মোট ৮৮টি টেবিলে কত যে সিগারেট পো়ড়ে, জানে না কফি হাউস। যেমন জানে না ধূমপানের শাস্তি কী! ফলে দেওয়াল জুড়ে ‘এখানে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ’ লেখা থাকলেও ধূমপানে দাঁড়ি টানতে পারছে না কফি হাউস পরিচালন সমিতি। ধূমপান নিয়ে থানা-পুলিশ হওয়ার পরেও না!
কফি হাউস পরিচালন সমিতির সম্পাদক তপনকুমার পাহাড়িই বলেন, ‘‘কী শাস্তি জানি না। আমরাও তো চাইছি, কফি হাউসে ধূমপান বন্ধ হোক। কাউকে বারণ করলেই তো প্রভাবশালীদের ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার ভয় দেখান।’’
শুক্রবারই ‘হেরিটেজ জোন’ কফি হাউসে ধূমপান বন্ধের দাবি জানিয়ে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের দাবি, কফি হাউসের মতো জায়গায় ধূমপান দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন করে জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। অবাধে ধূমপান কফি হাউসে বসা গ্রাহকদের একাংশের বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অথচ, এর পরেও কোনও কাজ হবে কি না, তা নিয়েই সংশয়।
সম্প্রতি কফি হাউসে এক গ্রাহকের সঙ্গে কর্মীর মারামারির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তার জেরে ওই কর্মীকে কাজ থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
কফি হাউস সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে অচিন্ত্য লাহা বলেন, ‘‘কফি হাউসের ধূমপান দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন। মারধরে জড়ানো ঠিক হয়নি। তবে কফি হাউসের কর্মী নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। বাতাসে বিষ মিশিয়ে আনন্দ হতে পারে না।’’
গরম কফি না, সিগারেটের ধোঁয়াতেই ধূমায়িত থাকবে কফি হাউস— এখন সেটাই দেখার! সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।