সাহিত্য ডেস্কঃ
এ প্রজন্মের কবি ফাতেমা খাতুন রুনার আজ জন্মদিন। কাকতালীয়ভাবে আজ কবির একমাত্র কন্যা ফারিয়া আজমেরীরও জন্মদিন। কবি ও কবি কন্যার জন্মদিনে নরসুন্দা পরিবারের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রেম দেবতা
ফাতেমা খাতুন রুনা
ওহে প্রেম দেবতা
তোমাতেই পড়েছে এই মন বাঁধা
বিরহে বেদনায় বিবাগী গো আজ
এসো এই ক্ষুদ্র প্রাণে ভালোবাসা নিয়ে–!
মোর প্রাণে তোমারই নাম লেখা
সে হৃদয় আর হবে না কারো দেখা
অন্তর জুড়ে শুধুই তুমি কোন সুদূরে
লুকালে গো আমারে ছাড়ি তুমি–!
মন চাই ওই ঝর্ণার মত
বয়েই যাই তোমার প্রাণে প্রাণে
তুমি আমার জগতে বাঁচার অবলম্বন যে
বুঝনি তোমার বাস আমার হিয়ারও মাঝে–!
প্রতি শোধের ভাইরাস
ফাতেমা খাতুন রুনা
আজ বড্ড কঠিন হয়ে গেছিস তুই
ভালোই তো একাও থাকতে শিখে গেছিস–
এখন আর পাখির কথা মনে পরে না
মনে পরে না পুরনো দিনের কথা গুলো–
কি করেই বা মনে পরবে তোর চার দিকে এত প্রজাতির ভীরে,
লাল,নীল,হলুদ বাহারী রঙে রাঙানো প্রজাপতি
তুই কেবলি দার্শনিকের মত দেখিস, চোখ ফেরাতে পারিস না–
তাই জন্মের মত ভুলে গেলি গেঁও মেয়েটাকে
দেখে নিস একদিন এই অজোপাড়া গাঁয়ের মেয়েটি
ঠিক তোকে ভুলে মাথা তুলে দাঁড়াবে।
ফেলবে না আর তোকে ভেবে এক ফোটা অশ্রু–
তুই দেখে নিস একদিন আমি ঠিক পারবো
আমাকে যে পারতেই হবে –
আমি হারতে চাই না এখন আর
কেবলি আমার শরীরে রক্ত ভাইরাসের মত
কাজ করছে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য–।
জানিস তো এক সময় তোকে খুব ভালোবেসেছি
আর আজ তোকে হ্যাঁ তোকে শুধুই ঘৃনা করি–।
অন্বেষিত প্রেম
ফাতেমা খাতুন রুনা
এই কবি তুই আমার হবি
আমাকে আমার মত ভালোবাসবি,
তোকে আমি খুব ভালোবাসবো
ঠোঁটের চুম্বনে চুম্বনে তোকে রাখবো–।
ভালোবাসায় ভালোবাসায় তোকে ভরিয়ে রাখবো
আমার বুকের সাথে তোর বুক মিশিয়ে রাখবো,
তোর কপালের ঘাম হবো, তোর চোখের স্বপ্ন আঁকবো
নয়নে নয়নে চেয়ে থাকবো, চোখের কাজল করে রাখবো–।
তোর বুকেই আমার পৃথিবীর স্বর্গ রচনা করবো
ওই নীল নদীর তীরে আমাদের ঘর বানাবো,
চাঁদের জ্যোৎস্নায় দু‘জনে মহা সুখে গা ভিজাবো
নীল জলে নীল জ্যোৎস্না সাঁতার কাটবো–।
ভোরের প্রথম আলো হাতে হাত রেখে
নগ্ন পায়ে শিশিরকণার ছোঁয়ায় আজানা ঢেউয়ে মন ছোঁয়াবো
কাশ ফুলের শুভ্রতার মাঝে নির্জনে হারিয়ে যাবো,
ওই পাহাড়ের সব সবুজ তোর জন্য উৎসর্গ করবো–।
ওই সূর্য্যর তীব্রতার সাথে সাথে জীবনের আপন পথে
আমরাও চলতে থাকবো আমাদের প্রেমের বিশ্বে,
আমাদের ভালোবাসা দেখে হিংসায় জ্বলতে থাকবে
স্বয়ং সু্র্যদেব ক্রমশ আরো বাড়িয়ে দিবে রোদের তীব্রতা–।
চন্দ্রদেবও হিংসায় তার আলোর মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে
অন্ধকারে ঢেকে দিবে তোর আমার পৃথিবী, তাতে কি?
তবুও আলাদা হবো না এই মহা পৃথিবী থেকে আমরা
স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবে না–।