বই স্তম্ভ, বই মন্ত্র। বই নতুন শতাব্দী, বই সভ্যতা। বই মৃণ্ময়, বই চিন্ময়। বই হৃদয়, বই আলো। বই মুগ্ধতা, অবিরল জলধারা, অনাবিল হাসি। যারা বই পড়েন তারা ধীমান, বহমান, বেদনাবান, মগ্ন, গভীর, আনন্দময়, বুদ্ধিমান ও অনির্বাণ। বই সংবাদী, বই বিবেকী, নিঝুম রাতের মগ্নতা। স্তব্ধতার গান। দুঃখ-জাগানিয়া। সুখ-উল্লাসী আনন্দ। বই পাথর, বই গুহাচিত্র, বই গাছের পাতা, বাকল, তুলোট কাগজ, বর্তমান সভ্যতার মোবাইল ও কম্পিউটারের কালো- সোনালি অক্ষর।
এমনও বাড়ি আছে যেখানে একটিও বই নেই। নানা সব বৈদ্যুতিন জিনিসে পরিপূর্ণ। ঘরে ঘরে টেলিভিশন। আমি এসব বাড়ি দেখলে অবাক হই। ওরা কি জানে না বই এমন একটি চারুপাঠ, যা শতাব্দী তৈরি করে। বিংশ শতাব্দী তৈরি করেছে দশখানি গ্রন্থ। এই দশখানি গ্রন্থকে বিংশ শতাব্দীর স্তম্ভ বলা হয়, যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে মহাসমুদ্রের মতো বিশাল বিংশ শতাব্দী।
এই বইগুলোর নাম- ১. ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিম। রচয়িতা সিগমন্ড ফ্রয়েড। বিষয়- মনোস্তত্ত্ব; ২. অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট। রচয়িতা এরিখ মারিয়া রেমার্ক। বিষয়- যুদ্ধ; ৩. দি ট্রায়াল। রচয়িতা ফ্রাঞ্জ কাফকা। বিষয়- অবিচার; ৪. লেডি চ্যাটার্লিস লাভার। রচয়িতা ডিএইচ লরেন্স। বিষয়- যৌনতা; ৫. ইফ দিস এ ম্যান। রচয়িতা প্রাইমো লেভি। বিষয়- ধ্বংস বা হলোকাস্ট; ৬. দি গ্রেপস অব র্যথ। রচয়িতা জন স্টাইনবেক। বিষয়- অভাব বা দারিদ্র্য; ৭. এ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া।
রচয়িতা অ্যাডওয়ার্ড মরগান ফরেস্টার। বিষয়- জাতিভেদ; ৮. এনিম্যাল ফার্ম। রচয়িতা জর্জ অরওয়েল। বিষয়- টোটালিটারিয়ানিজম; ৯. দি আউট সাইডার। রচয়িতা আলবার্ট কামুর। বিষয়- বিচ্ছিন্নতাবাদ; ১০. দি সেকেন্ড সেক্স। রচয়িতা সিমোন ডি বোভেয়ার। বিষয়- নারীবাদ।
এবার বইগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করছি। এই বইগুলো নিয়ে কথা বলেছিলেন টম রোজেনদেল নামের একজন বিখ্যাত সমালোচক-লেখক। সেই লেখাই আমার আজকের লেখার সূত্র। কেন তিনি এদের সাহিত্যের দশখানি স্তম্ভ বা লিটারারি ল্যান্ডমার্ক বলেছেন?
আমার আলোচনার প্রথম বই- ‘দি ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিম’। লেখক সিগমন্ড ফ্রয়েড। তার জন্ম হয় ১৮৫৬ সালে। তিনি পেশায় ছিলেন ডাক্তার। এরপর সাইকোআনালিলিস বা মনোস্তাত্ত্বিক বিশ্নেষণের পিতা হিসেবে আজ সারাবিশ্বে সিগমন্ড ফ্রয়েড চিহ্নিত। তিনি নানাভাবে জানতে চেয়েছিলেন মানুষের অবচেতন মনের কাজ-কারবার। এসব গবেষণার ফল হিসেবে ১৯০০ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিম’ নামের সাড়া জাগানো বইটি। মানুষ চেতন-অবচেতন মন নিয়ে ভাবতে শুরু করে। ডাক্তার, শিক্ষক, সাইকোলজিস্ট, আইনজ্ঞ সবাই তাকে গুরু মানলেন। স্বপ্নতত্ত্ব বা ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিম অবচেতন মনের বিপুল বৃদ্ধিদৃপ্ত নতুন গবেষণা। সবাই বিস্ময় মেনেছে এই গ্রন্থের মন, অবচেতন মন ও শরীরের ঘটনায়।
এরপরের আলোচনার বই- ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। এর শিরোনাম যুদ্ধ। লেখক এরিখ মারিয়া রেমার্ক। ১৮৯৮ সালে লেখকের জন্ম। ১৯১৬ সালে যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে যেতে হয় তাকে। তারপর তার গ্রন্থ যখন প্রকাশ হয় নাৎসিরা তাকে পছন্দ করেনি। এ গ্রন্থ প্রথম বার্লিনে প্রকাশ হয় ১৯২৯ সালে। এ গ্রন্থ তন্ময় ও মগ্ন রচনা, যা বারবার বলে শান্তির কথা। বিষয়বস্তু :প্রথম মহাযুদ্ধের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। যুদ্ধে যে কুশ্রিতা, অশুভ ঘটনা লুকানো থাকে, সে কথাই রেমার্ক বলেন। ট্রেঞ্চের মানুষ কঠিন আমাশয়ে ভুগছে, নানা ভয়ঙ্কর খাবার খেতে তারা বাধ্য, তাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ নেই। তারা সব সাধারণ সৈনিক।
পরিখায় আতঙ্কিত সৈনিক, ভয়াবহ জীবন, বড় বড় ইঁদুরের ছোটাছুটি, গর্তে অনিশ্চিতভাবে লুকিয়ে থাকে, শরীরে পোকা ও উকুন। শান্তিতে যা থাকে, যুদ্ধে কি তাই থাকে? তাই তো দশটি স্তম্ভের একটি এই অসাধারণ উপন্যাস।
আলোচনার তৃতীয় বইয়ের নাম- ‘দি ট্রায়াল’। রচয়িতা ফ্রাঞ্জ কাফকা। ১৮৮৩ সালে তার জন্ম হয় প্রাগে। এই বইটির শিরোনাম- অবিচার। মারা যান যক্ষ্ণায়। ট্রায়াল লেখা শুরু করেছিলেন ১৯১৪ সালে। জার্মানিতে প্রথম প্রকাশ হয় ১৯২৫ এবং ব্রিটেনে ১৯৩৭ সালে। এই বইটির প্রথম পঙ্ক্তিই সাড়া জাগিয়েছে। কেউ নিশ্চয় জোসেফ কে সম্পর্কে মিথ্যা দোষারোপ করেছিল। কারণ একদিন সকালে তাকে ধরা হলো, খারাপ কোনো কিছু করেনি তা সত্ত্বেও। এই পৃথিবীর বিচার নিয়ে লেখকের কোনো বিশ্বাস ছিল না। নিজে আইন পড়েছিলেন। জোসেফ কে লড়েছেন এক বিরাট শক্তির বিরুদ্ধে। তারপর তলিয়ে গেছে। ‘কোথায় সেই বিচারক, জোসেফ কোনোদিন তাকে দেখেননি, কোথায় সেই আদালত, যেখানে জোসেফ কখনও পৌঁছাতে পারবে না; কিন্তু জোসেফ বুঝতে পারছেন, দু’জন অপরিচিত মানুষের হাত তার গলায়, তাদের উদ্যত চাকু খাঁড়ার মতো ঝুলছে’- এই অবিচারের কোনো শেষ নেই।
এরপরের দশটির একটি ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’। লেখক ডিএইচ লরেন্স। ১৮৮৫ সালে এই লেখকের জন্ম। কেন এই গ্রন্থ লিটারারি ল্যান্ডমার্কের একটি? কনসান্স চ্যাটার্লি বিয়ের একমাস পরে ফ্ল্যান্ডর্স যুদ্ধে সর্বস্ব খোয়ানো স্বামী ফেরত পেলেন। শরীরের ক্ষুধা বুঝলেন। অতঃপর একসময় পেলেন বাগানের মালি মেলোরকে এবং অতৃপ্ত যৌনতার পথ পেরিয়ে তিনি পৌঁছালেন আর এক শুদ্ধ-সুন্দর খাবারের কাছে এবং শরীরের ক্ষুধা মেটালেন। মেলোরের উদ্ধত-উদ্দীপ্ত পুরুষাঙ্গ বিজয় পতাকার মতো শক্তিহীন, অক্ষম, উচ্চশ্রেণির পুরুষদের ব্যঙ্গ করল। আজকাল যা লেখা হয়; যেমন ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’ তার কাছে লেডি চ্যাটার্লি তো শিশু। প্রথমে অশ্নীলতার জন্য বইটি প্রকাশ হয়নি। ১৯৬০ সালে পেঙ্গুইন বইটি ছাপাল। প্রচুর কাটতি হলো। এ মানুষের মুক্ত ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।
এই লিটারারি ল্যান্ডমার্কের পাঁচ নম্বর বই প্রাইমো লেভির ‘ইফ দিস এ ম্যান’। ১৯১৯ সালে তুরিনে প্রাইমো লেভির জন্ম। তিনি হিটলারের নাৎসিদের কারণে অক্সউইচ প্রিজন ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন। এখানে ১২৫ জনের ভেতর তিনজন প্রাণে বেঁচেছিল। সেই তিনজনের একজন প্রাইমো লেভি। ‘ইফ দিস এ ম্যান’ তার এক বছর অক্সউইচ জেলে থাকার ঘটনা। নাৎসিদের ভয়ানক সাডিস্ট অত্যাচার। ছয় মিলিয়ন জুর সঙ্গে কয়েক মিলিয়ন সমকামী, কমিউনিস্ট। এরা সব ‘সাব হিউমান’ নামে চিহ্নিত এবং মেরে ফেলা হয়। এই গ্রন্থ যে কোনো মানুষকে অশ্রুসিক্ত করে। শতাব্দীর ভয়াবহ অবর্ণনীয় নারকীয় কষ্ট। এই গল্প বলে, মানুষের সহ্য করার কথা শেষ সীমার কথা; একবিন্দু স্নেহের শক্তির কথা। সবাই বলে, শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন; তবে এ প্রমাণ করা খুব শক্ত।
এবার আসছি ছয় নম্বর লিটারারি ল্যান্ডমার্কে। এই গ্রন্থের নাম ‘দি গ্রেপস অব র্যথ’। লেখক জন স্টাইনবেক। ১৯০২ সালে স্যালিনাম ভ্যালিতে তার জন্ম। পড়াশোনা করেছিলেন মেরিন বায়োলজিস্ট হিসেবে; কিন্তু বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন ভূমি শ্রমিক হিসেবে। তার বিখ্যাত গ্রন্থের একটি আমি অনুবাদ করেছি- ‘অব মাইস অ্যান্ড ম্যান’। প্রিয় বই ‘ইস্ট অব ইডেন’। জোড পরিবারের দুঃখ-দুর্দশা ও অভাবের গল্প। এখানে আছে কিছু হতদরিদ্র মানুষ, যারা কোনোমতে বাঁচে। অভাব ঘটছে কোথায়? শক্তিশালী আমেরিকায়। ভাবা যায়? বিবিধ স্বার্থবাজ কর্মচারী, দালাল এদের অত্যাচারে জর্জরিত মানুষ। জোড পরিবার যখন দেখল, তাদের খামারবাড়ি ধুলো ছাড়া আর কিছু উৎপাদন করে না; তারা যেতে চাইল কোনো এক সবুজ সমৃদ্ধি ভরা বিশাল উপত্যকায়। একটা ট্রাকে করে তারা রওনা দিল। পুরো পরিবার বিক্রি হলো মাত্র ২০ পাউন্ডে। দুর্নীতিপরায়ণ শেরিফ ও ঠিকাদার বারবার ওদের অপমান করেছে। ক্ষুধা ও হঠকারিতা এই উপন্যাসের প্রধান বিষয়বস্তু। ‘ডাস্ট বোল মাইগ্র্যান্ট’ ছুটছে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে। দারিদ্র্যের গল্প স্টাইনবেকের মতো আর কেউ করতে পারেননি। সেই গল্প করেছেন আমেরিকায় বসে।
এরপরের গ্রন্থে আছে রেস বা জাতিভেদের কথা। গ্রন্থ ‘এ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’। লেখক অ্যাডওয়ার্ড মরগান ফরেস্টার। ১৮৭১ সালে তার জন্ম হয়। সারাজীবন বিয়ে করেননি। ১৯২১ সালে ভারতের এক রাজার সেক্রেটারিরূপে কাজ করেন। ১৯২৪ সালে এই গ্রন্থটি প্রকাশ হয়। এটি একটি মহৎ উপন্যাস। নানা ধরনের ঘটনায় পরিপূর্ণ। সাহিত্য মানে সংযোগ! এই বইটি পড়তে গেলে তা মনে পড়ে। ডাক্তার আজিজ ও এডেলা কোয়েস্টেটের গল্প। এদের ঘটনা নিয়ে চন্দপোরে যা হয়েছিল এই গ্রন্থের সেটি প্রধান কথা। আজিজ ও এডেলা গুহার ভেতরে ঠিক কী করেছিলেন বোঝা যায় না। পরের ঘটনা জাতিভেদের কথা মনে করিয়ে দেয়। ভারতীয় ও ইংরেজে বন্ধুত্ব হয় না। এই দুই জাতি মিলেমিশে আত্মার চিরস্থায়ী সম্পর্ক করতে পারে না।
স্তম্ভগুলোর আট নম্বর বই ‘এনিম্যাল ফার্ম’। রচয়িতা জর্জ অরওয়েল। তিনি ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো বইটি ‘অ্যালিগরিক্যাল’। ১৯৪৫ সালে অনেক বাধা ডিঙিয়ে বইটি প্রকাশ হয়। ভিক্টোরি ইউরোপের পরের দিন। এ এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে একটিও শব্দ বদলানো যায় না। শোনা যাক সেই ওল্ড মেজর কী বলছেন- ‘একি একেবারে পরিস্কার নয় কমরেড, আমাদের দুর্দশার কারণ মানবজাতি। মানুষকে শেষ করতে হবে, তাহলে পরিশ্রমের ফল ভোগ করতে পারব আমরা।’ এরা কোন মানুষ? প্রায় ৬৪টি ভাষায় বইটি অনুবাদ হয়েছে। এ কমিউনিজম নিয়ে ব্যঙ্গ নয়। এ হলো ‘টোটালিটারিয়ানিজমের’ ভয়াবহতার গল্প।
এর পরের বইটি বা স্তম্ভ হলো আলবার্ট কামুরের ‘দি আউট সাইডার’। এখানে আছে অ্যালিয়েশন বা বিচ্ছিন্নতার কথা। এই বই সম্পর্কে কামুর এক কথায় বলেন- যিনি মায়ের ফিউনারালে কাঁদে না তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতে হয়। এই সমাজে মিরসল্ট আউট সাইডার। মানুষের জীবনে নানা বৈপরীত্য, সমাজে যে কেবল বহিরাগত, থেকেও নেই, যার জীবনে মূল্যবোধের কোনো ব্যাপার নেই, তেমনি একজন মিরসল্ট। সে আরববাসীকে খুন করে। এরপর আদালতে তার কোনো চিত্ত-বৈকল্য হয় না। আর মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নায়ক বলে- আমি চাই আমার মৃত্যুর পর ঘৃণার পুষ্পবৃষ্টি ঝরুক। ও কখনও ভালোবাসা ও ঘৃণার পার্থক্য করতে পারে না।
স্তম্ভের ‘বুক এন্ডের’ মতো যে বইটি, তার নাম ‘দি সেকেন্ড সেক্স’। রচয়িতা সিমোন ডি বোভেয়ার। সার্ত্রের সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর মতো শানিত, বুদ্ধিদীপ্ত। এই গ্রন্থ পশ্চিমা জগতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব আনে। নিজের জীবন নানাজনের সঙ্গে মিশেও ফিরে আসেন সার্ত্রের কাছে। কারণ তারা কোনো বন্ধন বিশ্বাস করেন না। এ গ্রন্থের পাতায় পাতায় তার জ্ঞান ও বোদ্ধামানস ঝকঝক করে। কোনো ভণ্ডামি বা ছলাকলা নেই। নারী কেবল নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার অধিকারবঞ্চিত। কখনও সে পুরুষের খেলার সঙ্গী বা নর্মসহচরী। এর বাইরে কি আর কিছু থাকে? এই কথাই সিমোন বারবার বলেন। এই বইগুলো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। শব্দের সীমাবদ্ধতার জন্য এখানে শেষ করতে হবে। এ ছাড়াও আছে মণিমুক্তার মতো অসংখ্য বই।
শুরু করেছিলাম বইয়ের স্তোত্র গেয়ে। এবার শেষ করছি একটি মন খারাপের ঘটনা দিয়ে। ১৯০১ সালে লন্ডনে ফয়েলস নামের পাঁচতলা বইয়ের দোকান হয়। বিক্রির পরিমাণ ছিল বছরে পাঁচ মিলিয়ন পাউন্ড। এবারে বিক্রির পরিমাণ কমতে কমতে ৯০ হাজার পাউন্ড। বইয়ের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। ‘ওয়াটার স্টোন’ কিনে নিয়েছে। এর দোষ কি আমাজন ডটকম? না লোকজন কাগজের বই কম পড়ছে। কে বলবে?
ব্রিটেন প্রবাসী কথাসাহিত্যিক । সূত্র: সমকাল। প্রকাশ- রোববার, ০৭ অক্টোবর ২০১৮।।