এক’শ শব্দের গল্প
কোয়ারেন্টিনের দিনলিপি ।। মাজহার মান্না
শহরের বুকচিরে বয়েচলা এককালের নরসুন্দা নদী নীরবতা পালন করছে। নদীর নেই যেমন নিজস্ব কোনো স্বকীয়তা। আহা! দিনমজুর রইছু মিয়া। তার বুকেও চাপা কষ্ট। দিন আনে দিন খায় সেও গৃহবন্দী। প্রাণচাঞ্চল্য দবির ব্যাপারী। তাকেও মহামারী করোনায় ঘরের কোণে আটকে দিয়েছে।
১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে চোখ যায় উত্তরের বিল্ডিংটায়। রোজ সকালে-বিকেলে এক শিশু চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। দু’তলায় বারান্দার গ্রিল ধরে তাকিয়ে থাকে বাইরে। শিশুটি কোনো সাড়া শব্দ করে না।
ঘুরেও তাকায় না। চোখে তার আনন্দ খেলে না। চারদিকে কোলাহল নেই। করোনায় উল্লসিত শিশুটিকে নীরবতা শিখিয়েছে। সে এখন পশু প্রাণীর কথা ভেবেও শিহরিত হয়না। বড়রাই ঘরে থাকতে পারে না সেখানে তো ছোট্ট ঐশি! তারও মন চায় বাইরে যেতে। কিন্তু উপায় কি! সবখানেই যে করোনা তার বিষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। কবে থামবে সে নিজেও জানেনা। বাবা মাও নিরুপায়। বাইরে বেরুলে যদি করোনায় ছুঁয়ে যায়!
মোমিনের মুসলমানি ।। হৃদয় সরকার