মাইগ্রেন বা দীর্ঘ সময়ের মাথা ব্যথা সারাতে প্রথমবারের মতো কার্যকর ঔষধ আবিষ্কার করার কথা বলছেন গবেষকরা। নতুন ঔষধটি আবিস্কার করে সেটিকে ভিন্ন মাত্রা হিসেবে বর্ণনা করছেন গবেষকরা।
কয়েক দশকে এই প্রথম কার্যকরী ঔষধ আসছে বলে বলা হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, মাইগ্রেন বা দীর্ঘ সময়ের মাথা ব্যথা সারাতে অন্য সব ঔষধ বা চিকিৎসা যখন ব্যর্থ হবে, তখন এই নতুন ঔষধ কাজ করবে। নতুন এই ঔষধটি হচ্ছে ইনজেকশন। মাসে একবার এই ইনজেকশন নেয়া যাবে। এর নাম দেয়া হয়েছে এরেনুম্যাব।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অল্প সময়ের মধ্যে মাইগ্রেন রোগীদের কাছে এই ঔষধ নিয়ে যাবে। যদি এর দাম সামর্থের মধ্যে বা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে। নতুন এই ঔষধের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এক চিকিৎসা বিষয়ক সম্মেলনে।
গবেষকরা বলেছেন, এই ঔষধ গুরুতর মাইগ্রেন আক্রান্ত এক তৃতীয়াংশ মানুষকে সাহায্য করবে। এতদিন চার ধরনের যে চিকিৎসা রয়েছে, তাতে অস্বস্তিকর মাথা ব্যথার নিরসন হচ্ছে। সেখানে নতুন এই ঔষধ কাজ করবে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন।
নতুন এই ঔষধ কিভাবে কাজ করবে?
একজন মাইগ্রেন রোগী মাসে যতবার এই রোগে আক্রান্ত হন, নতুন ঔষধ ব্যবহারে আক্রান্তের সেই হার অর্ধেকে নেমে আসবে। এরেনুম্যাব নামের এই ইনজেকশন মাইগ্র্রেনের অন্যান্য ঔষধ থেকে ভিন্নভাবে কাজ করবে। এটি উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এটি মাইগ্রেন প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করবে।
মাইগ্রেন সমস্যা মানুষকে কিভাবে ভোগায়?
মাইগ্রেন বা দীর্ঘ সময় ধরে অস্বস্তিকর মাথা ব্যাথ্যা ভুগছেন, এমন মানুষ আমাদের চারপাশেই রয়েছে। বৃটেনে সাতজনে একজন ভুগছেন এই মাইগ্রেন সমস্যায়। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা যখন ঘন্টার ঘন্টা বা দিন পেরিয়ে শেষ হয়না, তখন তার জন্য কাজ করা,বিশ্রাম নেয়া বা ঘুমানো, কোনটাই সম্ভব হয়না।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের ৩৭ বছরের র্যাচেল ওয়ালস ১৭ বছর বয়সে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন। দুই দশকে তিনি অনেক ঔষধ খেয়েছেন এবং বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল পাননি। তিনি বলছিলেন, “ব্যাথা যখন ওঠে, তখন একেবারে সহ্য করা যায় না। অনেক ঔষধ খেয়েছি। পেইন কিলার আমার আরও ক্ষতি করছে। আমার চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
গবেষকরা বলছেন, এখন নতুন ঔষধ একটা বড় পরিবর্তন আনবে। মানুষকে স্বস্তি দেবে।