দেশ-বিদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে হলে আবেদনকারীকে সোশাল মিডিয়ার তথ্য দিতে হবে।

নরসুন্দা ডটকম   এপ্রিল ১, ২০১৮
সোশাল মিডিয়া

আমেরিকার ট্রাম্প সরকার বলছে – যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে চান তারা তাদের  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুক, টু্রাইটার,হোয়াটস অ্যাপে কি করছেন তা তারা জানতে চান।

এর ফলে, মার্কিন ভিসার আবেদনকারীদের প্রায় প্রত্যেককে তাদের ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

ভিসার আবেদনের গত পাঁচ বছরে তাদের সোশাল মিডিয়ায় কি পরিচিতি ছিল – তার সকল বিষয় জানাতে হবে আবেদনকারীকে।

গত পাঁচ বছরের সব টেলিফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং ভ্রমণের ইতিহাসও দিতে হবে। তাদের আরও বলতে হবে যে তারা আগে কোন দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন কিনা।  যারা ইমিগ্র্যান্ট এবং নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা চান – তাদের সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য এই তথ্য ব্যবহৃত হবে।

আবেদনকারীর কোন আত্মীয় সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত ছিলেন কিনা এসবও  তাদের জানাতে হবে।

ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স ও জার্মানির নাগরিকদের – যারা আমেরিকায় ভিসা মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পান – তাদের ওপর এ প্রস্তাবের কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ভারত, চীন বা মেক্সিকোর মতো দেশের ভ্রমণার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৫ সালে সেন্ট বার্নাডিনোতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু হয়। কারণ কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল যে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে আক্রমণকারীদের উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার আভাস ছিল, কিন্তু তারা তা চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

এর পর গত মে মাসে নিয়ম করা হয় যে কর্মকর্তারা প্রয়োজনে কারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকান্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

About the author

নরসুন্দা ডটকম