আগামী ১ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে ১৮তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী।
শনিবার বেলা তিনটায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
উদ্বোধনীতে সম্মানিত অতিথি থাকবেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক তেতসুইয়া নোদা।
বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আয়োজনের পুরস্কার ঘোষণা করবেন বিচারকমণ্ডলীর প্রধান শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
মাসব্যাপী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব শ্রেণির দর্শকের জন্য খোলা থাকবে এ প্রদর্শনী। ১৯৮১ সালে ১৪টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছিল এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল। এ বছর এ আয়োজন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায়। এবার ৬৮টি দেশ এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে, যা এযাবৎকালের রেকর্ড।
জানা গেছে, এবারের আয়োজনে ২৬৬ জন বিদেশি শিল্পীর মধ্যে ২২৩ জন শিল্পী প্রতিযোগিতায় শিল্পকর্ম জমা দিয়েছেন। ২৯ জন বিদেশি শিল্পী বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া ১৯৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীর মধ্যে ১০৭ জন শিল্পী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
এবার বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চিত্রকলাকে পরিচয় করিয়ে দিতে থাকছে বরেণ্য শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। একাডেমির আর্কাইভ থেকে গ্যালারির আলোয় এসে শোভা বাড়াবে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, এস এম সুলতান, পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ কিবরিয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রয়াত বরেণ্য শিল্পীর কাজ।
পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে অংশ নেওয়া ভারতের চিত্রকর যোগেন চৌধুরী, মানু পারেখ ও মাধবী পারেখ, নেপালের রাগিণী উপাধ্যায় এবং ফ্রান্সের বার্নার্ড ফ্রাঙ্কোয়েস লিঁও ক্লারিসর শিল্পকর্ম দর্শকের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে।
মিলবে বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আফজাল হোসেন, শামসুদ্দোহা প্রমুখের কাজও।
১৮তম দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সূত্র: প্রথম আলো।