বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি নববর্ষ উদযাপন করা হয়। নিজ নিজ দেশের বর্ষপুঞ্জি উপলক্ষে এ বর্ষবরণে তুলে ধরা হয় নিজেদের নানা সংস্কৃতি।
বাংলা নববর্ষ: পহেলা বৈশাখ বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দিনটি নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। তবে বাংলাদেশের ১৪ এপ্রিল নববর্ষ পালন করা হলেও পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।
চীনা নববর্ষ: বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত উৎসব চীনা নববর্ষ। উৎসব উপলক্ষে শহরের মানুষ গ্রামে পরিবারের কাছে ফিরে যায়। কারণ, ঐতিহ্য অনুযায়ী নতুন বছর শুরুর আগের রাতে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে মিলে রাতের খাবার খান তারা। এ সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা হয়। লাল কাগজ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে দরজা, জানালা সাজানো হয়। আতশবাজি পুড়িয়ে ভূতপ্রেত তাড়ানোর ব্যবস্থা হয়।
নওরোজ: ইরানের নববর্ষ উৎসব নওরোজ। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো পর্বগুলোর মধ্যে এটি একটি। শুরুটা ইরানে হলেও এখন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এ উৎসব উদযাপন করেন। এটি বাসন্তী উৎসবও বটে। ইউনেস্কো নওরোজকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের তালিকায় তুলে নেয়। ২০ বা ২১ মার্চ, রাত আর দিন যখন সমান হয়, তখন নওরোজ উদযাপিত হয়৷ নওরোজের মানে নতুন ঘাস, প্রকৃতিতে নতুন পল্লবের ছোঁয়া।
সংক্রান: প্রতিবছর এপ্রিলের ১৩ তারিখ থাইল্যান্ডে নববর্ষ উৎসব পালিত হয়। এ উৎসব উপলক্ষে ১৪ ও ১৫ এপ্রিলও ছুটি থাকে। পানি ছিটিয়ে একে-অপরকে ভিজিয়ে দেয়া এই উৎসবের একটি অংশ। অনেক থাই নাগরিক এই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বয়স্কদের সঙ্গে দেখা করেন।
আলুথ অভুরুদ্দ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো শ্রীলঙ্কাতেও ১৩ কিংবা ১৪ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপিত হয়। গরুর গাড়ির দৌড় এই উৎসবের একটি অংশ।
থিনজান: মিয়ানমারের নববর্ষ উত্সব থিনজান। এপ্রিলের মাঝামাঝি এটি পালিত হয়। পানি নিয়ে খেলা এই উৎসবের একটি বড় অংশ। চার-পাঁচদিন ধরে চলা এ উৎসবে তরুণ-তরুণীরা নাচে-গানে মেতে ওঠেন।
চউল চনাম থিমে: কম্বোডিয়ার নববর্ষ এটি। সাধারণত ১৩ কিংবা ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। তবে ছুটি থাকে তিনদিন। সংক্রান আর থিনজানের মতো পানি খেলা এই উৎসবেরও মূল আকর্ষণ। এই সময় ঘরে ঘরে বিশেষ খাবারও রান্না করা হয়।