নিজেদের সপ্তম ও অষ্টম ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াই মাঠে নেমেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ওই দুই ম্যাচের একটিতে জয় আর বাকিটিতে হারের তিক্ত স্বাদ পায় পয়েন্ট টেবিলের তলানির দলটি। মুস্তাফিজকে বাদে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিলেও বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে পার পাননি রোহিত-লুইসরা। হেরে যায় ১৪ রানে।
ব্যাঙ্গালুরুর কাছে অল্প রানে হারের পর একটা গুঞ্জন উঠেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মুম্বাই একাদশে ফিরবেন মুস্তাফিজ। কিন্তু সেটাও হলো না! গতকাল গেইল-মিলারদের বিপক্ষে সাইডবেঞ্চেই জায়গা হয়েছে এই টাইগার পেস সেনসেশনের। আইপিএলে এখন পর্যন্ত মুম্বাইয়ের হয়ে ছয় ম্যাচে সাত উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। এই ছয় ম্যাচে বোলিং করেছেন ২৩.৩ ওভার। রান দিয়েছেন ১৯৬। সেরা বোলিং ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট।
বোলিং ইকোনমি ৮.৩৪। গেল ৭ এপ্রিল মুম্বাইয়ের জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন মুস্তাফিজ। ওই ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে বল হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। ৩৯ রান দিয়ে মোটে একটি উইকেট তুলে নেন। পরের ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন ফিজ। নিজের সাবেক টিম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২৪ রান দিয়ে শিকার করেন তিন-তিনটি উইকেট। ১৪ এপ্রিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মুখোমুখি হয় মুম্বাই।
সে ম্যাচে উইকেট কম পেলেও বেশ কিপটে বোলিং করেন মুস্তাফিজ। ২৫ রান দিয়ে দখলে নেন এক উইকেট। নিজের চতুর্থ ম্যাচে বল হাতে নিষ্প্র্রভ দেখা যায় মুস্তাফিজকে। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেদিন বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তিনি। ৫৫ রানের বিপরীতে কোনো উইকেটই পাননি।
নিজের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ম্যাচে খুব একটা খারাপ বোলিং করেননি মুস্তাফিজ। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৩৫ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি। এরপর সাকিবদের হায়দরাবাদের বিপক্ষেও বৃথা হাত ঘোরাননি মুস্তাফিজ। ১৮ রান খরচায় শিকার করেন এক উইকেট।