বাংলাদেশে একটি হ্যান্ডবল দলের কোচ হিসেবে কাজ করছেন একজন নারী।
তার নাম ডালিয়া আক্তার। সম্প্রতি যশোরে শেষ হওয়া জাতীয় হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে ঢাকা জেলার কোচ ছিলেন ডালিয়া।
ডালিয়া একাধারে ফুটবলার, ক্রিকেটার, ভলিবল ও হ্যান্ডবল খেলোয়াড়। জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, চোটের কারণে ফুটবল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে হ্যান্ডবলে খেলা চালিয়ে গেছেন তিনি। পাশাপাশি হ্যান্ডবলের কোচিংও চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডালিয়া আক্তার মনে করেন, একটা ছেলে যদি মেয়েদের দলের কোচ হতে পারেন তবে একটা মেয়েও ছেলেদের দলকে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের জন্য ছেলেদের দলে কোচ হওয়াটা কঠিন হলেও ডালিয়া আক্তারকে তেমন কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন……
শেখ জামাল ধানমন্ডি, সাইফ স্পোর্টিং ছাড়া অন্য ক্লাবগুলোর ফেসবুক পেজই নেই
“মূলত আমি বেতনভূক কোচ নই, বাংলাদেশের হ্যান্ডবল কোচ অ্যাসোসিয়েশন অনেক দিন ধরেই ভাবছে ঢাকা জেলার ছেলেরা তেমন খেলাধুলার সুযোগ পায় না। আমরা ঠিক করি যে ঢাকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের নিয়ে ঢাকা জেলা হ্যান্ডবল দল গঠন করবো।”
“বহুদিন ধরে হ্যান্ডবলের সাথে থাকায়, আমার দায়িত্ববোধ থেকেই কোচিং করাই।”
ডালিয়া আক্তারের কাছে বিবিসি বাংলা প্রশ্ন করেছিল নারীরা কি কোচিংকে পেশা হিসেবে নিতে পারে?
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মেয়ে কোচ বেশি আসলে আরো বেশি বাবা-মা মেয়েদের খেলাধুলায় দিতে আগ্রহী হবে। যেহেতু তারা নিরাপদ বোধ করে।” “আমার মতে কোচিং এ নারী না পুরুষ এসব তেমন গুরুত্বপূর্ণ না, কারণ এটা অনেকটা দিকনির্দেশনা দেয়া বা মানসিক দিক থেকে খেলোয়াড়দের চাঙ্গা রাখা।”
ডালিয়া মনে করেন, সংগ্রাম আসলে ছেলে বা মেয়ে সবাইকেই করতে হয়, সেটা খেলাধুলা হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে আছেন নারী ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পারভিন নাসিমা নাহার পুতুল। তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন, নারী কোচের অধীনে পুরুষ দলের খেলাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই পুতুল ক্রীড়া অঙ্গনে আছেন। তার মতে, সংগ্রাম করেই আজ নারীরা আজকের পর্যায়ে এসেছে।
“নিজ যোগ্যতা বলেই সংগ্রাম করে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা থাকবেই এসব স্বাগত জানিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।”
বাংলাদেশের খেলাধুলায় নারী নেতৃত্বের সম্ভাবনার কথা বলেন পুতুল।
“মেয়েরা রাগবির মতো কঠিন ও শরীরি খেলা খেলছে। ফুটবলে অদূর ভবিষ্যতে আশা রাখি বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।”
নোট: বিবিসি বাংলা।