কাচারি ঘর ।। বুলবুল আহম্মেদ
নিম্ন আয়ের মানুষ রুডি মিয়া। সরকারি খাস জমিতে ৩২ বছর ধরে আছে। সাত ডিক্রি এক দখল। তার জায়গা চৌহদ্দি করলে উত্তর পাশে কাচারি ঘর। ৩২ হাত সামনে থাকা কাচারি থেকে নামে-বেনামে কতজনের খাজনা-খারিজ হচ্ছে। হাজার চেষ্টা করেও জমির খারিজ পায়নি।
নদীর পাড় ঘেঁষে বাড়িতে স্ত্রী জরিমননেছা ও মেয়ে পঙ্খীকে নিয়ে সংসার। পঙ্খীর মাকে বলে- “আমি মরে গেলে কবর দিবা মালিকানা জায়গায়, যাতে মরার পরে সরকারি আমলারা তুলে না দেয়।”
হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবচেয়ে কাছের বন্ধু নুরু মিয়া খবর পেয়ে দেখতে আসে। সেই পড়াই শেষ পড়া সে বুঝতে পারেনি। কষ্টকাতর নুরু কবরের জায়গা দেয় । পঙ্খীর মা দুঃখের মাঝে একটু শান্তি পেল।