এক’শ শব্দের গল্প:
পারিবারিক কবরস্থান ।। মাসুদুর ছোটন
বাবা খালি পায়ে হাঁটেন এখনো। দাদা-দাদী হজে যাবার বছর খানেক আগে বাড়ির পাশে তাদের দুজনের জন্য কবরের জায়গা ঠিক করে ইট সিমেন্ট দিয়ে বাউন্ডারি করে রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে যাবার আগে দাদা বাবাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলেন।
একদিন হাট থেকে ফিরে বাবা দাদীকে আর বাড়িতে পায়নি, ঘরের সবকিছু ছিলো এলোমেলো, বাড়ির উঠোনে বুটের দাগ আর মেম্বারের বাঁকা লাঠিটি পড়েছিল। ঐদিন রাতেই সারা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল। সবার সাথে বাবাও পালিয়েছিলেন গ্রাম ছেড়ে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দাদা-দাদী কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। দেশের কোথায় তাদের দাফন হয়েছে তাও জানেনা। বাবা মনে করেন এই পুরো দেশটা একটা কবরস্থান তাই তিনি খালি পায়ে হাঁটেন।
আরও পড়তে পারেন….