১৯ বছরের পুরনো কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়ে কারাগারে যেতে হচ্ছে বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চলে আসা কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার রুপি অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরের বিচারিক আদালত বলিউডের ‘ভাইজান’র বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। সালমান ছাড়াও সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলম এই মামলার আসামি ছিলেন। তবে ১৯৯৯ সালে দায়ের করা এই মামলায় সালমান ছাড়া বাকিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, ‘কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগে সালমানকে ফাঁসানো হয়েছে’ বলে গত ৪ জানুয়ারি জোধপুর আদালতে দাবি করেন সালমান খানের আইনজীবী। সাক্ষীরা মিথ্যে বয়ান দিয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে ১৯৯৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে সালমান খান ২টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন বলে অভিযোগ। বন্যপ্রাণী রক্ষা আইনের ৯/৫১ ধারায় এই বলিউড অভিনেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। খাসাসপ্রাপ্ত পঞ্চম ব্যক্তির নাম দুশান্ত সিং, তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা।
মামলাটির চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিলো ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের ২৪ মার্চ দুই পক্ষের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হয়। এরপর ৫ এপ্রিল চূড়ান্ত রায়ের দিন ধার্য করেন যোধপুর আদালত। এদিন সালমান খান ও অন্য অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে রায় দেন প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খাতরি।
২০০৭ সালে যোধপুর কারাগারে কয়েকদিন বন্দি ছিলেন সল্লু। তারপর জামিনে মুক্ত হন তিনি। গত বছর এই মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে এই রায়ের ওপর আবারও আপিল করা হলে কারাদণ্ড ঘোষিত হলো সালমানের বিরুদ্ধে।