সাহিত্য ডেস্কঃ
অন্তরে আঁধার পুষে রেখে
-সনাতন উল্লাস
অনিবার্যতার অলিম্পন এঁকেছি
কাকতারুয়ার চোখের ভিতর,
দুইবাহু- বহু বঞ্চনার সাক্ষী বহন করে
আগুনে পুড়লে তবু থাকে ভিটা মাটি
নদীর মতো তুমি যখন গোগ্রাসে করো গ্রাস
আমার অতীত আর স্বপ্নের কুঁড়েঘর।
তুমি বরং আলতা পরো পায়ে
গুনগুনিয়ে গল্প শোনাও মাটিতে নেমে আসা
বিবর্ণ হলুদ পাতার মতো পাখিটিকে,
ল্যাপটানো কাজলের শেষহীন দাগ যেখানে-
সেখানেই হবে তোমার সাথে দেখা,
কেননা শুরুতেই তুমি প্রশ্নবোধক চিহ্নটিকে
সন্দেহাতিত ভাবে পুঁতে রেখেছো
মনময়তায় মন্থর মনোভূমির বালুকা বেলায়।
অবেলায় অন্তরে ভাসে ভেলা,
তোমার আঁধার হবার ই্চ্ছেতে নেই ছায়া,
এতো অবিশ্বাসী কেন
বলতো কিশোরী? না হয় ছিটকে পড়েছে ধুমকেতু,তবু
তুমিতো নিয়মিতই করে চলছো গোপনে স্নান,
তোমার মতোই মাসে মাসে ঋতুবতি হয় রাত
রুক্মিনীর সংসার জীবন আলোচনায় আসেনা তেমন
যতটা তোমায় ছুঁতে পারে পোড়া দুই হাত।
অনিবার্যতায়, যদি তুমি হও
ল্যাপটানো কাজলের শেষহীন চিহ্ন
যদি নিজেকে করতে না পারো
চরম অবিশ্বাস,
কথা দিলাম
অন্তরে আঁধার পুষে রেখে,
আমি ও করবো তোমার সাথে
আঁধারেই বসবাস।।