ক্রিকেট ভালোবাসেন অথচ শচীন টেন্ডুলকারকে চিনেন না কিংবা জানে না, এমন ক্রিকেট প্রেমী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ২২ গজের ক্রিকেট মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো এই ক্রিকেটারের নামের পাশে কখনো লেখা হয়েছে মাস্টার ব্লাস্টার, কখনো বা লিটল মাস্টার। আবার অনেকেই অকপটে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন ক্রিকেটের ঈশ্বরের।
ওয়ানডে, টেস্ট কিংবা হালের টি-টুয়েন্টি, কোনটাতেই দাপট দেখনো বাদ নেই ইতিহাস নন্দিত এই ক্রিকেটারের। ওয়ানডে এবং টেস্ট মিলিয়ে করেছেন সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। ২০০ টেস্টে করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ রান ও ৪৬৩ ওয়ানডে করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬ রান।
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শচীন ওয়ানডেতে হাকিয়েছেন দ্বি-শতক। ২০১৩ সালে স্বীকৃত সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন ৫০ হাজার রানের মাইলফলক। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালের উইজডেনের একটি নিবন্ধে তাকে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা টেস্ট ক্রিকেটার এবং ভিভ রিচার্ডসের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা একদিনের ক্রিকেটার বলে অভিহিত করা হয়।
১৯৮৯ সালে মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয় শচীনের। এরপর থেকে প্রায় চব্বিশ বছর ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন দাপিয়ে বেড়ান। ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিসের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানেন। আজ এই ক্রিকেট ইশ্বরের ৪৫ তম জম্মদিন। শুভ জম্মদিন লিটল মাস্টার। তাকে জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হিরিক পড়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে।
মুহম্মদ কাইফ তার টুইট হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সেরা দিন ছিল ২০০৩ সালে সেঞ্চুরিয়ানে। কারণ ২২ গজের মাঠে বিশ্বকাপে আমরা চিরপ্রতিদন্দ্বী পাকিস্তাকে পরাজিত করি অসাধারণ নৈপুন্যের মাধ্যমে। আপনি একজন অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষ। শুভ জম্মদিন শচীন টেন্ডুলকার।’
ভি.ভি.এস লক্ষণ টুইট করেছেন, ‘শুভ জম্মদিন প্রিয় শচীন। আপনার অনুপ্রেরণা সবসময় থাকবে। অবসর গ্রহণের পরেও যে আপনি সমাজের ভালোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তা রীতিমতো প্রশংসনীয়। আপনার সাফল্য কামনা করি সবসময়।’
শচীনকে জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আইসিসি টুইট হ্যান্ডেল করে বলেছে, টেস্টে সবোর্চ্চ রান। ওয়ানডেতে সবোর্চ্চ রান। সাথে ২০০ উইকেট। শুভ জম্মদিন ভারতের কিংবদন্তি লিটল মাস্টার। এছাড়াও টুইট বার্তায় তাকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান বীরেন্দ্র শেবাগ, আর পি সিং, শিখর ধাওয়ান, সাকলাইন মোস্তাক, সুরেশ রাইনাসহ আরও অনেকে।
শচীন টেন্ডুলকার চলতি আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দলীয় আইকন হিসেবে যুক্ত আছেন। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৭৮ টি, যেখানে তিনি ৩৪ দশমিক ৮৩ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৩৩৪ রান এবং স্ট্রাইক রেট ১১৯ দশমিক ৮১। টেন্ডুলকারের নেতৃত্বে ২০১৫ সালের আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ঐ আসরে তিনি ১৫ ম্যাচ খেলে করেন ৬১৮ রান ।