আগামী কালই তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী – ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি দেহ ত্যাগ করেছিলেন । কুষ্টিয়ার ছেউরিয়ায় শুরু হয়েছে তাঁর স্মরণে উৎসব , হয়ে আসছে প্রতি বছর । বাউলদের এক আশ্চর্য মিলন মেলা ।
আমি নিজে গিয়েছি; বার তিনেক তো হবেই । রাত জেগেছি বাউলদের সাথে । আবার তরুন বাউল রাসেলের মোটরবাইকের পেছনে চেপে লালন গুরু সিরাজ সাইর মাজার দর্শনের সুযোগও মিলেছে ; অবহেলায় জীর্ণ সেই সমাধি !
ভেবে অবাক হই শত বর্ষেরও আগে , এক “লেখাপড়া – না-জানা ” ফকির কী করে অমন শুদ্ধ আধ্যাত্মিকতার খোঁজ পেয়েছিলেন । অন্তত তার আধ্যাত্মিকতার অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় আমি রুমির মিল খুজে পাই । তাঁর গানের অই আরশি কি পারস্যের মহান সুফী দের আরশি নয় – ফরিদুদ্দিন আত্তারের “পাখি সম্মেলনে” র শেষে এসে আমার এই বিস্ময় জেগেছে !
অনেক গান শুনেছি লালনের – প্রচলিত ,অপ্রচলিত – বিখ্যাত– অখ্যাতদের কণ্ঠে । আমার নিজের বাছাই করা কয়েকটি গান – যা আমি সারাজীবন ধরে শুনতে থাকব তারই একটি আপনাদের সাথে ভাগ করি। গানটির অন্তরায় এক জায়গায় এসে বলছে
” রসিক যারা
চতুর তারা
তারাই নদীর ধারা চেনে ” ——
মহাত্মা লালন, আপনাকে সালাম!
সৈয়দ কামরুল হাসান: লেখক, গল্পকার।
নোট: লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।