বিশ্বের ১০ জন উদীয়মান তরুণ নেতার (এমার্জিং গ্লোবাল ইয়াং লিডারস) মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে তানজিল ফেরদৌস। আগামী ২ মে ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং লিডারস’ হিসেবে তাদেরকে সম্মাননা জানাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী মাসের ২ তারিখ ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তানজিলের পাশাপাশি ইরাকের সারা আব্দুল্লাহ আব্দুলরহমান, ইন্দোনেশিয়ার দিওভিও আলফাত, তুরস্কের এস সিফতিসি, লিথুয়ানিয়ার জিনা সালিম হাসান হামু, পাকিস্তানের দানিয়া হাসান, নরওয়ের ন্যান্সি হার্জ, দক্ষিণ আফ্রিকার ইসাসিফিনকসি দিঙ্গি, নামার রোজ রদ্রিগেজ ও তাজিকিস্তানের ফিরুজ ইয়োগবেকভ ২০১৮ সালের ‘ইমার্জিং ইয়াং লিডারস অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন।
টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকার জন্য তৃতীয়বারের মতো ইমার্জিং ইয়ং লিডারস অ্যাওয়ার্ড দিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এই ১০ তরুণ বিজয়ী ২৯ এপ্রিল থেকে ১২ মে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় এই অবদানের জন্য আগামী ২ মে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাঁদের সম্মাননা দেবে। এই সফরে তাঁরা নেতৃত্ব গুণাবলি, সরকারি, বেসরকারি এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা এবং যোগাযোগ প্রসারের মতো বিষয়ে জানতে পারবেন।
২৪ বছর বয়সী তানজিল ফেরদৌস সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের কমিউনিটি পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি তার দেশে জেন্ডার বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন। তানজিল ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামভিত্তিক “ভলানটিয়ার্স ফর বাংলাদেশ” নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি। বাংলাদেশের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এখন পর্যন্ত কয়েকশো তরুণকে যুক্ত করে সমাজ উন্নয়নমূলক বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এ অর্থনীতিতে লেখাপড়া করা তানজিল বিশ্বাস করেন, তরুণদের সমাজসেবামূলক কাজে উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করা হলে তারা উগ্রবাদি কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকবে। কিশোরী ও নারীদের আগামীর নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছেন তানজিল। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে জাগো ফাউন্ডেশনের ইউথ উইং ভলানটিয়ার্স ফর বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে নিয়ে তানজিল বহু সমাজসেবা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এখন তিনি কাজ করছেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে। সেখানে জাগো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫০০ রোহিঙ্গা শিশুর জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে তিনি সাহায্য করেছেন।