মালয়েশিয়ায় প্রস্তাবিত একটি আইনে ভুয়া খবর ছড়ানোর অপরাধে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১৩০,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ (সোমবার) মালয়েশিয়ার সংসদের আইনটি উত্থাপন করা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে – পত্র পত্রিকায় ছাপা বা রেডিও-টিভি অনলাইনে প্রচারিত খবর বা তথ্য যদি আংশিকও ভুল হয় তাহলে তাকে ‘ফেক নিউজ‘ বা ভুয়া খবর হিসাবে বিবেচনা করা হবে।মালয়েশিয়া বা মালয়েশিয়ার কোনো নাগরিক সম্পর্কিত কোনো খবর বিদেশে প্রচারিত হলেও সেটি আইনের আওতায় আসবে।
অর্থাৎ বিদেশী মিডিয়ায় মালয়েশিয়া সম্পর্কিত কোনো খবরকে ভুয়া খবর হিসাবে বিবেচনা করা হলে ঐ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ায় ঢুকলে তার বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় মামলা করা যাবে।
মালয়েশিয়ায় অগাস্টে সাধারণ নির্বাচনের আগে এই আইনটি আনা হচ্ছে। ফলে এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বহু অভিযোগ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হচ্ছে। অধিকার কর্মীরা বলতে শুরু করেছেন – প্রধানমন্ত্রী রাজাক নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে সমস্ত সমালোচনার কণ্ঠ রুদ্ধ করতে এই আইন আনছেন।
গত সপ্তাহেই এরকম একটি কঠোর আইনের ইঙ্গিত আসে যখন একজন প্রতিমন্ত্রী বলেন – প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত খবর সরকারের কাছ থেকে যাচাই না করে প্রচার করলে তাকে ‘ফেক নিউজ’ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
তবে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে – ভুয়া খবর সারা বিশ্বের উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং সে কারণে জনগণের সুরক্ষায় সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মালয়েশিয়ার বিরোধী দলগুলো আশঙ্কা করছে যেহেতু সংসদের দুই কক্ষে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই সহজে আইনটি পাশ হয়ে যাবে।
বিরোধী এমপি চার্লস সান্টিয়াগো বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “দেশের মধ্যে ভিন্নমত বন্ধ করতে সরকার এই মারাত্মক অস্ত্র হাতে নিয়েছে”।