সুলতানা রহমান:
মাঝে মাঝে তাজ্জব লাগে-যিনি রিপোর্টার, তিনিই ক্যামেরা পারসন, তিনিই ভিডিও এডিটর-এই হলো নিউ ইয়র্কে টেলিভিশন সাংবাদিকতা করার বেসিক কারিগরি যোগ্যতা, যাকে বলে 360 ডিগ্রী।
বড় ইভেন্ট বা স্পেশাল স্টোরি বাদে সাধারন ঘটনা বা সাধারন প্রেসব্রিফিং একজন ব্রডকাস্টারকেই করতেই হয় সব কাজ।
বাংলাদেশে আমরা যারা টেলিভিশন সাংবাদিকতা করেছি, আমাদের জন্য অকল্পনীয়।
কিন্ত নিউইয়র্কে ছোটখাটো থেকে সিএনএন এনবিসি সবাই এই 360 সাংবাদিক চায়। এতে সুবিধা আছে-নিজের রিপোর্ট নিজের মতো করে করা যায়, ফুটেজ নেয়া থেকে শুরু করে এডিটিং-অন্যকে মানে রিপোর্টারের চিন্তা ক্যামেরাম্যান বা ভিডিও এডিটরকে বোঝানোর কিছু নেই। আমি নিজে এখন ছোট ক্যামেরা ট্রাইপড মাইক্রোফোন সেট করে নিজের কাজ কোনো রকম চালাতে পারি। তবে এক হাতে মাইক্রোফোন আর আরেক হাতে ক্যামেরা ধরে কেমন করে কাজ করা যায়-এখনো শিখতে পারেনি।
ভাবছিলাম এই নারী সাংবাদিকের কাছে শিখবো, বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে তাকে পর্যবেক্ষন করে বুঝলাম, ক্যামেরার জার্ক এড়াতে তার নিশ্বাস প্রায় বন্ধ, এমনকি প্রশ্ন করার সময়ও হাত এতোটুকু কাপলো না! তার ব্যস্ততা দেখে কথা বলারই সুযোগ পেলাম না!
feeling: ক্যামেরাম্যান ভিডিও এডিটর ভাই ব্রাদারদের কি হবে? নাকি রিপোর্টারদের দিন শেষ?