যোধপুর সেন্ট্রাল জেল খেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে গেলেন সালমান খান। তিনি একটি চার্টার্ড বিমানে মু্ম্বই উড়ে যাচ্ছেন। বলিউড ও অনুগামীদের প্রত্যাশামতই জামিন পেয়ে গেলেন সলমন খান। ঠিক বেলা তিনটায় বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশী তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। রায়দানের সময় আদালতে ছিলেন সালমানের বোন আলভিরা ও দেহরক্ষী শেরা।
দুটি ২৫,০০০ টাকার বন্ড ও ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন সালমান। আদালত বলেছে, ৭ মে এজলাসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। বিদেশ যেতে হলে নিতে হবে আদালতের অনুমতি। সালমান জামিনের কাগজপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা জেলে পৌঁছলে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। তাঁর জেল মুক্তির ৪ পাতার আদেশে সই সহ শেষ।
সেশনস কোর্ট থেকে জামিনের আবেদন যাবে আগে ট্রায়াল কোর্টে। সেখান থেকে মুক্তির নির্দেশ যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে যাবে, যেখানে সালমান খান বন্দি। তারপরই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। সব কিছু শেষ করতে সন্ধা হয়ে যেতে পারে। সূর্যাস্তের মধ্যে জামিনের কাগজ জেলে পৌঁছে গেলে সন্ধায় বেরিয়ে আসবেন তিনি।
আজ আদালতে সালমানের আইনজীবী হস্তিমল সারস্বত বলেন তাঁর মক্কেল কখনও জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেননি, ডাক পড়লে নিয়মমাফিক আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আগের আচরণের কথা মাথায় রেখে তাঁর জামিন মঞ্জর হোক।
এর আগে কৃষ্ণসার শিকার মামলায় অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের খুপরিতে পরপর দু’রাত্তির কাটাতে বাধ্য হন ভাইজান। পরিস্থিতি এমন যে আশঙ্কা দেখা দেয়, এই জেলবাস তাঁর শেষ নাও হতে পারে। আজ তাঁর জামিনের আবেদনের রায় বার হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বদলি হয়ে যান সংশ্লিষ্ট বিচারক। ফলে অনেকেই বলেন, যতদিন না নতুন বিচারক কাজ বুঝে নিচ্ছেন, ততদিন জেলেই কাটাতে হবে কৃষ্ণসার হত্যার অপরাধী সালমান খানকে।
কুলার খাটিয়া ও চারটে কম্বল সম্বল করে জেলের মধ্যে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন বলিউডের কার্যত একচ্ছত্র সম্রাট। হাহাকার পড়ে যায় অনুগামীদের মধ্যে, ফিল্মি দুনিয়ারও মাথায় হাত। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব জেল থেকে বার করতে মরিয়া তাঁর আইনজীবীরা । গতকাল যোধপুর সেশনস কোর্টে সওয়াল করেন, ভাইজানের জীবনের আশঙ্কা রয়েছে, গ্যাংস্টার রবি পূজারী তাঁকে হত্যার চেষ্টা করছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব জামিন মঞ্জুর করা হোক। শুনানির পর বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশী একদিনের জন্য রায় মুলতুবি রাখেন। কিন্তু এরপরেই তাঁর রুটিন বদলি হয়ে যায় সিরোহিতে।