“পরকীয়া”
-রাশেদ রেহমান
সমুদ্র, বীভৎস সুনামি কাকে কয়,
দেখেছ নিশ্চয়।
একটি সুস্থ সাবলীল পৃথিবীকে
মুহূর্তেই বিকারগ্রস্ত বায়ুর –
ঘূর্ণায়মান জলকণার আঘাতে
ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়।
তেমনি এক স্ব-সৃষ্ট সুনামিতে
আহত আমি।
অবহেলা আর উপেক্ষার আগুনে দগ্ধিভূত
আমার ভেতর আমার বাহির!
কি ভীষণ ভালবাসতে আমায় তুমি।
তোমার উদ্দাম ভালবাসার প্রশস্ত বুকে-
আমি বিন্দু বিন্দু জলকণা বিশাল জলরাশির
ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়তাম
প্রেমাত্মতার কামার্ত সুখে।
সেই উন্মুক্ত প্রেমকে জলাঞ্জলি দিয়ে
তোমার বুকে মাথা রেখে,
আমি পাহাড়ের স্বপ্ন দেখতাম
নস্টালজিক প্রেমে।
উদারতায় তুমি বলতে -পাহাড়কে ভালবাসো?
তবে যাও, যাও তবে – প্রতীক্ষিত স্বপ্নের
অবগাহনে তৃষার্ত হৃদয় ভরাতে।
আমি তোমার মন চাই – দেহ কে নয়!
যদি কোনদিন কোনক্ষণে কোন প্রয়োজনে
আমায় পড়ে মনে – তবে চলে এসো -।
পরকীয়ায় আসক্ত আমি জলক্ষয়ে
বাষ্পীয় উড়তে উড়তে,
মেঘ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে,
ছুটে চলি পাহাড়কে আলিঙ্গনে।
অবশেষে শত সহস্র মেঘের ভিড়ে,
পাহাড়ের পায়ের কাছে ঠাই হলো আমার-
যেখানে গহন অরণ্য।
অতঃপর ক্ষোভে অভিমানে
চোখের জলে জলপ্রপাত,
হ্রদ- নদ হয়ে ফিরে চলি
ফেলে আশা সাগর স্নানে –।