ভ্রমণ কথাটি শুনলেই যেন মনে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। কে না চায় ভ্রমণ করতে? তাই আজ জেনে নেবো বিশ্বসেরা ১০টি দেশের নাম ও ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজমের তথ্য অনুযায়ী দেশগুলোর র্যাংকিং দেওয়া হলো-
ফ্রান্স
পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। রাজধানী প্যারিস। দাফতরিক ভাষা ফ্রেঞ্চ। জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭২ লাখের মতো। প্রধান পর্যটন আকর্ষণ- নটরডেম দ্য প্যারিস, বাসিলিকিউ ডু স্যাকরি কিউর, লোভরি মিউজিয়াম, প্যালেস অব ভারসাইলিজ এবং আইফেল টাওয়ার প্রভৃতি। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জুন-আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিবছর প্রায় ৮২.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৮ কোটি ২৬ লাখের মতো ট্যুরিস্ট দেশটিতে ভ্রমণ করে। যা বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করে আছে।
আমেরিকা
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি দেশ, যা ৫০টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি ৫৭ লাখের মতো। অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজি। প্রধান প্রধান পর্যটন শিল্প- স্ট্যাচু অব লিবার্টি, ডিজনি ওয়ার্ল্ড, লাস ভেগাস স্ট্রিপ, গোল্ডেন গেট ব্রিজ এবং নায়াগ্রা ফলস প্রভৃতি। দেশটি দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মে-জুন পর্যন্ত। প্রতিবছর প্রায় ৭৫.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৭ কোটি ৫৬ লাখের মতো মানুষ দেশটিতে ঘুরতে আসে।
স্পেন
ইউরোপের একটি দেশ। রাজধানী মাদ্রিদ। দাফতরিক ভাষা স্প্যানিশ। জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬৩ লাখের মতো। প্রধান পর্যটন আকর্ষণ- আলহামব্রা, মেজকুটা অব কর্ডোবা, ইল এক্সোরিয়াল, সাগরাদা ফ্যামিলিয়া, একোডাক অফস সেগোভিয়া প্রভৃতি। প্রতিবছর প্রায় ৭৫.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৭ কোটি ৫৬ লাখের মতো পর্যটক বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে আসে। যা বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
চীন
পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। রাজধানী বেইজিং। জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি। দাফতরিক ভাষা মান্দারিন। পর্যটন স্থান- দ্য গ্রেট ওয়াল, দ্য ফরবিডেন সিটি, টিলি রিভার, দ্য পোটেলা প্যালেস এবং পুডং স্কাই লাইন প্রভৃতি। পর্যটন দেশ হিসেবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৫৯.৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫ কোটি ৯৩ লাখের মতো ট্যুরিস্ট আসেন। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মার্চ-মে এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর।
ইতালি
পশ্চিম ইউরোপের দেশ। রাজধানী রোম। দাফতরিক ভাষা ইতালিয়ান। জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখের বেশি। পর্যটন শিল্প- ভেনিস, পেম্পি, মিলান, ন্যাপলেস এবং সিসিলি। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জুন-আগস্ট। দেশটিতে প্রায় ৫২.৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫ কোটি ২৪ লাখের মতো ট্যুরিস্ট আসে। পর্যটন দেশ হিসেবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
যুক্তরাজ্য
ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্য বলতে আমরা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডকে বুঝি। যা উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত। দাফতরিক ভাষা ইংরেজি। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মার্চ-অক্টোবর। দেশটিতে প্রায় ৩৫.৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৫৮ লাখের মতো মানুষ ঘুরতে আসে। প্রধান পর্যটন আকর্ষণ- বিগবেন, উইন্ডসর ক্যাসেল, ইয়র্ক মিনস্টার, টাওয়ার অব লন্ডন, ডারহাম ক্যাথেড্রেল ইত্যাদি।
জার্মানি
পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। রাজধানী বার্লিন। জনসংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ২ লাখের মতো। দাফতরিক ভাষা জার্মান। পর্যটন শিল্প- ব্রান্ডেনবার্গ গেট, হেডেলবার্গ ওল্ড সিটি, হোলসেন্টর, কোলং ক্যাথেড্রেল এবং রোমান্টিক রাইন প্রভৃতি। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় জুন-আগস্ট। দেশটিতে প্রায় ৩৫.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৩৬ লাখের মতো ট্যুরিস্ট আসেন। পর্যটন বিশ্বে যার অবস্থান সপ্তম।
মেক্সিকো
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি দেশ। রাজধানী মেক্সিকো সিটি। দাফতরিক ভাষা স্প্যানিশ। জনসংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের মতো। শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ- টিওটিয়াকান, চিকছেন ঈৎসা, পালেনকি, কোজুমেল এবং এল তাজিন ইত্যাদি। দেশটিতে প্রায় ৩৫.০ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখের মতো মানুষ ভ্রমণে আসে। ভ্রমণের উপযুক্ত সময় ডিসেম্বর-এপ্রিল। যার অবস্থান অষ্টম।
থাইল্যান্ড
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ। রাজধানী ব্যাংকক। জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৮৮ লাখের মতো। দাফতরিক ভাষা থাই। শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ- পাতায়া, কো পিহ পিহ, পাং নাগা বে, গ্রান্ড প্যালেস, ফুল মুন পার্টি এবং ফ্লোটিং মার্কেট ইত্যাদি। দেশটিতে প্রায় ৩২.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ২৬ লাখের মতো ট্যুরিস্ট আসে। প্রায় সারা বছরই ভ্রমণ করা যায়। তবে উপযুক্ত সময় নভেম্বর-এপ্রিল। বিশ্বে যার অবস্থান নবম।