সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বলছেন মাধ্যমটির বিনিয়োগকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের’ একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজন সরাসরি তাকে ফোন করে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বলেছেন।
একটি বিশেষ ধরনের ‘স্নোফ্লেকস’ এর মতো ফেসবুককে ব্যবহার করছে কারণ দেখিয়ে চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বলা হয়েছে জাকারবার্গকে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিপক্ষ সংস্থার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে নিজেদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করেছে ফেসবুক। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করা একটি সংস্থার কাছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের যাবতীয় তথ্য চলে যাওয়া নিয়ে যখন পরিস্থিতি উত্তাল, সে সময় ডিফাইনার্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স নামে একটি সংস্থাকে নিয়োগ করে ফেসবুক। যাতে হারানো সুনাম আবার ফিরে আসে। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়েও চুপ ছিল ফেসবুক। অভিযোগ ছিল, এ ব্যাপারে পুরোটিই জানত যোগাযোগ মাধ্যমটি।
মাধ্যমটির অন্যতম বিনিয়োগকারী জোনাস ক্রোন গত শুক্রবার জাকারবার্গকে সরাসরি ফোন দেন। ফোনে তিনি বলেন, ‘ফেসবুক একটি বিশেষ ধরনের স্নোফ্লেকস-এর মতো ব্যবহার করছে। ভুলে গেলে চলবে না এটা একটি সংস্থা। এবং সংস্থাকে পদাধিকারী এবং সিইওর পদ থেকে আলাদা হওয়া উচিত।’ সংবাদমাধ্যমকেও ক্রোন এ কথাই জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে পরে মার্ক জাকারবার্গ নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ডিফাইনার্সের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। সূত্র: একুশে টিভি।