মানুষ- সমাজ

মহান মে দিবস ও বর্তমান শ্রমিক সমাজ : আবদুর রহমান রুমী

নরসুন্দা ডটকম   এপ্রিল ৩০, ২০২০
মহান

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৭৫০ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধর্মে বর্ণে জাতিতে বিভক্ত হয়ে বসবাস করে। তারা স্ব স্ব দেশে নিজ নিজ ধর্মীয়, রাষ্টীয় দিবসসমূহ যেমন উৎসবের সাথে পালনের জন্য দিন গণনা করে, উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করে, তেমনি দুনিয়ার শ্রমজীবী মেহনতী মানুষেরাও অত্যান্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে কখন মে দিবস আসবে, কখন-‘দুনিয়ার মজদূর এক হও, লড়াই কর’ এই শ্লোগান আর লাল পতাকা হাতে নিয়ে মহা ধূমধামে, নেচে- গেয়ে, মিছিল মিটিংয়ের সাথে উৎসবের আমেজে মহান মে ও আন্তজার্তিক শ্রমিক সংহতি দিবস পালন করবে। স্বাধীন বাংলাদেশে মে দিবস এভাবেই পালিত হয়ে আসছে। এইদিন সরকারি ছুটির দিন।

কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস মহামারীর আকারে বিশ্বব্যাপী ছেপে বসায় দিবসটি আর সেভাবে পালিত হচ্ছে না। স্কুল কলেজ, অফিস আদালতসহ সবকিছু বন্ধ। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আজ প্রায় দেড় মাস যাবৎ দেশে সাধারন ছুটি বলবৎ রয়েছে। সঙ্গত কারনেই এ অবস্থায় মে দিবস অন্যান্য বছরের ন্যায় পালিত হবে না এটা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল।

মে দিবসের ইতিহাস কমবেশী সকলেরই জানা। আজ থেকে ১৩৫ বছর আগে ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘন্টা শ্রমঘন্টা নির্ধারনসহ অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘট চলাকালে রাষ্টপক্ষের দ্বারা অতর্কিতে শ্রমিকদের এক সমাবেশের উপর বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ১১ জন শ্রমিক প্রাণ হারান, অনেকে আহত হয়। অথচ এই হামলার জন্য শ্রমিক নেতাদেরকেই আসামি করে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং প্রহসনমূলক বিচারে ১৮৮৭ সালের জুলাই মাসে আন্দোলনের নেতা অগাস্ট,স্পাইজ, এঞ্জেলস,ফিসার, পার্সনস এদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। রাষ্টপক্ষ ভাবে এতে আন্দোলন স্থিমিত হয়ে যাবে, কিন্তু না, আন্দোলন থামানো যায়নি, বরং বহুগুনে বৃদ্ধিপেয়ে পূর্ব থেকে চলে আসা এই আন্দোলন শুধু আমেরিকা ইউরোপ নহে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

নিহত শ্রমিকের রক্তমাখা শার্টকে রক্তপতাকা বানিয়ে উড়িয়ে দিয়ে শ্রমিকরা সর্বাত্বক আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে এতে নিহত হয় আরো শত শত শ্রমিক। অবশেষে শাসকগোষ্ঠী শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হয়। অতপর ১৮৮৯ সনে ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষে কমিউনিস্ট ও সমাজতন্ত্রীদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্যারিস শ্রমিক সম্মলনে প্রতি বৎসর ১ মে তারিখে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস বা মে দিবস পালনের সিদ্বান্ত হয়, যা পরবর্তী বৎসর ১৮৯০ সন থেকে পালিত হতে থাকে। এভাবেই মহান মে দিবসের সৃষ্টি, যার পিছনে রয়েছে শ্রমিকশ্রেণীর বহু আত্বদান ও বিরোচিত লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। উল্লেখিত মে দিবস এবং শ্রমিকশ্রেণীর অব্যাহত আন্দোলন এবং আরো বৈশ্বিক নানা কারনে পরবর্তীতে দুনিয়ার বেশীরভাগ দেশে শ্রমিকশ্রেণীর রাজত্ব তথা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

যতদূর জানা যায় ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে মে দিবস পালন করা হয় আর আমাদের এই বঙ্গে ১৯২৯ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি সুতার কলে মে দিবস পালিত হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তান সরকারিভাবে কখনই মে দিবস পালন করা না হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক মে দিবসকে সরকারি ছুটির অন্তর্ভুক্ত করেন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবেই মে দিবস পালিত হয়ে আসছে। আমেরিকাসহ পৃথিবীর পূজিবাদী অনেক দেশে এখনো সরকারিভাবে মে দিবস পালন না করলেও বেসরকারিভাবে প্রায় সবদেশেই মে দিবস পালন করা হয়।

এদেশের মহান মুক্তি্যুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণীর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় নারায়ণগঞ্জ ,ডেমরা , আদমজী, সাভার, টঙ্গী থেকে শ্রমিকরা কলকারখানা বন্ধ করে দিয়ে পায়ে হেটে এসে ঢাকার বড় বড় মিছিল মিটিংয়ে যোগদান করতো। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনেক শ্রমিক শহিদ হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বড় বড় শিল্প কারখানা জাতীয়করণ করা হয়। নতুন নতুন আরো কিছু কারখানা গড়ে তোলা হয়।

আমাদের কিশোরগঞ্জে বড় কোন শিল্পকারখানা না থাকলেও কালিয়াচাপড়া চিনিকল, যশোদল জাতীয় চিনিকল পাকিস্তান আমল থেকেই ছিল। দেশ স্বাধীন হলে মুক্তি্যুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যশোদলে একটি টেক্সটাইল মিলস স্থাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর যে সমস্থ সরকার এসেছে তারা ঢালাও বিরাষ্টীয়করনের নীতি গ্রহণ করেন। বিশেষভাবে স্বৈরাচার এরশাদ এমনকি খালেদা জিয়ার আমলেও শত শত কারখানা বন্ধ করাসহ বিরাষ্টীয়করণ করা হয় এবং পরে পানির দরে সেগুলো বিক্রি করা হয়। আদমজীসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকাগুলো পরিনত হয় ভাগাড়ে। আমাদের কিশোরগঞ্জের কারখানাগুলোকে প্রথমে বন্ধ পরে বিক্রি করে দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিককে বেকার করে দিয়ে পথে বসানো হয়।

আমাদের বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শ্রমিকশ্রেনীভুক্ত হলেও সরাসরি শ্রমিক হিসাবে কাজ করে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মানুষ। তারাই দরিদ্র। প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যাই প্রায় কোটি। তারা বিভিন্ন দেশে স্বল্পবেতনে অমানবিক পরিবেশে কাজ করে। এরা নিজস্ব উদ্যোগে জমি জিরাত বিক্রি করে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ইতালী মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কালে অনেক সময় জেল বা জঙ্গলে আটকে থাকে নতুবা সাগরজলে ডুবে মরে। বিদেশে শ্রমিক রফতানীর ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত কোন সরকারই কোন সঠিক পন্থা ঠিক করতে পারেনি। যদিও প্রবাসী শ্রমিকদের অর্জিত আয়ই জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রবাসী শ্রমিকদের পরেই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর গার্মেন্টস শিল্প। এখানে কাজ করে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিক, যার অধিকাংশই নারী। তাদের মজুরী নায্যতার চেয়ে ঢের কম। বর্তমান করোনার সময়ে বিশ্ব যখন অচল। দেশের অন্যান্য অরগানসমূহ যখন বন্ধ। তখন গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে নিয়ে মালিকশ্রেণী যা খুশী তাই করছে। অতীতেও দেখা গেছে রানা প্লাজা, তাজরিন গার্মেন্টস এমনি খামখেয়ালীর জন্য ঘটেছে বড় বড় দূর্ঘটনা। এসবক্ষেত্রেও শাসকশ্রেণী সরাসরি মালিকশ্রেণীর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

দেশের অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের নাম পরিবহন। এখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে।এদেরই সহযোগী গ্রামীণ পর্যায়ে আরো কিছু শ্রমিক আছে, যাদেরকে শ্রমিক মালিকও বলা যায়। তারা সিএনজি, অটো, টমটম, মিশু নসিমন করিমন, ব্যাটারী চালিত যানবাহন। এখানেও এখন প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। এই সমস্থ নানা পর্যায়ের শ্রমিকদের নাই কোন নিয়োগপত্র, নাই কোন মজুরীর নির্ধারন মাত্রা। কর্মঘন্টার তো কোন বালাই নাই। ফলে দূর্ঘটনার আশংকা সব সময় থেকেই যায়।

নির্মান শ্রমিকদের সংখ্যা দিনদিন ব্যাপকহারে বাড়ছে। গ্রামে কৃষি থেকে উদ্বৃত্ত জনগোষ্ঠী হাতের কাছের রাজমিস্ত্রির যোগালী হওয়ার মধ্য দিয়ে সহজেই এই জগতে প্রবেশ করে। নির্মান শ্রমিকদের সংখ্যাও নেহায়েত কম না। আরো কয়েক বছর আগেই এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছিল ৩০ লক্ষ। এখন নিঃসন্দেহে এই সংখ্যা ৪০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া রয়েছে হোটেল শ্রমিক, ওয়ার্কশপ, ইটবাটা শ্রমিক, ইটভাঙ্গা, চা শ্রমিক, করাতকল শ্রমিক, রং মিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, রিক্সা ঠেলা ভ্যান, দোকান-কর্মচারী, দর্জি, কামার, কুমার, তাতী, জেলে, রেল, নৌ,সড়ক, বিড়ি, টুঙ্গা, চাতালসহ নানা ধরনের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ।

এই সমস্থ সেক্টরের প্রত্যোকটিতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। যাদের হিসাব সরকারের কোন পরিসংখ্যানে উঠে আসেনি। এছাড়া কৃষি শ্রমিক হিসাবে রয়েছে প্রায় তিন কোটি। যারা বৎসরে তিনমাসও কাজ পায় না। বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের ফলে প্রতি বছরই কৃষি থেকে ব্যপক হারে মানুষ বেকার হচ্ছে। সবার অলক্ষ্যে শ্রমিক হিসাবে আরো একটা শ্রেণীর আত্বপ্রকাশ ঘটেছে। সেটা হলো জেলা উপজেলা বা অবস্থাসম্পন্ন গ্রামীন কৃষকের ঘরে গৃহ পরিচারিকা হিসাবে একটা উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যায় নারীরা কাজ করে। এই সমস্ত অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের এই কোটি শ্রমিকের কোন হিসাব নাই। তারা যেদিন কাজ করবে, সেদিন নামকা ওয়াস্তে মজুরী পাবে। যেদিন অসুখ বিসুখ বা নিজের দায় নেই এমন কোন কারনে কাজ করতে পারবে না, সেদিনের মজুরী পাওয়ারতো কোন প্রশ্নই আসে না। তারা মে দিবসও বুঝে না। কোনদিন মে দিবসের কোন কর্মসূচীতে যায় না। মে দিবসে আজ এদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রকে নতুন করে ভাবতেই হবে।

বর্তমানে সরকার খুব উচ্চসুরে প্রচার করছে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে, দারিদ্র্য তার হার কমেছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, তা নকি প্রায় ২০০০ ইউ এস ডলার। যদি তাই হয় তাহলে হিসাব করলে দেখা যাবে পাঁচ জনের একটি পরিবারের মাসিক আয় হবে সত্তর হাজার টাকা। আমি এই হিসাবতো উপরোক্ত শ্রমিকদের কারো বেলায় মিলাতে পারি না। তাদের পরিবারের মাসিক আয় ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ হাজর টাকা। একটি পরিবারের বাসাভাড়াসহ নূন্যতম খরচ কত? তাই তারা খেয়ে না খেয়ে কোনক্রমে দিন পার করে আর হাড় ভাঙ্গা খাটুনি খাটে। সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসার তো কোন ব্যবস্থাই নাই। অমানবিক জীবন যাপন করে। এজন্য মে দিবসের সৃষ্টি হয় নাই, এজন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। আজকে বেকারত্ব বাড়ছে। প্রতি বৎসর প্রায় বিশ লক্ষ কর্মের হাত তৈরী হচ্ছে। রাষ্ট্র বড়জোর দুই আড়াই লাখ যুবকের কাজের ব্যবস্থা করতে পারে। বাকীরা বেকার হচ্ছে। জীবনের রাস্তা না পেয়ে নানা ভাবে বিপথগামী হচ্ছে।

আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস পালিত হয়। শ্রমজীবী মানুষও যে যে ভাবে পারে আনন্দ উৎসাহের সাথে মে দিবস পালন করছে। শ্রমিকদের নায্য মজুরী, কাজের পরিবেশ এবং অন্যান্য বিষয়ে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন বাংলাদেশে স্বীকৃত। কিন্তু এই অধিকার দিন দিন খর্বিত হতে হতে এখন নাই বললেই চলে।

আজ এই ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ সব সময় পাওয়ার পার্টি দখল করে রাখছে। নীতিহীন শ্রমিক নেতারা মালিক শ্রমিকের মধ্যে সমন্বয় করার পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থে মালিক পক্ষের দালালী করে। যারা সুষ্ঠু ধারায় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এগুলো হলো প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের বেলায়। অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের বেলায় তো এই সমস্থ বিধি বিধানের কোন সুযোগই নাই।

অথচ বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের তুলনায় অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের সংখ্যা বেশী। সময় এসেছে পুরো বিষয়গুলি নিয়ে ভেবে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের নইলে মুক্তিযুদ্ধ, মে দিবস, যথ উচ্চ আকাংখা সব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। পরিশেষে মহান মে দিবসের এই প্রেক্ষাপটে দেশবাসীসহ শ্রমিকশ্রেণীর নিকট স্পষ্টভাবে বলতে চাই- যেভাবে বেকারত্ব বাড়ছে, শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্য ভাঙছে, স্বপ্ন ভাঙছে। জীবনের দুঃখ দূর্দশা বাড়ছে, আহাজারি বাড়ছে, ধনী গরীবের বৈষম্য বাড়ছে, আজো শ্রমিকদের ৮ ঘন্টার পরিবর্তে ১০ ঘন্টা ১২ ঘন্টা খাটানো হচ্ছে। নায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নূন্যতম মানবিক মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য মে দিবসে ঐক্যবদ্ধভাবে দূর্বার আন্দোলনের শপথ নিতে হবে। বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সমতার সমাজ গড়তে হবে।এর কোন বিকল্প নেই। আসুন সেই লক্ষে সংগ্রাম জোরদার করে আত্মদানকারী শ্রমিকদের আত্মদান অর্থবহ করি। এই হোক আজকের মে দিবসের শপথ। দুনিয়ার মজদূর এক হও।

 

আর ও পড়তে পারেন….

তোমাকে খোলা চিঠি প্রিয় ইরফান : তুহিন শুভ্র মন্ডল

সব ঝুট হ্যায় ।। অতনু রায়

মুহাম্মদ : মহানবী (সঃ) এর জীবনী নিয়ে সৈয়দ কামরুল হাসান

About the author

নরসুন্দা ডটকম