কাছ থাকে দেখা এমন একজন মানুষকে নিয়ে লিখতে বসেছি যার মধ্যে এত্তোগুলো ভালোগুণ, যা লিখে শেষ করা যেখানে সময় সাপেক্ষ সেখানে জীবনী কিংবা শিক্ষাজীবন নিয়ে লিখার প্রয়োজন ও বোধ করছি না !
যাঁর কাছে মানুষের কোনো রং, জাত কিংবা ধর্ম দেখি নাই, কোন মান-অভিমান করতে দেখি নাই।
অসহায় মানুষের কল্যাণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের হাত বাড়াতে দেখেছি। অসহায় মানুষদের বুকে জড়িয়ে নিতে দেখেছি, নিজের খাবার টুকু ভাগাভাগি করে খেতে দেখছি সবার সাথে।
তাঁর কাছ থেকে কাউকে কোনো কাজের জন্য ফিরে যেতে দেখি নাই বরং নিজের সবটুকু উজাড় করে পাশে দাঁড়াতে দেখেছি কিংবা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক প্রতিবন্ধকতায় কিছু না করার আক্ষেপ ও কষ্ট মনে লালন করতে দেখেছি।
দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের জন্য কিছু করার তৃষ্ণা কখনো ফুরাতে দেখি নাই! যাঁকে মানুষের জন্য পর্দার আড়াল থেকে অনেক করতে দেখছি, হয়তো যে উপকৃত হয়েছে সে হয়তো সামনে থেকেও ওই মানুষটিকে খোঁজেছে।
জানি আজকের দিনটি হয়তো বিশেষ কোনো দিন না ভেবে তিনি তাঁর বাবার স্বপ্নের দিরাই-শাল্লা গড়ার রোডম্যাপ করেই কাটিয়ে দেবেন কিংবা দিরাই-শাল্লার ফসলহারা কৃষকের সাথে দুঃখ ভাগকরেই কাটাবেন।
যে স্বপ্নের দিরাই-শাল্লার গড়ার জন্য আপোষহীন ভাবে তিনি এগিয়ে চলেছেন, সেই পথচলা সুগম হোক- সহজ হোক, এই প্রত্যাশা রাখছি।
পরিশেষে বিশ্বকবির ভাষায় বলতে চাই “হে নতুন দেখা দিক বার-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ! ”
সবসময় ভালো থাকুন। শুভ জন্মদিন। হাওর পাড়ের রাজকুমার সৌমেন সেনগুপ্ত।