(এক)
ভেতরবাসী নেকড়ে
না, কোনো রজ্জুতে নয়,
অন্তস্থ শিকলে বেঁধে রাখি
রক্তচন্দ্রের নেকড়ে;
যে কেবল জোৎস্নার নয়,
নিজের ছায়াকেও ছিঁড়ে খায়।
কদাচ সে বিদ্রোহী হয়,
চিৎকারে কাঁপিয়ে তোলে
ঘনবসতির লোকালয়;
যেখানে মানুষেরা নয়,
নেকড়েরা মুখোশ পরে।
তবুও প্রাণপণে বেঁধে রাখি
আমার ভেতরবাসী নেকড়ে,
সে বাঁধনমুক্ত হলে
আমি আর মানুষ থাকবো না,
থাকবো কেবল এক আর্তনাদ।
(দুই)
মৃতরাগের দাহ
তোমার স্যাঁতস্যাঁতে গুহা,
বছরের পর বছর যেখানে
জমে আছে মৃতরাগ।
কেউ জানে না,
কতকাল সূর্য ঝুলেছিল
তোমার জানালার কার্নিশে,
শুধু শুকিয়ে দিতে আর্দ্রন্ধকার।
আজ আকাশে উদোম সূর্য,
মনগুহা শুকিয়ে নাও, নারী,
উবে যাক মৃতরাগের গন্ধ।
(তিন)
পলাতক হবো
একদিন আমিও পলাতক হবো।
রক্তের গন্ধ ফেলে, নাড়ীর দড়ি ছিঁড়ে,
শেকড়ের শব্দে ফিরে যাবো না।
থাকবে চৌকাঠের ছায়া,
আধভাঙা উচ্চারণ, আর
একটা নিঃশ্বাসের ছেঁড়া খসড়া।
আমি যাবো, উপড়ানো মাটির গন্ধে,
যেখানে সময় গিলে খায় সময়,
আর অবশ অবশেষ, শেষমেশ
নিজস্ব মাটিতেই রেখে যাবো আত্মলিপি।
