকাগজ হচ্ছে ‘পদক্ষেপ’ (১৯৭৬), কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে প্রকাশিত ‘হাওর’ (১৯৮০) এবং কিশোরগঞ্জ শহর থেকে প্রকাশিত ‘উজ্জয়িনী’ (১৯৮৩)।
কিশোরগঞ্জের সন্তান, ৭০ দশকের অন্যতম কবি আবিদ আজাদ ঢাকা থেকে তার সম্পাদনায় দীর্ঘদিন নিয়মিত প্রকাশ করেছেন রুচিঋদ্ধ সাহিত্যের কাগজ ‘শিল্পতরু’ ও ‘কবি’। এ জেলাধীন বাজিতপুর থানার কথাসাহিত্যিক কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর তার নিজের সম্পাদনায় চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত প্রকাশ করছেন কথাসাহিত্যের কাগজ ‘কথা’। তাড়াইল থানাধীন তালজাঙ্গা গ্রামের তরুণ কবি রনজু রাইম ঢাকা থেকে তার কূশলী সম্পাদনায় প্রকাশ করছেন ছোটকাগজ ‘কবিতা সংক্রান্তি’ ও ‘কবিতা আশ্রম’। কিশোরগঞ্জের মেয়ে সুস্মিতা ভট্টাচার্য তার সম্পদনায় রাজশাহী থেকে বৃহৎ কলেবরের ছোটকাগজ ‘চন্দ্রাবতী’ প্রকাশ করে বোদ্ধামহলে প্রশংসিত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলাধীন জালুয়াপাড়া (কালিয়াচাপড়া) গ্রামের কবি মুহম্মদ আবদুল মজিদ ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে নিয়মিত সাহিত্যকর্ম করে আসছেন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাহিত্যপত্র ‘বাঙ্লা’র তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পাকুন্দিয়া উপজেলাধীন সালুয়াদী গ্রামের বিশিষ্ট লেখক ও ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ ঢাকায় অবস্থান করে ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন। তন্মধ্যে ‘শাণিত’ ‘ডিগবাজি জেনারেল’ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৮ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত ‘এ লাশ আমরা রাখব কোথায়’ শীর্ষক ছোটকাগজ সম্পাদনার সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন। তাড়াইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক দেলওয়ার বিন রশিদ ১৯৮৪ সালে নিজের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রকাশ করতেন চার ফর্মার ছোটকাগজ ‘পারাবার’ এবং ‘বউটুবানি’। এছাড়া তিনি ১৯৮৪-৯৬ পর্যন্ত ঢাকা থেকে ট্যাবলয়েড সাইজে ‘সাপ্তাহিক নয়াসমাজ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন। পত্রিকাটির তিনিই ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। কেএম শহীদুল হক ১৯৮৬ সালে ঢাকা থেকে ‘অনিয়ম’ নামের একটি ছোটকাগজ সম্পাদনা করতেন। এই কাগজের বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছিল। প্রয়াত সৈয়দুজ্জামান সেই ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে বাংলা একাডেমীর গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে ‘মেলা’ নামে একটি কাগজ নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করতেন। কিশোরগঞ্জ জেলার অধিবাসী শফিকুল ইসলাম তার নিজের সম্পাদনায় ২০০৯ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশ করেছেন ট্যাবলয়েড সাইজের ‘মাসিক মুক্তদেশ’ নামক একটি পত্রিকা। এটির বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। পত্রিকাটির সম্পাদনা মণ্ডলির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া নির্বাচনী আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাক্তার এম এ মান্নান
শেষ কথা: এর বাইরেও আরও অনেক মানসম্পন্ন স্মরণিকা, পত্রপত্রিকা ও ছোটকাগজ থেকে যেতে পারে। তথ্যপ্রাপ্তির অভাবে যেগুলোর আলোচনা এখানে সন্নিবেশিত করা গেল না। সাহিত্য সঙ্কলন, স্মরণিকা ও ছোটকাগজ ইত্যাদির প্রকাশনা একটি নিরন্তর অন্তহীন প্রক্রিয়া। এটি ধারাবাহিকভাবে চলতেই থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো অনুসন্ধিৎসু গবেষক এ বিষয়ে আরও তথ্য উদ্ঘাটনে এগিয়ে এলে স্মরণিকা, সঙ্কলন ও ছোটকাগজের একটি পরিপূর্ণ তথ্যচিত্র উঠে আসতে পারে বলে বিশ্বাস করি। সেই আগামীর অপেক্ষায় থাকলাম।