প্রাচীন একটি বটগাছ। বয়স ৭০০ বছরেরও বেশি। কিন্তু পোকার কারণে পড়েছে হুমকির মুখে। এই গাছটি দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানায়। গাছটিতে উইপোকার মারাত্মক আক্রমণ ঘটেছে।
কীটনাশকের স্যালাইন দেওয়ার মাধ্যমে কর্মকর্তারা এখন বিরল এই বৃক্ষটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন। প্রায় তিন একর জায়গা জুড়ে গাছটি বিস্তৃত। বলা হচ্ছে, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বটগাছ।
সেকারণে দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক গাছটি দেখতে যান। কর্মকর্তারা এখন এই গাছটিকে পোকার সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নতুন করে যাতে পোকার সংক্রমণ না ঘটে সেজন্যে এর শেকড়েও পাইপ দিয়ে কীটনশাক দেওয়া হচ্ছে।
![](http://narashunda.com/wp-content/uploads/2018/04/00000000000000000-300x200.jpg)
কীটনাশকের স্যালাইন দেওয়ার মাধ্যমে গাছটিকে রক্ষা করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
“আমরা বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। গাছটি যাতে পড়ে না যায় সেজন্যে সিমেন্টের প্লেট দিয়ে এর শাখাগুলো আটকে রাখা হয়েছে,” তিনি জানান, একই সাথে গাছটিতে সারও দেওয়া হচ্ছে। “গাছটির যেসব জায়গায় উইপোকার সংক্রমণ ঘটেছে সে সব জায়গায় আমরা ফোটায় ফোটায় কীটনাশক দিচ্ছি। স্যালাইনের মতো করে। আমাদের ধারণা এতে কাজ হবে,” স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলেন আরেক কর্মকর্তা।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে যে গাছটির ডালপালা ভেঙে পড়ছে। তারপর থেকে সেখানে পর্যটকদের যাওয়া আসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, উইপোকার আক্রমণে গাছটি প্রায় ঝাঝড়া হয়ে গেছে। তারা বলেছেন, অনেক পর্যটক ডালপালা ধরে দোল খাওয়ার কারণেও গাছটি অনেক নুয়ে পড়েছে।
ভারতীয় বটগাছ খুব বড় হয় এবং তাদের শেকড়ও হয় খুব শক্ত। এসব গাছ এতো বড় হয় যে ডালপালা থেকেও এর শেকড় ঝুলতে থাকে। গাছটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যেও এসব শেকড়ের ভূমিকা রয়েছে।