বলিউড তারকা সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর আজ তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তার শুনানি শেষ হয় নি। আগামীকাল হয়তো বিচারকের আদেশ শোনা যাবে। তাই গতকালের মতো আজ রাতেও সালমান খানকে রাজস্থানের যোধপুর জেলেই কাটাতে হবে। আদালত ১৯৯৮ সালে দুটি কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেল দিয়েছে ।
এর আগেও জেল খেটেছেন তিনি। এই দফায় গতকালই ছিলো প্রথম রাত। জেলের কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল থেকে জেলের খাবার মুখেই তোলেন নি সালমান খান। রাতেও খান নি, সকালের নাস্তাও করেন নি। যোধপুর জেলের সুপারিন্টেনডেন্ট বিক্রম সিংকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “গত রাতে অন্যান্য কয়েদিদের মতোই এই সুপারস্টারকেও রুটি আর ডাল দেওয়া হয়েছিল। আজ সকালের নাস্তা ছিল খিচুড়ি। কোনটাই তিনি মুখে তোলেন নি।”
কোটি কোটি মানুষের প্রিয় এই অভিনেতাকে অবশ্য কোন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না জেলে। বিক্রম সিং জানিয়েছেন, সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হচ্ছে তাকে। তাঁর কয়েদি নম্বর ১০৬। যে দুই নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে এই সুপারস্টারকে, সেখানেই আছেন ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপু। দু’জনের কুঠরির মধ্যে শুধু একটা পর্দা দেওয়া।
রাতে জেলের মেঝেতে একটা কম্বল পেতে শুয়েছিলেন তিনি, যদিও ওই স্বঘোষিত গুরু আসারাম বাপু সালমান খানকে নিজের গদিটা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, এমনটাই খবর দিয়েছে ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এই যোধপুর জেলেই তিনবার থেকে গেছেন তিনি। মোট ১৮ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল। যোধপুর থেকে বিবিসি সংবাদদাতা নারায়ণ বারেঠ জানাচ্ছেন, যে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে গতকাল পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের যে আদেশ দিয়েছিল রাজস্থানের আদালত, সেই শাস্তির ওপরে তিনি এখনও জামিন পান নি।
এদিকে বলিউডের এই সুপারস্টারকে জেলে যেতে হওয়ায় অনেকেই তার প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমে ।তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন যেমন চলচ্চিত্র জগতের রথী মহারথীরা, তেমনই আছেন অগণিত ভক্তকুলও। অন্যদিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা দাবী করছেন সর্বোচ্চ সাজাই হওয়া উচিত ছিল তার।
যে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, সেটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা আইনের একনম্বর তফসিলে অন্তর্ভুক্ত। এই দোষে সর্বোচ্চ সাজা ৬ বছরের।