মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়েছে বিলাসবহুল একটি হোটেল। এতে একজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও দুজন।
ঐতিহ্যবাহী বার্মিজ স্টাইলে তৈরি হোটেলটির একটি বড় অংশ কাঠ ব্যবহার করে তৈরি হয়েছিলো। এটি পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় একটি স্থাপনা ছিলো।
একটি লেকের পাশে ১৯৯০ এর দশকে তৈরি হয়েছিলো যদিও এর পুরনো অংশটি তৈরি হয়েছিলো ১৯৩০ সালে যেটি ব্রিটিশ আর্মি সদস্যরা ব্যবহার করতো তখন।
স্থানীয় সময় রাত তিনটার সময় আগুনের সূচনা হয় এবং এরপর শতাধিক অগ্নিনির্বাপণ কর্মী কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে।
হোটেল থেকে তারা ১৪০জনেরও বেশি অতিথিকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
হোটেলটির একজন মার্কিন অতিথি এডরিয়েনে ফ্রিলট স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি ফায়ার অ্যালার্ম শুনতে পাননি। যখন হোটেলের লোকজন দরজা ধাক্কাধাক্কি করছিলো তখন তিনি জেগে ওঠেন।
তিনি বলেন, “বুঝলাম কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। দরজা খুলে ধোঁয়ার গন্ধ পেলাম”।
পরে হোটেল কর্মচারীদের সহায়তায় তিনি বেরিয়ে আসেন।
হোটেলটি থেকে বের করে আনা অতিথিদের ইয়াঙ্গুনে অন্য একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো জানা যায়নি।
হোটেলটির মালিক কর্তৃপক্ষ ঠু গ্রুপের মুখপাত্র টে লেইন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঠু গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বিতর্কিত বার্মিজ ধনকুবের টে যা, তিনি বার্মার সামরিক শাসনের সময় জান্তা সরকারের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।