- লা লিগায় এবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।
- দেপোর্তিভোকে ৪–২ গোলে হারিয়েছেন ভালভার্দের শিষ্যরা।
- মেসি করেছেন হ্যাটট্রিক।
এই মৌসুমে কোপা ডেল রের পর লা লিগার শিরোপার দখল নিল বার্সেলোনা। দেপোর্তিভো লা করুনিয়ার মাঠে রোববার রাতের ম্যাচে মেসি খেলেছেন তাঁর নিজের মতো করে; করেছেন হ্যাটট্রিক। সুয়ারেজের সঙ্গে মেসির বোঝাপড়াটাও ছিল দেখার মতো। ম্যাচের একটা সময় সমতায় থাকা দেপোর্তিভোকে ৪-২ গোলে হারিয়ে লা-লিগা শিরোপা নিজেদের করে নিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এ নিয়ে ২৫ বার লা লিগা শিরোপা জিতল বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। সপ্তম মিনিটে দেপোর্তিভোর ডি-বক্সে ডান প্রান্তে থাকা ওউসমানে ডেম্বেলেকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢোকেন মেসি। ততক্ষণে বার্সার মিডফিল্ডার ফিলিপে কুতিনহো সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেলে তাঁর দিকে বল বাড়িয়ে দেন ডেম্বেলে। দেপোর্তিভোর গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে কোনাকুনিভাবে বল জালে জড়িয়ে দেন সাবেক লিভারপুল তারকা কুতিনহো (১-০)। ১৭তম মিনিট টের স্টেগানের অসাধারণ সেভে রক্ষা পায় বার্সা।
তবে ঠিক তখনই অফসাইডের ফাঁদে পড়ে দেপোর্তিভোর একটা গোল বাতিল হয়ে যায়। ৩৮তম মিনিটে দেপোর্তিভোর ডি-বক্সের ডান প্রান্তে থাকা সুয়ারেজকে পাস দেন ডেম্বেলে। লুইস সুয়ারেজ দুর্দান্ত ক্রস করেন মেসির উদ্দেশে। সুয়ারেজ থেকে পাওয়া বল দেপোর্তিভোর জালে জড়িয়ে বার্সাকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন মেসি। তবে গোল ব্যবধান কমাতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি দেপোর্তিভোকে। ৪০তম মিনিটে ফরোয়ার্ড লুকাস পেরেজের গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকেরা (২-১)।
৬৪তম মিনিটে বার্সার দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নেয় দেপোর্তিভো। বোর্গেসের দুর্দান্ত ক্রস থেকে নিচু শটে অসাধারণ গোল করেন দেপোর্তিভোর চলাক (২-২)। সমতায় ফিরে কিছু সময়ের জন্য তেতে ওঠে দেপোর্তিভো। গোল হজম করে মুহূর্তের জন্য খেই হারিয়ে ফেলেন বার্সার খেলোয়াড়েরা। ৭৮তম মিনিটে মেসির শট আটকে দেয় দেপোর্তিভোর রক্ষণ। মিনিট দুয়েক পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। তবে জয়সূচক গোল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি মেসি-সুয়ারেজদের।
৮২তম মিনিটে দেপোর্তিভোর ডি-বক্সে দুর্দান্ত গতিতে ঢোকেন মেসি। সুয়ারেজকে পাস দিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় চলে যান আর্জেন্টাইন তারকা। সুয়ারেজের কাছ থেকে ফিরতি পাসে দেপোর্তিভোর জালে বল জড়ান (৩-২)। ৮৫তম মিনিটে আবারও সুয়ারেজ-মেসি। এবারও সুয়ারেজের পাস থেকে মেসির তিন নম্বর গোল (৪-২)। এরপর কোনো দলই স্কোরলাইন বাড়াতে না পারলেও শিরোপার দখল নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভালভার্দের শিষ্যরা।