ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ২৪০০ কোটি টাকার খাবার গ্রহণ করা হয়। ক্ষেত থেকে পাত পর্যন্ত খাদ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। খাদ্যে ভেজাল ও দুষণ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণে এক বিরাট ঝুঁকি হিসেবে এখনও বিরাজমান। এই প্রেক্ষাপটে “সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০১৯ সালের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। জানামতে, বাংলাদেশ পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যেখানে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালিত হয়।
বাংলাদেশের মহান সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের খাদ্যের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম ‘মৌলিক দায়িত্ব’। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ব্যক্তির শারিরীক ও মানসিক চাহিদাপূরণ, আত্মমর্যাদা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ খাবারের স্থায়ী যোগানের নিশ্চয়তা বিধানই হচ্ছে খাদ্য অধিকারের মূল কথা।
খাদ্য নিরাপদ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় নানা প্রক্রিয়ায় খাদ্য দূষিত হচ্ছে। বাড়ছে অসংক্রামক রোগ। উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং বিপণনের প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্য নিরাপদতায় সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের খাদ্য অধিকারের অংশ হিসেবে নিরাপদ খাদ্যের দাবী জানাই।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বিসেফ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ২ ফেব্রুয়ারী, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব এর কনফারেন্স রুমে ‘পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক নাগরিক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় দেশের খাদ্য ও কৃষিখাতের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিবেন এবং সরকারের করণীয় সম্পর্কে সুপারিশসমূহ তুলে ধরবেন।