সাহিত্য ডেস্কঃ আমরা বাংলায় কথা বলি, বাংলায় গান গাই, বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। মায়ের কোল থেকেই চারপাশের সবার কথা পর্যবেক্ষণ করে কথা শিখি, ভালোলাগা মন্দ লাগার ভাষা শিখি। চিরাচরিত বাংলাকে উপস্থাপন করার অন্যতম মাধ্যম বাংলা সাহিত্য। সাহিত্যচর্চা করতে বিশাল বিশাল গ্রন্থের বাইরেও ছোট ছোট কিছু মাধ্যম থাকে, আর সে মাধ্যম হিসেবে সাহিত্যের ছোট কাগজের ভূমিকা অপরিসীম। সাহিত্যরস ছড়িয়ে দিতে ছোটকাগজগুলোতে সাহিত্যিকদের একত্রিত করে এক মিলনমেলার আয়োজন হয়। দেশের বিভিন্ন সাহিত্যিকদের একত্রিত করার কাজটি যদিও খুব একটা সহজ হয়ে থাকে না। তবুও নির্দিষ্ট কিছু সংগঠন কাজটি করে যায়। তেমনি একটি সংগঠনের নাম “ঝাড়বাতি “।
গত একবছর ধরে কাজ করে তিনটি ছোট কাগজ উপহার দিয়ে নতুন লেখক সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে আজ ১৩ই এপ্রিল ঝাড়বাতি একবছর। জন্মদিন উদযাপন করেছে ঝাড়বাতির সকল সদস্য সেই সাথে গল্প সংখ্যা ও কবিতা সংখ্যা একত্রে সম্পাদনা করার স্পর্ধা দেখিয়েছে ঝাড়বাতির সম্পাদনা পরিষদ। অগ্রজ কবির ভিড়ে কিছু নবীন সাহিত্যিক একত্রিত হয়ে এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো ঝাড়বাতি।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন ঝাড়বাতিকে শুভেচ্ছা ও সাধুবাদ জানাতে এসেছিলেন। স্বপ্নদূত সংগঠন একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করে, এছাড়াও প্রমা আবৃতি সংগঠন হতে রাসেদ হাসান, উদিচী চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি সুনীল ধর, বাংলা সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র হতে শাহীন আক্তার, উঠোন, দীপশিখা, নারীকন্ঠ সহ বিভিন্ন সংগঠন তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেছে এবং ঝাড়বাতির সর্বাত্মক সমৃদ্ধি করেছেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক বিপ্রতীপ অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিটলম্যাগের সংগ্রহক কবি কমলেশ দাশগুপ্ত, উত্তরাধুনিক কবি স্বপন দত্ত, কবি হোসাইন কবির, কবি জিললুর রহমান, কবি আশীষ সেন, কবি ও গল্পকার দেবাশিস ভট্টাচার্য, কবি কমরুদ্দিন আহমেদ, কবি সাইদুল আরেফিন, কবি রমজান আলী মামুন, কবি আরিফ চৌধুরী কবি মোস্তফা হায়দার, কবি আরিফা সিদ্দিকী, কবি ও প্রবন্ধিক ইলিয়াস বাবর, কবি শহীদুল আলীম, কবি আখতারী ইসলাম প্রমুখ । বিকেল ৪টা থেকেই দৈনিক সুপ্রভাত স্টুডিও হলে উৎসবের আমেজ লেগেছিলো, কবি রুহু রুহেল এবং তাপস চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় কবি পুলক বিশ্বাসের মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় । বিপ্রতীপ অপুর বাঁশরি মূর্ছনা দিয়ে হয়েছিলো শুরুটা। একে একে অন্যান্য কবিগণ স্বরচিত কবিতা পাঠ করে অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মাঝে সংগীত শিল্পী ফায়েকের কণ্ঠে নজরুলগীতি সবাইকে মায়ায় আচ্ছন্ন করেছিলো।
অনুষ্ঠানের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিলো, গত এক বছর নেতৃত্বদানকারী আহ্বায়ক কমিটি ঝাড়বাতির সদস্যদের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়া। সর্বসম্মতিক্রমে ঝাড়বাতির দ্বিবাষিক কাযকরী কমিটি গঠিত হয়। কবি ও গল্পকার দেবাশিস ভট্টচার্য কে সভাপতি এবং কবি ও নাট্যকার তাপস চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক করে দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সিনিয়র সভাপতি কবি রুহ রুহেল, সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, সহ সাধারণ সম্পাদক কবি দেবব্রত সেন, অর্থ সম্পাদক কবি আকাশ আজিজ। সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি সাদ হাসান, সহ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক শান্তনু ত্রিপাঠি , আইটি ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল আউয়াল, সহ আইটি ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার, সদস্য কবি আশেক-ই-খোদা, কবি সানজানা সিফাত ও কবি প্রেমা চক্রবর্তী। নতুন কমিটির নিকট আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর এবং কেক কাটার মাধ্যমে বর্ষপূর্তীর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।