উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত শিয়ালদহ-গেদে রেললাইন। একসময় কু-ঝিক-ঝিক বাঁশি বাজিয়ে এইপথেই ছুটতো দার্জিলিং মেল ,আসাম মেল। আর এই ট্রেনে চেপেই আমাদের বাপ-ঠাকুদ্দারা পৌঁছে যেতো যশোর-কুষ্টিয়া বা কাছাকাছি অঞ্চলে,আবার নানান কাজে ঐ ট্রেনে চেপেই আসতেন কলকাতা।
যেমনটি আমরা যাতায়াত করি কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগাঁ বর্ধমান কিংবা আসানসোল বা মেদিনীপুর। ইতিহাসের সাক্ষী এই রেললাইন বুকের মাঝখানে রেখে গড়ে ওঠা জনপদের নাম বগুলা। নদীয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকের অন্যতম প্রধান গঞ্জ।
নামে ‘বগুলা’ বললে আমরা অবশ্যই বুঝি বগুলা ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের কয়েকটি পাড়াকে। কলেজপাড়া আসরপাড়া, পুরাতন পাড়া, স্টেশনপাড়া রেললাইনের পশ্চিমে, আর পুবে পূর্বপাড়া। কিন্তু বৃহত্তর অর্থে এই বগুলার সীমানা আর একটু প্রসারিত। যার উত্তরদিকে চূর্ণী থেকে উৎসারিত গোরাগাঙনি, দক্ষিণে মামজোয়ান, হলদীপাড়া হয়ে বয়ে আসা খালের খাত, যার উৎস চূর্ণী। নাম..
পুবদিকে বিশাল বিস্তৃতি নিয়ে শুয়ে থাকা লক্ষ্মীবিল। আর পশ্চিমে জলবিভাজিকার মতো মুড়াগাছা কলোনীর বিলেন মাঠ। এই নিয়ে যে বগুলা, তার মধ্যে এসেই যায় কুঠিপাড়া, ভবানীপুর, দুর্গাপুর, হরিতলা ; কিঞ্চিৎ সাহাপুর। মাঝখানে ছোট্ট বিলের অবস্থান থাকলেও মুড়াগাছা গ্রাম ও মুড়াগাছা কলোনীকে বৃহৎ বগুলা থেকে সরিয়ে রাখার উপায় নেই। তেমনি গোরাগাঙনির অপরপাড়ে অবস্থান হলেও গৌরনগর, বংশীনগর কিংবা পায়রাডাঙা ও কৌতুকনগরকেও রাখতে হয় এই বৃত্তে।
বাস্তবত এই বৃত্তটা গড়ে উঠেছে দেশভাগের পর থেকে। তবুও আগের বগুলার একটা ইতিহাস আছে, যেটা জানা জরুরি। সেই ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে ঐতিহাসিক নীলবিদ্রোহ। কুঠিপাড়া কুঠিবাড়ি যার সাক্ষী। জড়িয়ে আছে কেরু কোম্পানির বিরুদ্ধে আখচাষীদের সংগঠিত কৃষকবিদ্রোহ, যার প্রমাণরূপে দাঁড়িয়ে আছে বগুলা বাজারের হাঁটচালি। এরকম টুকরো টুকরো উপাদান থেকে গড়ে তোলা যায় একটা ইতিহাস। যা থেকে বোধহয় একটা সিদ্ধান্ত করা যাবে বগুলা মানে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠী, জাতিগোষ্ঠী, কিংবা রাজনৈতিক সংকীর্ণ বোধ থেকে উদ্ভূত অঞ্চলমাত্র নয়। অথচ সেটাকেই গেলানো হয়, হচ্ছে এবং হবে। এটাই যেন এ অঞ্চলের অনিবার্য নিয়তি।
আমি তো ঐতিহাসিক নই। ইতিহাসের সেইসব হারানো পথ ঘুরে ঘুরে উপাদানগুলো সংহত করার মতো ধৈর্য্য, সময় ও যোগ্যতা আমার নেই। ফলে যেটুকু জানা আছে, বলি সেটুকুই। আমার সেই জানা জগতের অন্যতম বগুলার পত্র-পত্রিকার কথা।
বগুলার একটি প্রাচীন সাংস্কৃতিক সংস্থা বগুলা সবপেয়েছির আসর। এই সংগঠনের সংঘমিত্র ছিলেন মানসদা, মানস দাশগুপ্ত। এর নামানুসারে ঐ পাড়াটির আজকের পরিচিতি আসরপল্লী। গ্রাস বাঁচিয়ে মাঠ আছে, আছে মঞ্চ। এই সংগঠনের ইতিহাস মানসদা টুকরো টুকরো লিখেছেন। পূর্বপাড়া নবারুণ সংঘের নানা উদ্যোগে প্রকাশিত স্মরণিকা, শারদোৎসবে ইয়ুথ ক্লাবের পত্রিকা ‘নীল দিগন্ত’ প্রগতি সংঘের পুষ্প প্রদর্শনী ও প্রগতিমেলার স্মরণিকাগুলোতে লেখাগুলো ছড়িয়ে আছে। এই মানসদার মুখেই শুনেছি সাহিত্যচর্চায় বগুলার প্রথম সংগঠিত প্রয়াস ধরা পড়েছিল ‘বন্দনা’ পত্রিকায়। হাতে লেখা এই পত্রিকাটি ১৯৬৪-৬৫ সালে বেরিয়েছিল, দু-তিনটি সংখ্যার পর আর প্রকাশিত হয়নি। এই কথার সমর্থন মিলেছে প্রবীণ সাহিত্যিক প্রতাপচন্দ্র সরকারের সাক্ষ্যে।
বগুলার মুদ্রিত পত্রিকার ইতিহাস খুব পুরোনো নয়। তথ্য তালাশ করে এটুকু জানা যায় প্রথম মুদ্রিত পত্রিকার গৌরব প্রাপ্য ‘গ্রামবাংলা’ নামের একটি পত্রিকার। এই পত্রিকা প্রকাশের একটা গল্প আছে। বাংলা জুড়ে তখন যাত্রা-যুগ। কলকাতার চিৎপুর থেকে যাত্রাদল নিয়ে গিয়ে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করার ব্যাপারে বগুলা টাউন ক্লাব ছিল অগ্রণী নাম। এঁদের মধ্যেই ছিলেন কয়েকজন সাহিত্য অনুরাগী মানুষ। যেমন মিহির আচার্য, রতন মিত্র, মদনমোহন ঝাঁ প্রমুখ। এঁদের আগ্রহে ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয় ‘গ্রামবাংলা’। প্রকাশিত হয় না বলে বলা ভালো ছাপা হয়। শুনেছি চিৎপুরে যাত্রাদল বায়না করতে এসে ওখানেই একটা প্রেসে ছাপা হয়েছিলো। কিন্তু বানানভুলের সমারোহ দেখে পত্রিকা আর পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। আবার অন্য একটি মত প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়, দ্বিতীয় সংখ্যার ক্ষেত্রে বানানবিভ্রাটে পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি। এই পত্রিকার লেখকদের সম্পর্কে যেটুকু জানতে পেরেছি, তাঁরা হলেন মিহির আচার্য, রতন মিত্র, মদনমোহন ঝাঁ, প্রতিমা দাস, ক্ষণপ্রভা দেবী প্রমুখ। পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মিহির আচার্য ও রতন মিত্র।
১৯৮১ সাল থেকে বগুলা স্টেশনে ‘অঙ্কুর’ নামে দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ পেত। প্রতি মাসে পত্রিকা বেরুত অশোক কুমার দাসের সম্পাদনায়। তবে পত্রিকার অন্যতম সংগঠক ছিলেন কমল প্রামানিক। ১৯৮২তে এই ‘অঙ্কুরে’র একটি সংকলন প্রকাশিত হয় মিহির আচার্যের সম্পাদনায়। সংকলনটিতে মিহির আচার্য, প্রতিমা দাস, রতন মিত্র, কমল প্রামানিক, ক্ষণপ্রভা দেবী, অশোকুমার দাস প্রমুখের গল্প -কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। ছাপা সংকলনের পর বেশ কিছুদিন ধরে ‘অঙ্কুর’কে টেনে নিয়ে গেছেন অশোক কুমার দাস।
১৯৮২-র নভেম্বর মাসে ‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’র জন্ম। সংস্থার মুখপত্র ‘প্রসূন’ প্রকাশিত হয় এই সময়। একটি সংখ্যাতেই ‘প্রসূন’-এর অপমৃত্যু ঘটে। ‘প্রসূন’-এ প্রবন্ধ লিখেছেন গৌতম অধিকারী, চিন্তক ছদ্মনামে প্রণব দে। গল্প লিখেছিলেন স্বপন পালিত ( শফিক ভাই ছদ্মনামে) ,কমল প্রামানিক। কবিতাগুচ্ছ ছিল ব্যোমকেশ অধিকারী, রঘুনাথ দত্ত, অপূর্ব ভদ্র, আশীষ বিশ্বাস প্রমুখের। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন গৌতম অধিকারী, কমল প্রামানিক, প্রণব দে।
‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’-র উদ্যোগ নানাবিধ কারণে একটু থিতিয়ে পড়লেও ১৯৮৫ সাল নাগাদ তার পুনরুজ্জীবন লক্ষ্য করা যায়। এই পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ায় প্রকাশিত হয় ‘জানালা’ সাহিত্য পত্রিকা। সম্পাদক গৌতম অধিকারী। পত্রিকার এই পর্বে লিখেছেন শিবনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, রবিন সুর, নির্মল বসাক, ভবানীপ্রসাদ মজুমদার, ব্যোমকেশ অধিকারী, কমল প্রামানিক, প্রণব দে , গৌতম অধিকারী ও আরো অনেকে। ‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’-র মুখপত্র হিসেবে ‘জানালা’ একটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এরপর গৌতম অধিকারীর সম্পাদনায় আরও একটি সংখ্যা একুশে ফেব্রুয়ারি বিশেষ সংখ্যারূপে প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যায প্রবন্ধ় লিখেছেন রণেশ দাশগুপ্ত, মানিক সরকার, লীলা মুখোপাধ্যায় ( মঞ্জু সরকার এই ছদ্মনামে লিখতেন), কবীর চৌধুরী। একুশের গুরুত্বপূর্ণ কবিতার পুনর্মুদ্রণ হয়। এছাড়া ব্যোমকেশ অধিকারী, বাসব দাশগুপ্ত, গৌতম অধিকারী, অপূর্ব কর প্রমুখের কবিতা ছিল এই সংকলনে। ‘জানালা’ পরবর্তী সময়ে দুটি সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন পল্লব বিশ্বাস ও মনোজিত বিশ্বাস। পরে আরও দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে সুমন্ত অধিকারীর সম্পাদনায় ২০০৩ সালে। এমন কথা বলা অন্যায় হবে না ‘জানালা’ই বগুলার প্রথম পত্রিকা, যার মাধ্যমে ‘লিটল ম্যাগাজিন’ কথাটির স্বরূপে ধরা দেয়।
১৯৮৭-তে প্রকাশিত হয় ছোটদের পত্রিকা ‘নবীন’। গৌতম অধিকারীর সম্পাদনায় প্রকাশিত এই কাগজের সহ-সম্পাদক ছিলেন কমল প্রামানিক। তিনটি সংখ্যা স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত হবার পর ‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’র উদ্যোগে এটির একটি ট্যাবলয়েড সংখ্যা প্রকাশ করা হয় ১৯৯০ সালের দিকে। ১৯৯১ সালে ‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’র অঙ্গ সংগঠন ‘অবয়ব’ পূর্ণাঙ্গ গ্রুপ থিয়েটাররূপে কাজ শুরু করে ‘আদাব’ নাটক অভিনয়ের মাধ্যমে। সংগঠিত পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ একরকম থেমে যায় বলা যায়। অনেক পরে ২০০৫ সালে ‘বগুলা সাংস্কৃতিক সংস্থা’র পুনরুজ্জীবন ঘটে বলা যায়। এই বছর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হয় আশ্রম পাড়ায়। সেখানে প্রকাশিত হয় ‘ফ্রেম’ পত্রিকা। যতদূর জানি ‘ফ্রেম’ আরও দুটি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। সম্পাদক প্রণব দে।
বগুলার সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ প্রতাপচন্দ্র সরকার চাকরিসূত্রে উড়িষ্যার ঝাড়সুগোদা থাকতেন। ১৯৭১ সাল থেকে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘মশাল‘ পত্রিকা। নব্বই দশকের শেষে চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর বগুলায় এসে তিনি ‘মশাল’ প্রকাশ করছেন। এর কিছুদিন আগে ‘পানসী’ কবিতাপত্র তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
ছোটোকাগজ প্রকাশের একটা জোয়ার এসেছিল ১৯৯৩ সালে। এবছর প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় বগুলা ডাকবাংলো মাঠে। একে সামনে রেখে প্রকাশিত হয় ‘দ্বীপান্তর’ ( এই পত্রিকার প্রথম প্রকাশ ‘অন্বিষ্ট’ নামে)। সুখেন্দু বিশ্বাসের সম্পাদনায় ‘অনিষ্ট’ ও ‘দ্বীপান্তর’ মূলত কবিতার গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা হিসেবে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় ধরে রেখেছিল। এছাড়া সুশান্ত কবিরাজ সম্পাদিত ‘ময়ূখ’ ও রবীন্দ্রনাথ ঢালী সম্পাদিত ‘মরমীয়া’ প্রকাশিত হয়। একটু অন্যভাবে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও রণজিৎ বিশ্বাসের সম্পাদনায় ‘নবদিগন্ত’ শারদ সংকলন প্রকাশিত হচ্ছে ১৯৯৮সাল থেকে।
অারো পড়তে পারেন…
কিশোরগঞ্জের ছোটকাগজ : জাহাঙ্গীর আলম জাহান
হাতিদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল!
সুভাষ দত্ত স্মরণে : ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
অবশেষে সন্ধান মিললো আর্জেন্টিনার হারানো সাবমেরিনের!
তরুণ কবি তপনের প্রেমের কবিতা “বাসনা”
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘একুশে পরিষদ’। ১৯৯৯ থেকে একুশে মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা শহিদ দিবস স্মরণ করা হতো। এই মেলার স্মারকগ্রন্থ ‘একুশে’ নামে প্রকাশ করার কথা। পরে ঠিক হয় ‘একুশে’ পত্রিকারূপে প্রকাশ করার। দেবদুলাল কুণ্ডুকে দায়িত্ব দিয়ে মেলা কমিটির পরিকল্পনায় ২০০১-এ ‘একুশে’
প্রকাশিত হলো আঞ্চলিক সংস্কৃতির মুখপত্র হিসেবে। সম্পাদকের অনীহাজনিত কারণে এটিও একটির বেশি সংখ্যা প্রকাশ পেল না। এইসময় ‘স্বজনভূমি’ সর্বার্থে একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিমাসিক পত্রিকারূপে পবিত্র বিশ্বাসের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে। আঞ্চলিক পত্রিকার মডেল হয়ে উঠেছিল পত্রিকাটি। প্রকাশিত হয় তিনটি সংখ্যা। এর পাতায় প্রয়াত অশোক মিত্রের একটি সাক্ষাৎকারমূলক অনুলিখিত রচনা প্রকাশিত হয়। এসময় কবিতার প্যামপ্লেট ‘নিষঙ্গ’ প্রকাশ করা হয় নন্দদুলাল কুণ্ডুর সম্পাদনায়। পরে একই সম্পাদক সম্পাদনা করেন এবং ‘গ্রীক কোরাস’।
বগুলার বিলুপ্ত পত্রিকার ইতিহাসে সর্বার্থে ব্যতিক্রমী ‘কথারূপ’। গৌতম অধিকারী সম্পাদিত পত্রিকাটি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘরে ২০০২-এর ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করেন ড. অশোক মিত্র। প্রথম সংখ্যাটি ছিল ‘কথাসাহিত্যিক সুলেখা সান্যাল বিশেষ সংখ্যা’। এরপর চারটি সাধারণ সংখ্যা ছাড়াও বেরিয়েছে ‘ননী ভৌমিক সংখ্যা’ এক ও দুই।
হারিয়ে যাওয়া পত্রিকাগুলো একত্রিত করতে পারলে বগুলার লেখালেখির গুণগত মান পর্যালোচনা সম্ভব। আমি এখানে শুধু হারিয়ে যাওয়া মুদ্রিত সাহিত্য পত্রিকার সালতামামি উপস্থিত করলাম।
গৌতম অধিকারী : কবি, লেখক ও সম্পাদক। কলকাতা, ভারত।।