ইডেন গার্ডেনে খেলা। কোথায় সফরকারী দলের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্স, তা না উল্টো তাদের ওপর কর্তৃত্ব করে গেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২১১ রানের লক্ষ্য দিয়ে স্বাগতিক কেকেআরকে মাত্র ১০৮ রানে অলআউট করে দিল মুম্বাই এবং সে সঙ্গে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
প্রথম আট ম্যাচে মাত্র দুই জয়। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে শিরোপা দৌড়ের বাইরেই রাখছিল সবাই। কিন্তু গত মৌসুমের মতো এবারও যেন সেরা খেলাটা শেষভাগের জন্য জমিয়ে রেখেছে দলটি। ইডেন গার্ডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আরও একবার হতাশা উপহার দিল মুম্বাই। ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে চলে এসেছে রোহিত শর্মার দল। টানা তিন ম্যাচে জয় পেল মুম্বাই।
ইডেন গার্ডেন মাঠটা যেন মুম্বাইয়েরই ঘরের মাঠ। এর আগে ১১ ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে ৯ বার জিতেছে মুম্বাই। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাটিংয়ে ঈশান কিষানের ঝোড়ো এক ফিফটিতে ২১০ রানের বড় এক সংগ্রহ পেয়েছিল মুম্বাই। ১৭ বলে ফিফটি করা কিষানের ২১ বলে ৬২ রানের ইনিংসে শেষ ১১ ওভারে ১৪৮ রান তুলেছিল মুম্বাই।
ব্যাটসম্যানদের এমন প্রচেষ্টা বিফলে যেতে দেননি মুম্বাইয়ের বোলাররা। হার্দিক পান্ডিয়া, মিচেল ম্যাকলেনাহান, জসপ্রীত বুমরারা এমনই দাপট দেখিয়েছেন, ইনিংসের ১০ ওভার পেরোনোর আগেই হার মেনে নিতে হয়েছে কলকাতাকে। ৯.২ ওভারে ৬৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কলকাতা। টম কুরান ও পীযূষ চাওলার দুই অঙ্ক ছোঁয়া দুই ইনিংস কলকাতাকে শুধু এক শ (১০৮) পার করাতে পেরেছে। ম্যাচের মীমাংসা তো আগেই করে ফেলেছেন মুম্বাইয়ের বোলাররা।
এ বোলারদের মধ্যে অবশ্য মোস্তাফিজুর রহমান নেই। মুম্বাইয়ের প্রথম ৬ ম্যাচেই ছিলেন বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসার। এর মধ্যে শেষ ম্যাচেই সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মোস্তাফিজ (১/১৮)। কিন্তু ৬ ম্যাচে ৫ হারের পর নতুন করে একাদশ সাজায় মুম্বাই, আর তাতে জায়গা হারান মোস্তাফিজ। পরের ৫ ম্যাচের ৪টি জিতেছে মুম্বাই। মোস্তাফিজকে ছাড়াই চলছে মুম্বাইয়ের জয়যাত্রা।