ভলো একটা বই পড়লে আমরা অন্তত কিছুটা বদলাই।
একটা বই পড়লে আমরা যতটা বদলাই তারচেয়ে অনেক গুণ বদলাই একটা ভালো বই লিখলে।
এমন অনেক পড়ুয়া দেখেছি যারা হাজার পড়লেও ভিতরে নির্বিকার। সম্ভবত তাদের নির্বিকার থাকার অল্টার ইগোটা এতই শক্তিশালী যে বই-টইয়ে তা কোনোভাবেই কাবু হয় না। এমন অনেক লেখকও আছেন যারা হাজার লিখেও একটুও বদলান না, ভিতরে তাদের কোনোই রূপান্তর ঘটে না।
গত প্রায় বছরখানেক আমি একজন লেখকের সঙ্গে ছিলাম। তাঁর বইয়ের সঙ্গে ছিলাম। তাঁর কবিতার সঙ্গে ছিলাম। সঙ্গে থাকতে থাকতেই আমি তাঁর লেখা কিছু কবিতা অনুবাদ করেছি।
ভালো অনুবাদক নই আমি। ভালো পাঠকও হতে পারিনি আজও। আমার সেই বন্ধুর মতো হতে পারিনি আজও যিনি একটি টেক্সটের অর্থ ও দ্ব্যর্থকতাগুলো, দ্যোতনা, ইশারা ও সম্ভাবনাগুলো চট করে অনুভব করতে পারেন এবং তা জ্ঞাপন করতে পারেন। সেই হিসেবে ভালো অনুবেদক কিংবা অনুভাবকও নই।
তারপরও আমি লেগে থাকি। লেগে থাকতে থাকতেই গত নয়-দশ মাসে অনুবাদ করলাম দক্ষিণ কোরিয়ার কবি কো উনের শতাধিক কবিতা। অনুবাদ কী হল, কেমন হল– সেসব বিচার-বিবেচনা আপনারা করুন। লেগে থেকে আমার যে উপকার হয়েছে সে হিসাব করছি আমি।
কো উনের কবিতায় ডুবে থেকে বদলে গেছি আমি। পাঠের কারণে কিংবা লেখার কারণে এক ধাক্কায় এত বিরাট বদল, অভ্যন্তরীণ বদল, এর আগে আর আসেনি।
লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।