বলিউডের অন্দরে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, হৃতিক রোশন এবং সুজ়ান খান ফের বিয়ে করতে পারেন একে অপরকে। চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে দু’জনের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। হৃতিক একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, সুজ়ান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকে ছে়ড়ে চলে যাওয়ার। সংবাদ মাধ্যম এবং ভক্তদের হৃতিক অনুরোধ করেছিলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে তাঁদের যেন কোনও ভাবে উত্যক্ত না করা হয়।
কিন্তু বিচ্ছেদ ঘটে গেলেও তার পরবর্তী সময় থেকে দু’জনের মধ্যে যে বন্ডিং দেখা গিয়েছে, তা অকল্পনীয়। মূলত দুই ছেলে রেহান এবং হৃদানের জন্যই তাঁরা বিয়েতে ইতি টেনে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন বলে শোনা যেত তখন।
কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, দু’জনের ঘনিষ্ঠতায় কোনও ঘাটতি পড়েনি। সন্তানরা যদি তার আশি শতাংশ কারণ হয়, তা হলে হৃতিক-সুজ়ানের পারস্পরিক ভালবাসা অন্তত কু়ড়ি শতাংশ জায়গা করে নেবে। দু’জনের ঘনিষ্ঠরাও বলাবলি করেন যে, হৃতিক এবং সুজ়ান একেবারে ‘মেড ফর ইচ আদার’! তাই তাঁরা যদি আবার বিয়ে করেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার বিশেষ অবকাশ নেই।
আরো পড়ুন….
মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স আর্থ অপ্সরা
সম্প্রতি হৃতিক ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি দিয়েছিলেন, যেখানে সুজ়ান সমুদ্র সৈকতের একটি ভেকেশনে তাঁর এবং ছেলেদের ছবি তুলছেন। সেই ছবির সঙ্গে হৃতিক এটাও লেখেন, ‘সুজ়ান আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমার প্রাক্তন স্ত্রীও। কিন্তু এই ছবিটাই বলে দেয়, রেখা টেনে বা বিভিন্ন ধারণার মাধ্যমে আমরা যতই বিচ্ছিন্ন হতে থাকি না কেন, আবার এক হওয়া অসম্ভব কিছু নয়…’ এই পোস্টের পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে যে, সম্ভবত দু’জনে সম্পর্কে ফেরার কথা ভাবছেন।
বিচ্ছেদের পরেও দু’জনে যে ভাবে পারিবারিক সময় কাটিয়েছেন এবং প্রায়ই ফ্যামিলি ভেকেশনে গিয়েছেন তাতে ‘ডিভোর্স’-এর সংজ্ঞাটাই বদলে যেতে পারে। অথচ ‘ডিভোর্স’-এর উদাহরণ বলিউডে ভূরি ভূরি থাকলেও এ রকম সন্ধি কোনও দম্পতির মধ্যেই চোখে পড়েনি। ফারহান আখতার এবং অধুনা ভবানী কিংবা আরবাজ় খান এবং মালাইকা অরোরাও বিবাহবিচ্ছিন্ন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এ রকম ‘কর্ডিয়াল’ আচরণ কখনওই চোখে পড়েনি।
কিন্তু বিচ্ছেদটা হয়েছিল কেন? শোনা যায়, হৃতিকের একের পর এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই সুজ়ান সরে গিয়েছিলেন। বারবারা মোরি এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের নামও শোনা যায় হৃতিকের প্রেমিকার লিস্টে। সুজ়ানও নাকি অর্জুন রামপালের সঙ্গে সম্পর্কে গিয়েছিলেন। সেই ধারণায় আরও ইন্ধন জোগায় অর্জুন এবং মেহের জেসিয়ার ডিভোর্স। তবে বিচ্ছেদের পরে অর্জুন অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এবং হৃতিকের সঙ্গে কঙ্গনা রানাউতের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে যখন একের পর এক অভিযোগ কঙ্গনা তুলে ধরছেন এবং গোটা দেশ বিতর্কের আঁচে তপ্ত— সুজ়ান বিনা দ্বিধায় প্রাক্তন স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকেই বলেন, তার পর থেকে হৃতিকের চোখে সুজ়ানের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এখন তাঁরা সত্যিই দাম্পত্য জীবনে ফিরে আসবেন কি না, সেটাই দেখার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।