বাংলাদেশ এর আগে দুইবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে। একবার ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে আরেকবার ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০১২ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ প্রথম পর্বে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান তাড়া করে জেতে বাংলাদেশ তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৯ রানেই দুটি উইকেট হারায়।
দলীয় ৫৫ রানে অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে রান আউট করেন নাসির হোসেন।
মোহাম্মদ হাফিজও দলীয় ৭০ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে আউট হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা হাল ধরেন।
উমর আকমল ও হাম্মাদ আজম উভয়েই ৩০ রান করে করেন।
শহীদ আফ্রিদি স্বভাবসুলভ ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন।
আর পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও নাজিমুদ্দিন ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দলীয় ৮১ রানে তামিম ব্যক্তিগত ৬০ রান করে উমর গুলের বলে আউট হন।
আরো পড়তে পারেন….
তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ
অঘোষিত সেমিফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান
নাজিমু্দ্দিন ৫২ বল খেলে করেন ১৬ রান এবং নাসির হোসেন ৬৩ বল খেলে ২৮ রান করেন।
সাকিব আল হাসান ৭২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
শেষ পাঁচ ওভারে যখন ৪৭ রান প্রয়োজন তখন আউট হন মুশফিকুর রহিম।
মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩টি চার মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন তবে তিনিও আটচল্লিশতম ওভারে আউট হয়ে যান।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিলো ১৯ রান। মাহমুদুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক ৪৯তম ওভারে তোলেন ১০।
শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। পাকিস্তানের হয়ে বল করেন আইজাজ চিমা।
প্রথম চার বলে পাঁচ রান নেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিলো চার রান।
পঞ্চম বলে আব্দুর রাজ্জাক আউট হয়ে যান, শেষ বলে একটি লেগ-বাই রান আসে।
বাংলাদেশ ২ রানে হেরে যায়।
এই ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের সাকিব, মুশফিক, নাসির হোসেনরা মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সেই টুর্নামেন্টে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হন সাকিব আল হাসান।