নরসুন্দা ডটকম ডেস্ক:
পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল তাঁকে দেখতে। আজ থেকে তো তিনিই এই গ্রামের অভিভাবক। যাঁকে এতদিন দেখা যেত টেলিভিশনের পর্দায়। যাঁকে দেখে মনে হত ধরা ছোয়ার বাইরের কেউ। সেই মানুষটাকে দেখতে যে এ ভাবেই আবেগে ভাসবে মানুষ সে তো জানা কথাই। তিনি আর কেউ নন, তিনি সচিন তেন্ডুলকর।
বুধবার আরও একটি গ্রামকে দত্তক নিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। ক্রিকেট পরবর্তি জীবনে এটাই সচিনের সব থেকে বড় মাস্টার স্ট্রোক। এ ভাবে তো আগে কেউ ভাবেননি। তিনি যে ব্যাতিক্রম সেটা আবার প্রমাণ করলেন গ্রাম দত্তক নিয়ে। এর আগেও নিয়েছিলেন। এটি সেই তালিকায় দু’নম্বরে।
অন্ধ্রপ্রদেশের গুডুর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুট্টামরাজুভারি কান্দ্রিগা গ্রাম। ৬০০ মানুষের বাস সেখানে। সচিনকে দেখতে পুরো গ্রামের সঙ্গে আসপাশের গ্রাম থেকেই চলে এসেছিলেন অনেকে। শুধু তাই নয়, সেই গ্রামের বৃদ্ধ দম্পতি বিজয় লক্ষ্মী ও গোপালাইয়ার বাড়িতে বসে চাও খান তিনি। তাতে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এই গ্রামে এলেন সচিন।
প্রথম যখন এসেছিলেন এই দম্পতিকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন পরের বার এসে তাঁদের বাড়িতে চা খাবেন। মনে রেখেছেন তিনি।
গ্রামের যাবতীয় প্রয়োজন এ বার থেকে দেখবেন সচিন। সেইভাবেই জেলা প্রশাসনকে বার্তা দিয়ে গেলেন তিনি। তেন্ডুলকর বলেন, ‘‘গ্রামের পরিবর্তন দেখে আমি খুশি।’’ প্রায় ৯০ মিনিট গ্রামে ঘুরে ঘুরে সকলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সচিন গ্রাম দত্তক নেওয়ার পর যে সব বিষয়গুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন তার মধ্যে স্কুল, খেলার মাঠ, পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ, ২৪ ঘণ্টা পানীয় জলের ব্যবস্থা। এদিন চেন্নাই থেকে হেলিকপ্টারে এই গ্রামে পৌঁছন সচিন। গ্রামের সবাইকে সচিন অনুরোধ করেন, নেশামুক্ত গ্রাম গড়ার। বলেন, ‘‘নেশা না করে সেই সময়টা পরিবারের সঙ্গে দিন। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে থাকুন, আরও কাছাকাছি আসুন। সকলের সঙ্গে সময়টা উপভোগ করুন।’’
এখানে ১০ একর জায়গায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সচিন। আরও সব খেলাও এখানে করার ব্যপারে কথা বলেছেন সচিন। আবার এই গ্রামে আসবেন সচিন যখন এই মাঠ তৈরি হয়ে যাবে আর একটা পরিবেশ তৈরি হবে। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে সেলফিও নেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।