সাহিত্য ডেস্কঃ
“শব্দব্রহ্ম”
একদা কালিদাস থেকে ঘুরে এসে তমালের তলে
দুষ্ট বালক খোঁজে নাটোরের বিমূর্ত বনলতা সেন-
বিপণ্ন কাবেরী কেশে খোঁজে কল্লোলিত সমুদ্রগান
তারও আট বছর পর উঠে আসে হৃদয়ের কান্না।
বুদ্ধদেব পড়তে-পড়তে ফিরে গেছি মহাভারতে
চোখের অতলে ফিরে আসে বিভৎস কুরুক্ষেত্র,
ফিরে আসে পাণ্ডব, দ্রৌপদী, ভীষ্মের শরশয্যা
ফিরে আসে দ্রৌণের শঠতা, একলব্যের দক্ষিণা।
রবীন্দ্রনাথের বাক্যবাণ ছুঁয়ে ফোটে ক্যামেলিয়া
সৃষ্টির নন্দনতত্ত্বে বাক্যের কোষাগারে সমুদ্রমন্থন
পত্রপুস্পে বনপথ তবুও কোথায় যেনো হাহাকার!
হৈমন্তী কাদম্বিনী লাবণ্য নাকি অমিতের পুস্পরথ।
সুকান্ত মননে দুষ্ট বালক সমুদ্রে-ই নির্ণয় করে-
বুনো মোষের দখলে রাষ্ট্রীয় মসনদ, রাজকোষ
স্লোগানে-মিছিলে সাম্যের গান, গানে-ইতো শব্দ
সুরের লহরিতে বেঁধে রাখেন শব্দপূর্ণ ব্রহ্ম খেলা।
আপেল বাগানে আপেল তত্ত্বে বিহ্বল নিউটন,
শূন্য তত্ত্বে-সূত্রে, চঞ্চল হয়েছেন প্রিয় গণিতবিদ্
তবুও জানি, জেনেছি শব্দের মাঝে খেলেন ব্রহ্ম-
ব্রহ্ম-ই নাকি ওষ্টের বেদনা ছুঁয়ে যায়-কবিতায়।
ভোরের সোনালী আলো মাড়িয়ে যাবার কালে
বিপণ্ন ডাহুক বলে, ওকবি মনে রেখো শব্দ-ই ব্রহ্ম
ব্রহ্ম-ই খেলেন শব্দ নিয়ে, কাব্য-ই সকল চেতনা
অথচ দেখো ব্রহ্ম-ই থেকেছেন নিরবে নিরাকার।
রূপসার জলে পা ধুয়ে বলেছিলো গাঙচিল
ভালো থেকো-সুখে থেকো ওহে দুষ্ট বালক….