দেশ-বিদেশ

গোয়েন্দা থেকে যেভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

নরসুন্দা ডটকম   মে ৮, ২০১৮
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

১৯৫২ সালের ৭ই অক্টোবর ভ্লাদিমির পুতিনের জন্ম।

পুতিনের শৈশব কেটেছে এক কঠিন পরিবেশে। বর্তমানে সেন্ট পিটসবার্গ, যেটি একসময় লেলিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল, সেখানেই বেড়ে ওঠেন তিনি। পুতিনের বাবা একটি কারখানায় কাজ করতেন এবং তার দাদা ছিলেন একজন বাবুর্চি।

তিনি যেখানে বেড়ে উঠেছেন, সেখানে ছোট বয়সে তার সঙ্গে স্থানীয় ছেলেদের সংঘাত শুরু হয়ে যায়। সে জন্য পুতিন জুডো খেলা রপ্ত করেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার আগেই পুতিনের স্বপ্ন ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে কাজ করার।

তার লড়াকু মনোভাব বিভিন্ন সময় নিজের কথাবার্তায় ফুটে উঠেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চতুর্থবারের মতো শপথ নিয়েছেন। তার বয়স এখন ৬৫ বছর। তিনি যে রাশিয়াকে আবার পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চান, সে বিষয়ে এখন আর কোনো রাখঢাক নেই।

ভ্লাদিমির পুতিন

২০১৫ সালে পুতিন বলেছিলেন- কোনো লড়াই যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তা হলে প্রথম আঘাতটা আপনাকেই করতে হবে। ৫০ বছর আগে লেলিনগ্রাদের রাস্তা থেকে তিনি এমন শিক্ষা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। আইন শাস্ত্র পড়াশোনা করা পুতিন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে করেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন।

স্নায়ুযুদ্ধের সময় তিনি তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে কেজিবির গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৭ সালে বরিস ইয়েলেৎসিন যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, তখন ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনে আসেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কেজিবির পরবর্তী সময়ে এ সংস্থাটি গঠন করা হয়েছিল।

১৯৯৯ সালে নতুন বছরের প্রাক্কালে মি: ইয়েলেৎসিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০০ সালের মার্চ মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মি: পুতিন অনায়াসে জয়লাভ করেন।

২০০৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেন। কিন্তু রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি পরপর তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তখন মি: পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে অংশগ্রহণ না করে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করেন। ২০১২ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

২০১৩ সালে পুতিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল। তার স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, পুতিন শুধুই কাজের মধ্যে ডুবে থাকতেন। কাজই ছিল তার নেশা। তার ছোট মেয়ে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রশাসনে উচ্চপদে চাকরি করেন। অন্যদিকে বড় মেয়ে একজন শিক্ষাবিদ।

About the author

নরসুন্দা ডটকম