নরসুন্দা ডটকম ডেস্ক:
খ্যাতিমান চলচিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের জন্মদিন আজ। তাঁর জন্ম ১৯২৫ এর ৪ নভেম্বর। মৃত্যু ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬।
তার মায়ের নাম ইন্দুবালা দেবী এবং বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক। তিনি বাবা-মায়ের ১১তম এবং কনিষ্ঠতম সন্তান। ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এবং ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পরে পূর্ববঙ্গের প্রচুর লোক কলকাতায় আশ্রয় নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়।
তাঁর বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং তিনি কবিতা ও নাটক লিখতেন। তার বড় ভাই ঐ সময়ের খ্যাতিমান এবং ব্যতিক্রমী লেখক মনীশ ঘটক ছিলেন ইংরেজির অধ্যাপক এবং সমাজকর্মী। আইপিটিএ থিয়েটার মুভমেন্ট এবং তেভাগা আন্দোলনে মনীশ ঘটক জড়িত ছিলেন। মনীশ ঘটকের মেয়ে বিখ্যাত লেখিকা ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী। ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী সুরমা ঘটক ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন।
তিনি বেঁচে ছিলেন মাত্র ৫০ বছর।কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে রেখে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।
তাঁর পরিচালনায় প্রথম ছবি নাগরিক (১৯৫২)। যদিও তা মুক্তি পায় তাঁর মৃত্যুরও পরে। তাঁর পরিচালনায় প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি অযান্ত্রিক (১৯৫৮)।
বাড়ি থেকে পালিয়ে, মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা, তিতাস একটি নদীর নাম, যুক্তি তক্ক গপ্পো— এসব ছবিতেও চেনা যায় অন্য এক ঋত্বিককে।
একসময় হতাশায়, অবসাদে একেবারেই যেন অন্য খাতে বইছিল তাঁর জীবন। তীব্র সুরাসক্তি, সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী চলে গেলেন বীরভূমে। এমনকি মানসিক হাসপাতালেও পাঠাতে হয়েছিল এই কিংবদন্তি পরিচলককে। পরে বাংলাদেশে এসে তৈরি করেন তিতাস একটি নদীর নাম।
কখনও নাটক লিখেছেন। কখনও মুম্বইয়ে গিয়ে লিখেছেন চিত্রনাট্য। আবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৈরি করেছেন তথ্যচিত্র। আবার কখনও পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে গিয়ে তৈরি করেছেন ভবিষ্যতের চিত্রনির্মাতাদের।
তাঁর জন্মদিনে নরসুন্দা ডটকমের শ্রদ্ধার্ঘ্য।