কিডনি অকেজো হলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। চিকিৎসা নিয়েও বেশিদিন বাঁচা যায় না। কিডনি অকেজো হওয়ার আগেই আপনাকে সতর্কতার সাথে চলতে হবে। বয়স ৬০ পার হলে কিডনি অকেজো হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই থাকে। বাইরে যতই তরতাজা থাকুন, ভিতরে কী চলছে বোঝার উপায় নেই৷ তাই সাবধান! বিশেষজ্ঞরা যেসব বিষয়ে সতর্ক করলেন তা উপস্থাপন করা হলো। বয়স বাড়লে, যদি প্রেশার-সুগারের দোষ না থাকে, কিডনি ভালো রাখার দু’টি উপায় জানা আছে আমাদের, প্রোটিন কম খাওয়া আর পানি খাওয়া ঘণ্টায় ঘণ্টায়। নিরামিষ খেতে পারলে তো কথাই নেই। কিন্তু এই বিশ্বাসে পানি ঢেলে হঠাৎ শোনা গেল দুঃসংবাদ৷
লবন খাওয়া কমিয়ে দিন। তাহলে অল্প বয়সে ভুগতে হবে না কিডনির সমস্যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমনটাই জানাচ্ছেন। ভারতের মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালের চিকিৎসক অরুণ পি দোশী জানিয়েছেন, এ দেশে মৃত্যুর ৫টি বড় কারণের মধ্যে অন্যতম কিডনি ফেলিওর। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি জনসংখ্যার মধ্যে ডায়ালিসিস করানো রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, এমন পরিস্থিতি ৫-৬ বছর আগেও ছিল না। এর অন্যতম কারণ হাইপারটেনশন, তা ছাড়া বেশি লবন খাওয়ার সঙ্গে কিডনির অসুখের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক রয়েছে।
রান্নায় লবনের পরিমাণ কম করে মহিলারা বাড়ির লোকের স্বাস্থ্যরক্ষায় বড় ভূমিকা নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। লবন বেশি খেলেও হাইপারটেনশন হতে পারে কিন্তু রক্তচাপ যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে কিডনি ফেলিওরের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অরুণ দোশী বলেছেন, অত্যধিক চিজ, মাখন, চিনি ও লবন খেলে শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই সবথেকে আগে এগুলি কম খাওয়া নিশ্চিত করা উচিত।