সাহিত্য ডেস্কঃ
`বিষন্ন মন তবু ছুটে চলা’
– আবিদা সুলতানা
মনের বিষন্নতার গ্লানীর মাঝে যন্ত্রনার নিছক সম্মান
মিথ্যা কেড়ে নিয়েছে ঘর, নিঃশ্বেষে হয়েছে পর
প্রলোভনে কাঁপিয়ে উঠেছিল হৃদয় ক্রন্দন।
প্রবল ঐ ঘূর্ণিঝড় উঠেছে জীবনচক্রে, এ কোন বিচ্ছেদের ঘর!
ভেঙ্গেছে বিশ্বাস পরে গেছে চোরাবালির চর।
শিশু জন্মের মায়ের প্রসব বেদনা যতটাই না কষ্টদায়ক
তথাপিও হৃদয় প্রসঙ্গে এসেছে অতি সংঘাত জল্লাদের ফাঁসির মঞ্চ সাজ
যেন মৃত্যুদন্ডের চেয়েও ভয়াবহ-ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ে মনে।
নেমে আসে আসক্তি আর্তনাদ-হাহাকার, গেথে যায় আত্মার মাঝে কালো ছাপ।
অবশেষে জোয়ারের মত সমাজে কলঙ্ক ফিরে আসে
মিথ্যাচারে আহত শরীর মনে ছেয়ে যায় অপপ্রচার
আতঙ্ক অপমান আর নিজের প্রতি ঘৃণা
সংশয় কাটিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখি গভীর অন্তরালে
আবেগের অনুভূতিগুলো স্বপ্নের ভালোবাসা ও ঘর বাঁধা
গচ্ছিত শতাব্দীর শ্বাস্বত কালে ফেলেছি ছুঁড়ে।
শুরু হয় আঁকাবাঁকা পথ ধরে ধীর গতিতে চলা
মনের ন্যায়পরায়নতা আর সাথে ছিল অসীম আত্মবিশ্বাস
হয়েছিল ভালোবাসার লোভ, হয়েছিল ভুল, নিতে গিয়ে একখানা সুখের ফুল
গেঁথে গেলো বেঁধে কাটায়, রক্তাক্ত জড়ানো চোখে তখন থুবড়ে পড়ে থাকা বিপ্লবী মন
যা কিছু ছিল নিজস্ব, সবই দিয়েছি সঁপে অহংকারের মাঝে ঐ হিয়ালীপনায়
তথাপি দিগন্তের অগ্নিযুদ্ধ ঘনিয়ে নামলো এ কোন ফাগুন?
ধ্বংস হওয়া অন্তহীন গৃহবাসে জ্বেলে ওঠে আগুন।
হিংস্র বাঘের সম্মুখে খাবাড়ের থাবা থেকে ফিরে পাওয়া এ জীবন আমার
বাঁচার তাগিদের দুয়ার খুলে যে রয়, কি হায়!
অসহায় জীবনে স্বাগত জানাই এক আহ্বানে
প্রত্যাশায় ঈশান কোনে সারা দেয় বারবার
তেপান্তর পেরিয়ে প্রত্যাশার প্রেরণায় এক কোন অদৃশ্য পথ?
অবশেষে আবারও ঐ আত্ম সম্মানের আত্মবিশ্বাসের সেই সাঁকো ভেঙ্গে যায়।
দৈনন্দিন জীবন সংঘাতের মধ্য দিয়ে অনেক কষ্টে শুরু হয় মনোবল তৈরি করা
আবারও শুরু হয় বাস্তবতার মাঝে পাড়ি দেয়া
অতীতের গ্লানিগুলোকে ছুঁড়ে ফেলে সামনের পথে এগিয়ে চলা
যেখানে খুঁজে পাওয়াই বাস্তবতার প্রাণ।