গদ্য

ছড়া কখন ছড়া হয়- জাহাঙ্গীর আলম জাহান

নরসুন্দা ডটকম   অক্টোবর ১১, ২০১৬

এ এক জটিল পর্যবেক্ষণ। হাজারো ছড়া থেকে প্রকৃত ছড়া শনাক্ত করা বিশেষজ্ঞের কাজ। ছড়াবোদ্ধা না হলে ছড়া কখন ছড়া হয় তা নির্ণয় করা নিতান্তই অসম্ভব। তবে ছড়া নিয়ে যারা ভাবেন, ছড়ার গতি-প্রকৃতির হাল-হকিকত যারা কাছ থেকে দেখেন- ছড়া ও অ-ছড়ার পার্থক্য কিছুটা হলেও তাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

সাদা চোখে ছন্দোবদ্ধ বাক্যের অন্ত্যমিল-সর্বস্ব কথামালাকেই অনেকে ছড়া বলে বিবেচনা করেন। এক অর্থে তাদের এ বিবেচনায় সারল্য আছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে গাঁয়ের মেঠোপথ বা জমির আ’ল ছেড়ে ছড়া আজ উঠে এসেছে সময়ের মহাসড়কে। ছড়ার এই উত্তরণপথে তাকে বহুবার বাঁকবদল করতে হয়েছে। বাঁকবদলের গতিময় ধারায় ছড়াকে পুরনো খোলসও বদলাতে হয়েছে বারবার। পরিবর্তনের এই চলিষ্ণু বাস্তবতায় ছড়া আজ সাহিত্যের মহাসড়কে নতুন গতিতে উদ্ভাসিত। এ গতি মহাসড়কের মহাযানের সাথে তাল মেলানোর গতি। গলিপথের ক্ষুদ্রযান যেমন মহাসড়কে বেমানান, তেমনি মেঠোপথের মেঠো রচনাও আজ সাহিত্যের মহাসড়কে পশ্চাৎগামী।

তাই গতির সাথে গতির সমরৈখিক অগ্রযাত্রায় ছড়াকেও তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে।চলতে হচ্ছে বলেই হাজারো ছড়ার মহাসমাবেশ থেকে প্রকৃত ছড়া শনাক্ত করার সময় এসেছে। শুধু অন্ত্যমিল-সর্বস্ব কতিপয় ছন্দোবদ্ধ বাক্য হলেই তা ছড়া হয় না। ছড়া হতে হবে আরও প্রাণময়, গতিময় ও জ্যোতিময়। ছড়া কখন ছড়া হয় তা বিশ্লেষণের জন্য ছড়া আর অ-ছড়ার পার্থক্য নির্ণয়ের মেধা, প্রজ্ঞা এবং ধী-শক্তিও থাকতে হবে বিশ্লেষকের অন্তরে।

প্রথমত ছড়া হতে হবে সহজ ও সাবলীল। জটিলতা বা দুর্বোধ্যতা ছড়ার ধর্ম নয়। পাঠক যেন পড়তে পড়তেই ছড়ার মর্ম অনুধাবন করতে পারে। অর্থাৎ ছড়ার বক্তব্য উপলব্ধির জন্য পাঠককে যেন খুলতে না হয় অভিধান, খুঁজতে না হয় ইতিহাসের বই। সেই সহজ সরলতায় পরিচিত শব্দের গাঁথুনি দিয়ে নির্মাণ করতে হবে ছড়ার অবয়ব।

শব্দের কথা যখন এলোই তখন শব্দ নিয়ে দু’চারটি কথা বলতেই হয়। শুধু ছড়া কেন, সাহিত্যের যে কোনো বিষয়ে কাজ করতে হলে একজন লেখকের অনেক শব্দ জানা থাকা প্রয়োজন। আমরা জানি অভিধানে একই শব্দের একাধিক সমার্থক শব্দ রয়েছে। সেই শব্দগুলোও লেখকের মগজে থাকতে হবে। সাহিত্যের যে কোনো মাধ্যমেই লেখালেখি করা হোক-না কেন, বাক্যের সৌন্দর্য বর্দ্ধনের জন্য সব মাধ্যমেই বিকল্প শব্দের প্রয়োজন পড়তে পারে। শব্দ জানা না থাকলে লেখক কীভাবে সে প্রয়োজন পূরণ করবেন?

আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে রবীন্দ্রনাথ যখন লেখেন- ‘মা তোর বদনখানি মলিন হলে আমি নয়নজলে ভাসি’ তখন পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, কবিগুরু অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত ‘বদনখানি’ শব্দ কেন এখানে প্রয়োগ করলেন? তিনি তো অধিক প্রচলিত ‘মুখখানি’ শব্দও লিখতে পারতেন; কিংবা ‘নয়নজলে’ না লিখে ‘চোখের জলে’ অথবা ‘আঁখিজলে’ শব্দও বসাতে পারতেন। এ প্রশ্নের সহজ উত্তর সম্ভবত হতে পারে এ-রকম, উপরের গানের বাণীতে বাক্যের গতিময়তার প্রয়োজনে ‘বদনখানি’ এবং ‘নয়নজল’ শব্দই যথাযথ ও উপযুক্ত। বাক্যের গতি ও সৌন্দর্যের স্বার্থেই এটি করা হয়েছে। যদি ‘মা তোর মুখখানি মলিন হলে’ লেখা হতো তাহলে বাক্যের গতিময়তা রক্ষা পায় কিনা বিজ্ঞ পাঠকেরা একটু ভেবে দেখুন।

সুতরাং প্রচুর শব্দ মগজে ধারণ না করলে একজন লেখকের পক্ষে যথাযথ বাক্য রচনা করা সম্ভব নয়। যারা কবিতা বা ছড়া লেখেন তাদের তো আরও বেশি শব্দ আয়ত্তে থাকা জরুরি। কারণ ছন্দ বা অন্ত্যমিলের প্রয়োজনে অধিক শব্দ জানার আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই যে, মগজে পঞ্চাশ বা একশোটি শব্দ ধারণ করেই আজ অনেকে বড় লেখক অথবা বড় ছড়াকার হওয়ার জন্য গলদঘর্ম হচ্ছেন। ভালো লেখক বা ছড়াকার হওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রবণতা কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়। ভালো লেখক হতে হলে শব্দের ভাণ্ডারকে অনেক বেশি পরিপুষ্ট করতে হবে। শব্দের ভাণ্ডর পূর্ণ না হলে ভালো লেখক হওয়ার আশাও অপূর্ণই থেকে যাবে।

এ প্রসঙ্গে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুল পঠিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার একটি চরণ স্মরণে আনা যেতে পারে। নজরুল লিখেছেন, ‘আমি উত্তর বায়ু মলয় অনিল উদাস পুরবী হাওয়া’। লক্ষ করুন, একই বাক্যে ‘বাতাস’ শব্দের সমার্থক অন্তত চারটি শব্দ কী নিপুণ মুন্সিয়ানায় ব্যবহার করা হয়েছে। বায়ু-মলয়-অনিল-হাওয়া সবই বাতাস শব্দের সমার্থক এবং বিকল্প শব্দ। সমার্থক হলেও প্রতিটি শব্দের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তাৎপর্য ও বৈশিষ্ট্য। বায়ুর বৈশিষ্ট্য কখনও মলয়ের মতো নয়, আবার অনিল বা হাওয়ার বৈশিষ্ট্যও নয় বায়ুর মতো। সবগুলো শব্দের সাধারণ অর্থ বাতাস হলেও কবি ভালো করেই জানেন একেক বাতাসের বৈশিষ্ট্য একেক রকম। কবির বায়ুমণ্ডলীয় ধী-শক্তি বা প্রজ্ঞাই এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন প্রকৃত লেখকের এ-রকম ধী-শক্তি ও প্রজ্ঞা অবশ্যই থাকতে হবে।

ধান ভানতে শিবের গীতের মতো শোনালেও এ আলোচনা বক্ষমান রচনার জন্য প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করি। কেননা কখন কোথায় কোন শব্দটি শোভন এবং কোনটি বেমানান তা নির্ণয়ের ক্ষমতা একজন ছড়াকারের থাকতে হবে। ভাষা আন্দোলনে প্রাণ হারানো পুত্রের জন্য মায়ের অপেক্ষা নিয়ে ছড়া লিখতে গিয়ে যদি লেখা হয়-

পায়েস এবং ক্ষির রেঁধেছে/মিষ্টি খেজুর রসে
তালের পিঠা তৈরি করে/মা রয়েছে বসে।
আসবে ছেলে শহর থেকে/গেলেই নাকি মাস
রেলগাড়িতে ছেলে তো নয়/এলো ছেলের লাশ।
মায়ের ভাষা রাখতে গিয়ে/প্রাণ দিয়েছে ছেলে
তাইতো কাঁদেন মা জননী/ফেব্রুয়ারি এলে।

ভাষার ছড়া বা পদ্য হিসেবে উপরের লেখাটি মোটামুটি উৎরে গেলেও লেখাটিতে একটি শব্দের ভুল প্রয়োগ লেখকের কাণ্ড-জ্ঞানহীনতাকে প্রকটভাবে প্রকাশ করেছে। আমরা সবাই জানি ভাষা আন্দোলনে গুলিবর্ষণ হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলা সন অনুযায়ী সেদিন ছিল ৮ ফাল্গুন। ফাল্গুনে আদৌ ভাদ্র মাসের তালের পিঠা তৈরির সুযোগ আছে কিনা সেটি লেখক ভেবে দেখেননি। কাল ও সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণেই এটি ঘটেছে। সুতরাং লেখক যখন লিখবেন সবদিকেই তার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। একটি শব্দের ভুল প্রয়োগ বা কাল-ভ্রান্তির কারণে উপরের ছড়াটি ছড়া হয়ে উঠলেও শেষ বিচারে এটি পরিত্যক্ত বলেই গণ্য হবে।

একটি ছড়ার বক্তব্য বা বিষয়বস্তু যা-ই হোক, তাকে উপস্থাপন করতে হবে কোমল ও নিটোল ভঙ্গিতে। অযথা ধূম্রজাল সৃষ্টি করা কিংবা কঠিন উপমা প্রয়োগ করে ছড়াকে জটিল করা ঠিক নয়। ছড়া যা বলবে তা একেবারেই সরাসরি। ঘুরিয়ে বলতে হলেও তা এমন কৌশলে বলতে হবে যেন পাঠকের মনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বক্তব্যধর্মী ছড়া পড়ে পাঠক যেন বুঝতে পারে ছড়ার ঢিলটা কোথায় ছোড়া হয়েছে।

স্বাধীনতা-উত্তর সময় থেকে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক বিভিন্ন অনিয়ম-অসঙ্গতির বিরুদ্ধে কটাক্ষধর্মী ছড়া রচনার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়। দেশের জাতীয় বেশ কটি দৈনিকে এ ধরনের ছড়া বিশেষ কলামে নিয়মিত ছাপাও হচ্ছে। এই ছড়াগুলোকে সমকালীন বা সময়ের ছড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এগুলোর আবেদন এবং গুরুত্ব খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। তবে জাতীয় পত্রিকায় মুদ্রিত সমকালীন অনেক ছড়ার নির্মাণশৈলী এত দুর্বল থাকে যে, এগুলোকে ছড়া না বলে ছন্দোবদ্ধ কথামালা বলাই ভালো। ছড়া যদি ছড়ার মতো না হয় এবং হয়ে যায় রাজনৈতিক স্লোগান তবে সে ছড়া কখনোই প্রকৃত ছড়ার মর্যাদা পায় না।

সমকালীন ছড়ার বক্তব্য হবে তীক্ষ্নধার ছুরির মতো। অপ্রয়োজনে টেনে টেনে ছড়াকে লম্বা করা ঠিক নয়। যথাসম্ভব অল্প কথায় কম বাক্যে বেশি কথা সহজভাবে প্রকাশের চেষ্টা থাকতে হবে আজকের ছড়ায়। শেষ প্যারায় অথবা শেষ লাইনে একটি মোচড় বা চমক থাকা জরুরি। যিনি যত সুন্দরভাবে চমকের খেলা দেখাতে পারেন তার ছড়া তত বেশি উৎকৃষ্টতায় উন্নীত হয়। মাহমুদউল্লাহ এদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ছড়াশিল্পী। তার ছড়ায় বক্তব্যের ঋজুতা এবং চমকের খেলা দুটোই মূর্ত হয়ে ওঠে-

যে বসেছে গদির পরে/রাজ্যিখানা তার
দেখতে পেলাম গণতন্ত্রে/এই কথাটাই সার।
সমাজবাদের মানে হচ্ছে/সমাজটাকে বাদ
সমঝদারের কণ্ঠে ফোটে/হুজুর জিন্দাবাদ।
(সার কথা, ছড়াসংগ্রহ)

ছড়াশিল্পী ফারুক নওয়াজের ছড়ায়ও ছন্দ-অন্ত্যমিল ও গতিময়তার অদ্ভুত চমক আমরা দেখতে পাই। ছড়া লিখে তিনি খ্যাতির শীর্ষ স্পর্শ করেছেন। তার একটি ছড়া দেখা যাক-

পাখির ভাষায় গান গেয়ে যায় পাখি
নদীর ভাষায় নদীর ডাকাডাকি।
পাখির মতো/নদীর মতো
আমার মনের/স্বপ্ন যতো/মাতৃভাষায় থাকে
আমার ভাষায় ডাকি আমি/আমার প্রিয় মাকে।
(আমার ভাষা, মায়ের ছড়া ভাষার ছড়া)

নাসের মাহমুদ একজন নিরলস ছড়াশিল্পী। তার ছড়ার ভাষাও অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল। কবিকে তিনি সৃজনশীলতার মাঠে ‘চিরকালের শ্রমিক’ হিসেবে বিবেচনা করেন। তার ছড়ায় সেই বিবেচনার আবহ পাওয়া যায়-

পিয়ন পুলিশ সচিব সাহেব/মজুর কৃষক সিএ
তারাও কিছু পায় অবসর/ঘুমায় রাতে গিয়ে।
সবার কাজের বয়স আছে/সাতান্ন বা ষাট
বালকবেলায় কবির শুরু/তাঁর কবিতা- মাঠ।
সারাজীবন মাথার ভিতর/গোলাপ ফুটি ফুটি
চিরকালের শ্রমিক কবি/নেই অবসর-ছুটি।
(চিরকালের শ্রমিক, খুলে খাপটা সোজাসাপটা)

জীবন ও জগতের তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়কে নিপুণ মুন্সিয়ানায় ছড়ার অবয়বে ধারণ করতে পারেন ছড়াকার ফারুক হোসেন। তার ছড়ার বক্তব্য যেমন টানটান, তেমনি সাবলীল। অত্যন্ত কঠিন বিষয়কেও তিনি সহজবোধ্যভাবে ছড়ার আঙ্গিকে তুলে ধরতে পারেন। তার ছড়ায় চমক এবং ম্যাজিক দুটোরই প্রাণময় উপস্থিতি পাওয়া যায়; যা ছড়াপ্রেমিক যে কোনো পাঠককে নতুনত্বের আস্বাদ দিতে সক্ষম-

বাড়ছে বেতন, পদ-পদবী/বাড়ছে বোনাস, ভাতা
দাবির সুরে চাচ্ছে যারা/পাচ্ছে সবাই তা’ তা।
সঙ্গে বাড়ে সবার ঘারে/বাড়তি ঋণের বোঝা
ঋণের টাকায় অবলীলায়/ঘি খাওয়া খুব সোজা।
(ঋণ, নাকখপতা)
অথবা-
যুদ্ধে যুদ্ধে মলিন বিশ্ব/ভাংচুর সারা অঙ্গ
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটান/নিরুপায় জাতিসংঘ।
(জাতিসংঘ, শত রকমের ছড়া)

তরুণ ছড়াকার মিজানুর রহমান শামীমের ছড়াতেও বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যের স্ফুরণ খুঁজে পাওয়া যায়। ছন্দ-মাত্রা-অন্ত্যমিল এবং গতির মিথস্ক্রিয়ায় শামীমের ছড়াতেও ম্যাজিক দেখানোর প্রবণতা লক্ষণীয়-

নুন আনতে পান্তা ফুরোয়/নেই তলানি ডালের
দুইবেলাতে নাই খোরাকি/বাসি আতপচালের।
চালের পাতিল ডালের পাতিল/সব পাতিলই উজার
পানি খেয়েই তুলছি ঢেকুর/করছি শোকরগুজার।
(নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, নির্বাচিত ছড়া)

চমকপ্রদ অন্ত্যমিলের নিপুণ কারিগর ছড়াশিল্পী শফিক ইমতিয়াজ। তার ছড়ায় পাওয়া যায় ভিন্নরকম স্বাদ। চটুল বিষয়কে তিনি অসাধারণ অন্ত্যমিলে ছড়ার শরীরে প্রযুক্ত করতে খুবই সিদ্ধহস্ত। তার একটি ছড়া এ পর্যায়ে দেখে নেয়া যেতে পারে-

কাক না কোকিল কে সুবিধের?
সেটাই ভেবে দেখছে টিয়া
পাখির বনে টিয়ার প্রভাব
রাখতে হবেই একচেটিয়া।
(কাক ও কোকিল প্রসঙ্গ-২, উল্টো বলে পাল্টাকে)

এ-রকম আরও অনেক ছড়ার উদাহরণ দেয়া সম্ভব। প্রতীকীভাবে কয়েকজন ছড়াশিল্পীর ছড়া উদ্ধৃত করা হলো নবীন ছড়াকারদের উপলব্ধিকে সচকিত করার জন্য। বিষয়গুলো যদি আজকের ছড়াকারেরা যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারেন তাহলে তারাও হয়তো ছড়াশিল্পের উর্বর ভূমিতে ফলাতে পারবেন যথার্থ ছড়ার কৌশলী ফসল। ম্যাজিক না জেনে ছড়া লিখলে সেটি ছন্দোময় কথামালা হবে বটে কিন্তু মানের বিচারে কখনোই প্রকৃত ছড়ার মর্যাদা পাবে না। ছড়ার ভুবনে সেই ছড়া টিকতেও পারবে না ছড়ার মহিমায়। সুতরাং একটি ছড়া কখন যথার্থভাবে ছড়া হয়ে ওঠে সে বিষয়টি ছড়াশিল্পের প্রতিটি কারিগরকে অন্তর দিয়ে বুঝতে হবে। বুঝে তবেই ছড়ার ভূমিতে কর্ষণ করতে হবে নতুন স্বাদের আধুনিক ছড়া।

তারিখ: ৩০.৮.২০১৬ খ্রি.

01

জাহাঙ্গীর আলম জাহান: লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, কিশোরগঞ্জ।

About the author

নরসুন্দা ডটকম

Leave a Comment