শিল্প- সংস্কৃতি

একটি সিনেমার গল্পের প্রমোশনের জন্য ঢাকায় চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা

নরসুন্দা ডটকম   এপ্রিল ১১, ২০১৮
ঢাকায় ঋতুপর্ণা

শুটিংয়ে নয়, এবার শুধু দর্শক-ভক্তদের জন্য ঢাকায় এসেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ যাত্রায় এই নায়িকা তার অভিনীত ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিটি মুক্তি উপলক্ষে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানাতে এসেছেন। এই ছবিটি পরিচালনা করছেন নায়ক আলমগীর।

একটি সিনেমার গল্পের পরিচালক আলমগীর বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে ঋতুপর্ণা ঢাকায় এসেছেন। আগামীকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিটি নিয়ে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ঋতুপর্ণা পাঁচদিন বাংলাদেশে থাকবেন। সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দর্শকদের সঙ্গে উপভোগ করবেন।

‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিতে ঋতুপর্ণার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। আলমগীরের প্রযোজনা সংস্থা ‘আইকন এন্টারটেইনম্যান্ট’এর ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। এতে আরো অভিনয় করেছেন আলমগীর, চম্পা, সৈয়দ হাসান ইমাম, সাদেক বাচ্চু, সাবেরী আলম প্রমুখ।

আগামী শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) অর্ধশত হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। এই ছবির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে চিত্রনায়ক আলমগীর পরিচালিত ছবি ‘একটি সিনেমার গল্প’। এই ছবির কাহিনি, সংলাপ আর চিত্রনাট্য লিখেছেন আলমগীর নিজেই। গত বছর সেপ্টেম্বরে এফডিসিতে এই ছবির শুটিং শুরু হয়। এরপর টানা শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছবির কাজ শেষ হয়। ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র পরিচালনায় ফিরেছেন আলমগীর। এর আগে তিনি পাঁচটি ছবি নির্মাণ করেন। ছবিগুলো হলো ‘নিষ্পাপ’, ‘নির্মম’, ‘বউমা’, ‘মায়ের দোয়া’ ও ‘মায়ের আশীর্বাদ’।

‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবি নিয়ে ঋতুপর্ণার অনেক আশা। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর বাংলাদেশের একটা ছবিতে অভিনয় করেছি। মন থেকে চাই, আলমগীর ভাইয়ের ছবিটি সুপার-ডুপার হিট হোক। বাংলাদেশের ছবিপ্রেমী দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রেক্ষাগৃহে আসুন। আমরা সবাই অনেক ভালোবাসা নিয়ে ছবিটির কাজ করেছি।’

ঋতুপর্ণা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘এক কাপ চা’। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত এই ছবিতে তিনি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন। জানালেন ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে ঋতুপর্ণার কাছে বেশি ভালো লেগেছে সুরকার হিসেবে রুনা লায়লাকে পাওয়া। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘অনেক দিন পর আলমগীর ভাই একটা ছবি বানিয়েছেন। পরিচালক এবং অভিনেতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারা ভীষণ সৌভাগ্যের। তবে এই ছবির সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো সুরকার হিসেবে উপমহাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লা।

ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এবার চমৎকার মৌলিক একটি গল্প পাবে। মানুষের যে সাধারণ মূল্যবোধ থাকা দরকার, যা জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, এই ছবি দেখে তা আবার ফিরে পাবেন। ছবিতে এটাই দেখানোর চেষ্টা করেছেন আলমগীর ভাই।’

About the author

নরসুন্দা ডটকম