লন্ডনের সেন্ট মেরিজ হাসপাতালে সকাল ছয়টার দিকে রাজকুমার উইলিয়ামের স্ত্রী ক্যাথরিন প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন। দুপুর একটার দিকে খবর হয় – তিনি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
এটি রাজকুমার উইলিয়াম এবং ‘ডাচেস অব কেমব্রিজ’ উপাধি পাওয়া ক্যাথরিন দম্পতির তৃতীয় সন্তান। তাদের আরো একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। বাবা-মা কেউই আগে থেকে তাদের সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে জানতেন না। নবজাতক হবে ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীদের তালিকার পাঁচ নম্বরে।
তার উপাধি আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছে- প্রিন্স অব কেমব্রিজ বা কেমব্রিজের রাজপুত্র। সদ্যজাত এই রাজপুত্রের নাম কী হবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। বেটিং কোম্পানীগুলো সম্ভাব্য কয়েকটি নাম নিয়ে জুয়া ধরার জন্য মানুষজনকে উৎসাহিত করছিলো – মেয়ে হলে মেরি, এ্যালিস, আলেক্সান্দ্রা, এলিজাবেথ, ভিক্টোরিয়া, এবং ছেলে হলে – আর্থার, আলবার্ট, ফ্রেডেরিক, জেমস এবং ফিলিপ।
ক্যাথরিন প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই উৎসাহী পর্যটক, রাজপরিবারের সমর্থক এবং সাংবাদিকদের ভিড় শুরু হতে থাকে সেন্ট মেরিজ হাসপাতালের সামনে। জন লাওরি নামে ৬৩ বছরের একজন গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালের সামনে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন।
“এটিই এখন আমার অস্থায়ী বাড়ি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুবই ভালো আচরণ করছেন। তারা আমাদের সকালের নাস্তার সময় পরিজ এনে দিচ্ছেন। হাসপাতালের বাথরুম ব্যবহার করতে দেন। শনিবার রানীর জন্মদিনে শ্যাম্পেনও জুটেছিলো।” তৃতীয় সন্তান হয়ে সিংহাসনের অধিকার পাওয়ার নজির খুবই বিরল।
১৮৩৭ সালে রাজা তৃতীয় জর্জ এবং রানী শার্লটের তৃতীয় সন্তান চতুর্থ উইলিয়াম সাত বছর রাজত্ব করেছিলেন।