সাহিত্য ডেস্কঃ
শীত
******
মাসুমা খাতুন
সকাল হলে রতনের শুধু ঘুম পায়, যখন রোদে পিঠ লাগিয়ে বসে থাকে তখন ঘুমে তলিয়ে যায়।
বাবাকে রতনের মনে নেই, বাবার মুখটা কেমন ছিলো? বাবা কি মোটা ছিলো নাকি ওরই মতো রোগা পাতলা। বসে বসে ভাবে আর ঝিমায়। ওর মা মাঝে মধ্যে বলে বাবার মতো হইছোত খালি ঘুম আর ঘুম।
খুব কষ্টের সংসার মা ছেলের, শীতের এই রাত যেন কাটতেই চায়না, ঘরতো নয় ছাপড়া একটা, ফাঁকফোকর দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস বয় হুহু করে, একটাই ছেঁড়া কাঁথা মা ছেলের কান ঢাকেতো পা আলগা হয়ে যায়। ঠাণ্ডায় গুটি শুটি মেরে কোন রকমে রাত পার করে। একদিন রতন মাকে বলে, আমাগো একখান লেপ বানাবি মা? রাইতে ঠাণ্ডা লাগে ঘুম আয়না, মা রতনের গায়ে মাথায় হাত বোলায় আর বলে, কিনমু বাজান আগলে শীতে কিনমু, মিথ্যা সান্ত্বনা দেয় মা। রতন আর কথা বাড়ায়না, চোখ বুজে প্রার্থনা করে তাড়াতাড়ি যেন সকাল হয়, রোদের উষ্ণতা নিতে পারে দেহে,
তার জন্য অপেক্ষা করে, রাতের শেষে রোদেলা এক সকালের ।।