তোমার সাজে বাংলা সাজে
————–————–
তোমার সাজে বাংলা সাজে
হে প্রিয় নববর্ষ,
বাংলা বর্ষের আবর্তনে
হ্নদয়ে জাগে হর্ষ।
চৈত্রের দুপুর,ভরা সুর্যালোক
খাঁ খাঁ রোদের মাঠ,
ফেটে তবে আজি হয়ে গেছে হায়
যেন মরা কাঠ।
শুষ্কতা আর রুক্ষতা কাটিয়ে
বৈশাখ এলেই শুনি,
একদিন তবে আমরাও নাকি
মেলার দিন গুনি।
একদিন কেন,সারা বছর কেন
হয়না বৈশাখী সাজ,
বৈশাখ এলে সাজিয়ে মোদের
জুড়াবে হাসির ভাঁজ।
নতুনেরে তুলি,পুরানেরে ভুলি
জীবনের হাসিগানে,
বৈশাখ এলে মাতায় মোদের
বাঙ্গালীর জয়গানে।
অশ্রুজলের দাগ মুছিয়ে
বৈশাখ দিয়েছে স্নেহধারা,
বৈশাখ এলেই প্রানের টানে
মেতে উঠে তরুণেরা।
স্নানহীন এক রুক্ষ কিষাণ
মেতে উঠে স্বপ্নজালে,
নবান্ন তার প্রানের উৎসব
বৈশাখের সুরতালে।
কৃষকের মুখে ফুটায় হাসি
কিষাণীর বুকে স্বপন,
বৈশাখ এলেই ভুলে যাই সব
হারায়ে কষ্টের কথন।
হ্নদয়ভরা এ শুভ্রতা যেন
বারে বারে আসে,
ফিরতে চাই আমার বাঙ্গালীত্বে
বৈশাখী ভেলায় ভেসে।।
প্রানের বৈশাখ
—————
সুরতালের জয়োল্লাসে
সব দুঃখ মুছে যাক,
বঞ্চিতরা জেগে উঠো,
নববর্ষ দিচ্ছে ডাক।
শাখায় শাখায় পত্র পল্লবে
মর্মরিত বৃক্ষরাজি,
শোসিতের জয় হোক
বঞ্চনা সব ঘুচাক আজি।
অগ্নিবানে,দেহে প্রানে
সব ক্লেদ মুছে যাক,
বছর ঘুরে এল যখন
আমাদের পহেলা বৈশাখ।
তরুণীরা সব সাজবে আজ,
বাঙ্গালীর প্রাণের সাজে,
ফুলে ফুলে সুশোভিত
ফুল যে তাহার খোপার ভাঁজে।
এসো ভাই, এসো বোন
গড়ে তুলি নিজ সংস্কৃতি,
সর্বনাশা পাশ্চাত্যের কাছে
হয়না যেন বাঙালীর ইতি।
হাতটি মিলাও, এসে তবে
গড়ে তুলি মন পবন,
বাঙালীপনায় মাতবো সবাই
রাঙাব সারাক্ষণ।
আমার রাজ্যের আমি রাজা
যা খুশি তা করি,
বাংলা আমার প্রানের রেওয়াজ
চিত্তে বিভাবরী।
পানতা ইলিশ একদিন নয়,
বছর জুড়ে খাও,
বাংলা সংস্কৃতি জীবনভর
লালন করে যাও।
বৈশাখ তুমি এসো হে ফিরে
বারে বারে শতবার,
তোমার জন্যই ফিরে পাই মোর
বাঙ্গালীত্ব বার বার।
বৈশাখ তুমি এসো হে ফিরে
জীবন মাঝে বারে বার,
তুমি আমার প্রজ্বলিত শিখা,
সবচেয়ে বড় অহংকার।
বাউল সন্ধ্যার অন্ধকারে
পুনঃপুনঃ মাতি,
চিত্ত মাঝে এসব সংগীত
বাজে দিবারাতি।
তুমি এলে তোমার কাছে
এক সমুদ্র দুঃখ বেচি,
নতুন করে স্ব- সংস্কৃতি
যতন করে কাচি।
কাচার পরেও দুষন থাকে
দাগ থেকে যায়,
আগ্রাসনের দুনিয়াতে
সংস্কৃতি রক্ষা দায়।
বৈশাখ তুমি দাও হে আমায়
নতুন করে ঠাই,
তোমার মাঝেই স্বমহিমায়
বুক ফুলিয়ে দাড়াই।।